পটিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার আমজুর হাটের এবাদতখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডি এম জমির উদ্দিনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ও মো. ইকবাল। তাঁরা কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের অনুসারী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন ওরফে সবুজের সঙ্গে একই এলাকার ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা এয়ার মোহাম্মদ বাবরের সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবলীগের তিন নেতা গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এমদাদুল হাসান বলেন, গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহাদত হোসেন বলেন, তিনি গতকালের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি ওই সময় শহরে ছিলেন। ১৬ এপ্রিল সকালে এয়ার মোহাম্মদ বাবরের নেতৃত্বে নাইখাইন এলাকার ট্রাকচালক জাহেদ হোসেনকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর বাবরদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা গতকাল রাতে আমজুর হাট এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে এসে এলোপাতারি হামলা ও গুলি চালান। এ সময় জনগণ তাঁদের ধাওয়া করলে হামলাকারীরা নিজেদের গুলিতে নিজেরাই আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুবলীগের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় আজ বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



