নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ যমজ সন্তান ৬ বছর বয়সী আদিফা ও আলিভার মরদেহ পাওয়া য়ায়নি। ১০ বছর বয়সী আরেক কন্যা আনিকাকে স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে দেওয়া হবে কবর।
২য় দিনের মতো বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা জানান, ‘নিখোঁজ তিন শিশুকে খুঁজছে কোস্টগার্ড।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে কুমিরার গুপ্তছড়া ও মাইটভাঙা ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সন্দ্বীপের মগধরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মমতাজ সুকানি বাড়ির মো. আলাউদ্দিন কিছুদিন আগে ওমান যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে এসেছিলেন। বাবাকে বিদায় জানাতে মামার সঙ্গে আনিকা ও তার ছোট যমজ দুই বোনও শহরে আসে। প্রবাসী বাবাকে বিদায় জানিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে তারা এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।
স্পিডবোট দুর্ঘটনায় আলাউদ্দিন-পান্না দম্পতির দুই কন্যার মতো নিখোঁজ রয়েছে সৈকত নামে ৯ বছরের এক শিশু। তার বাবা সমীরও আছেন সন্তানের মরদেহ পাওয়ার অপেক্ষায়। সমীর বলেন, ‘মেয়েকে বাঁচাতে পারলেও ছেলেকে উঠাতে পারিনি। আমার ছেলের মরদেহ খুঁজছি।
পান্না বেগম তার বড় ভাইকে নিয়ে ছুটছেন নদীর তীরে। বিলাপ থামছে না। একসঙ্গে তিন সন্তান হারানো মা যাকে পাচ্ছেন তার কাছেই দাবি জানাচ্ছেন-সন্তানদের মরদেহ খুঁজে দিতে।
স্পিডবোটে যাত্রী হিসেবে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী জামাল উদ্দিন জানান, ‘নিজের প্রাণ বাঁচাতে স্পিডবোটের ড্রাইভার যাত্রীদের রেখে নদীতে ঝাঁপ না দিলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
গুপ্তছড়া ঘাটের ইজারাদার মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। বোটে ২০ জন যাত্রী ছিল।



