খন রঞ্জন রায়: সামাজিক, পারিবারিক, সাংগঠনিক যে কোন কোলাহলমূখর স্থানে গেলেই যে শব্দটি বেশি উচ্চারিত হয় তা হলো ‘ডায়াবেটিস’। বাস্তবিকেও তাই। ঝুঁকিও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যাও মহামারি পর্যায়ের। তবে এটি হঠাৎ মৃত্যু ঘটায় এমন রোগ নয়। নিয়ন্ত্রণ করা গেলে, কঠোর নিয়ন্ত্রণে স্বাভাবিক জীবনযাপন কোন বাধা হয় না। দীর্ঘ আয়ু লাভ করা সম্ভব। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের উপসর্গ নিয়ে শতায়ু লাভের পথ বাতলে দিতেই পালন করা হয় ‘ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস’।

সুনির্দ্রষ্টি কিছু নিয়ম-নীতি, স্বাভাবিকভাবে মেনে চললেই ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর অন্যান্য উপসর্গ থেকে শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর মূলে রয়েছে নিয়ন্ত্রণ, আত্মনিয়ন্ত্রণ। সাথে এই নিয়ন্ত্রণের কলা-কৌশল রপ্ত করা, প্রতিপালন করা, কঠোরে কঠিনে ভালবেসে মেনে চলা। ডায়াবেটিস করোনা ভাইরাসের মতো হঠাৎ সংক্রমিত হয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে মৃত্যু-মহামারি ঘটানোর রোগ নয়। এটি প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্যাধি। অবশ্য নামের ক্ষেত্রে সময় সময়ে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তবে ‘বহুমূত্র’ শব্দটি বেশ প্রচলিত, প্রচারিত, চেনাজানার।

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ নিয়ে জাতিসংঘ ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর থেকে ডায়াবেটিসকে দীর্ঘমেয়াদি অবক্ষয়ী ও ব্যায়বহুল ব্যাধি হিসাবে ঘোষণা করেছে। ডায়াবেটিসকে অনেকেই রোগ বলে মানতে দ্বিধা করেন। আমাদের শরীরে নিয়ত-প্রতিনিয়ত সর্বক্ষণ ঘটমান চলমান ক্রিয়া কলাপের উপসর্গ মাত্র। খাদ্য গ্রহণের পরে তা হজম হয়। তা একটি আন্তঃজটিল প্রক্রিয়ায় ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বাংলা করলে দাঁড়ায় বিপাক প্রক্রিয়া।

মানবদেহের শক্তি অর্জনের জন্য দরকার গ্লকোজ বা চিনি। খাদ্য হজম প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত যেসব অঙ্গঁ প্রত্যঙ্গঁ বিপকীয় কাজ করে ‘অগ্ন্যাশয়’ অন্যতম একটি। এটি ডায়াবেটিস উপসর্গের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। দেহে শক্তি সরবরাহ করার প্রধান উপাদান গ্লকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই অগ্ন্যাশয়। অবশ্য এখানে একটি প্রভাবক কাজ করে তা হলো ইনসুলিন। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন তারতম্যের কারণে রক্তে গ্লকোজ বা চিনির উপস্থিতির তারতম্য হয়। অসামঞ্জস্যতা ঘটে। ফল হয় ডায়বেটিস। ডায়াবেটিস আক্রান্তের হিসাব এখন বছর দিনে নয়, প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন মানুষ আতঙ্কের এই উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি মানুষ বয়ে বেড়াচ্ছে মৃত্যুঝুঁকির ডায়াবেটিসের উপসর্গ।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে আমাদের চলমান জীবন যাত্রাকে প্রধান নিয়ামক শক্তি হিসাব দেখা হয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও এর কারণ। কায়িক পরিশ্রম না করার সুযোগ, মাত্রাহীন অতিমাত্রায় ফাস্টফুড গ্রহণ, কোমল পানীয়র প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি, ধূমপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা, পিতা-মাতা বা রক্তের সর্ম্পক আছে এমন নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস থাকা। এরপর বয়স ৪৫ বছর অতিক্রম করা কয়েকটি অতি সংবেদনশীল পর্ব।

ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে রোগ নয়। কারো স্পর্শে, একসাথে থাকলে, মাখামাখি করলেও আক্রমণের সম্ভাবনা নেই। সংক্রামক ব্যাধি তো নয়ই। অনেকের ধারণা বেশি মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হয়। মোটেও না। হলে খাওয়া যাবে না। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।

জীবনের সবক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে, কাজকর্মে, আহারে, বিহারে, নির্দ্রায়, চলাফেরায় আত্মনিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। শৃঙ্খলাই জীবনকাঠি মানতে হবে, প্রতিপালন করতে হবে। স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতে হবে। এই উপসর্গ সম্বন্ধে সমসাময়িক ব্যাপক জ্ঞান বা শিক্ষা অর্জন করে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাজের মানুষের জন্য বিলিয়ে দিতে হবে। সীমাবদ্ধ না থেকে সবাই ঐক্যবদ্ধ এর মোকাবিলাতে সফলতার হার বেশি।

