ক্রাইম প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) স্টুডেন্ট ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব নিতে একটি মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই চক্র যে প্রতিষ্ঠানের নাম দরপত্রে উল্লেখ করেছেন, বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দরপত্রে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ বরাবরে। লোহাগাড়ার জামায়াত সমর্থক ব্যবসায়ী এসএম খালেক প্রকাশ সাইফুদ্দিন খালেক দরপত্রে এই মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অন্যান্যরা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, কয়েকজন ঠিকাদার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি চমেক দরপত্র কমিটি দেখবে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, লোহাগাড়ার হাজার বিঘা এলাকার বাসিন্দা নুুরুন্নবীর ছেলে এসএম খালেক প্রকাশ সাইফুদ্দিন খালেক (৪১) কোতোয়ালী থানাধীন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়কের দারুল আমান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের নামে চমেক স্টুডেন্ট ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব নিতে ২০২২ সালের দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বাস্তবে এমন প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি ফেসবুকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম বিন সাঈদীর পক্ষে প্রচারণা চালান এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর শামীম সাঈদীকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেন। পাশাপাশি সরকারবিরোধী বিভিন্ন অপপ্রচারের তথ্যও মেলে তার ফেসবুক আইডিতে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. ফরহাদ চৌধুরী, মো. সেলিম ও মো. ফারুক চৌধুরী চমেক অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ বরাবরে দরখাস্ত দিয়েছেন। চমেক প্রশাসনিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দরখাস্ত গ্রহণ করেছেন। এরপরও বিতর্কিত ওই ব্যক্তিকে চমেক স্টুডেন্ট ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দিতে একটি মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঠিকাদাররা জানান, দরপত্রের শর্তাবলীর ৮ নম্বর ক্রমিকে বলা হয়েছে-কোন ঠিকাদার যদি মিথ্যা, ভুল ও অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করে থাকে, তাহলে ওই দরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। এ অবস্থায় অন্যান্য ঠিকাদাররা আগের দরপত্রগুলো বাতিল করে নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করার জন্য চমেক দরপত্র কমিটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চমেক হাসপাতালে টেন্ডারবাজির দায়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মঈনুদ্দীন আহমদ নামে একজনকে গত ১০ এপ্রিল টেন্ডার শাখা থেকে কোভিড শাখায় বদলি করা হয়।