ডায়াবেটিস একবার ধরা পড়লে আর সারে না। সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তবে ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ ধরা পড়ার ক্ষেত্রে শরীরের কিছু কমন লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন অতিরিক্ত প্রস্বাব, অত্যাধিক পিপাসা, বেশি ক্ষুধা, দুর্বল বোধ করা, অল্পতে ক্লান্তি, কেটে ছিঁড়ে গেলে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি না শুকানো ইত্যাদি সাধারণ লক্ষণ। পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার কারণে ইদানিং এসব লক্ষণ ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গের ভিতরে দিয়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তের নজির রয়েছে। ওজন বেশী, শরীরচর্চা হয় না, গাড়ীতে চড়া, লিফট নাগালে, বসে বসে কাজের ধরন, অত্যাধিক চিন্তা-ভাবনা, সংক্রামক রোগ, আঘাত, অস্ত্রাপচার, অসম খাবার, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি সময়ে ঝুঁকি অনেক বেশি।

ঝুঁকিপূর্ণ এই সমস্ত অবস্থান থেকে দ্রুত সরে আসার জন্য সর্বক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতন সমাজ বির্নিমানের লক্ষ্যেই ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস পালন শুরু। বাংলাদেশে ডায়াবেটিক সমিতির যাত্রা ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে। নীরব ঘাতক বহুব্যাধির আহবায়ক এই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জনসাধারণকে সচেতন করতে ডায়াবেটিস সমিতির উদ্দ্যোগেই শুরু হয় জনগুরুত্বের এই দিবস পালন।

অসংক্রামক আকারে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস বিস্তার বীভৎসতায় ভাবিয়ে তুলছে গোটা পৃথিবীকে। মহাসর্বনেশে শক্ররূপী এই ডায়াবেটিসকে চিনতে জানতে নিয়ন্ত্রণে আনতে শঙ্কিত সবার জন্য এই দিবস যথাযথ। মানুষের সুন্দর সাবলীল জীবনযপনের পথের কাটাঁ, কর্মক্ষমতা হরণকারী অসংক্রামক এই ব্যাধির বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তি সচেতনতা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

দিবসের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ সংশ্লিষ্ট সকলের মনোযোগ ও চেতনার চৌহদ্দি প্রসারিক হোক, প্রতিরোধের উপযুক্ত উত্তম অধিকতর শিক্ষার সর্বজনীনতার উন্মেষ ঘটুক নিরন্তর এই কামনা।লেখকঃ খন রঞ্জন রায়,সমাজচিন্তক, গবেষক ও সংগঠক।

খন রঞ্জন রায়: সামাজিক, পারিবারিক, সাংগঠনিক যে কোন কোলাহলমূখর স্থানে গেলেই যে শব্দটি বেশি উচ্চারিত হয় তা হলো ‘ডায়াবেটিস’। বাস্তবিকেও তাই। ঝুঁকিও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যাও মহামারি পর্যায়ের। তবে এটি হঠাৎ মৃত্যু ঘটায় এমন রোগ নয়। নিয়ন্ত্রণ করা গেলে, কঠোর নিয়ন্ত্রণে স্বাভাবিক জীবনযাপন কোন বাধা হয় না। দীর্ঘ আয়ু লাভ করা সম্ভব। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের উপসর্গ নিয়ে শতায়ু লাভের পথ বাতলে দিতেই পালন করা হয় ‘ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস’।

সুনির্দ্রষ্টি কিছু নিয়ম-নীতি, স্বাভাবিকভাবে মেনে চললেই ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর অন্যান্য উপসর্গ থেকে শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর মূলে রয়েছে নিয়ন্ত্রণ, আত্মনিয়ন্ত্রণ। সাথে এই নিয়ন্ত্রণের কলা-কৌশল রপ্ত করা, প্রতিপালন করা, কঠোরে কঠিনে ভালবেসে মেনে চলা। ডায়াবেটিস করোনা ভাইরাসের মতো হঠাৎ সংক্রমিত হয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে মৃত্যু-মহামারি ঘটানোর রোগ নয়। এটি প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্যাধি। অবশ্য নামের ক্ষেত্রে সময় সময়ে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তবে ‘বহুমূত্র’ শব্দটি বেশ প্রচলিত, প্রচারিত, চেনাজানার।

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ নিয়ে জাতিসংঘ ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর থেকে ডায়াবেটিসকে দীর্ঘমেয়াদি অবক্ষয়ী ও ব্যায়বহুল ব্যাধি হিসাবে ঘোষণা করেছে। ডায়াবেটিসকে অনেকেই রোগ বলে মানতে দ্বিধা করেন। আমাদের শরীরে নিয়ত-প্রতিনিয়ত সর্বক্ষণ ঘটমান চলমান ক্রিয়া কলাপের উপসর্গ মাত্র। খাদ্য গ্রহণের পরে তা হজম হয়। তা একটি আন্তঃজটিল প্রক্রিয়ায় ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বাংলা করলে দাঁড়ায় বিপাক প্রক্রিয়া।

মানবদেহের শক্তি অর্জনের জন্য দরকার গ্লকোজ বা চিনি। খাদ্য হজম প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত যেসব অঙ্গঁ প্রত্যঙ্গঁ বিপকীয় কাজ করে ‘অগ্ন্যাশয়’ অন্যতম একটি। এটি ডায়াবেটিস উপসর্গের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। দেহে শক্তি সরবরাহ করার প্রধান উপাদান গ্লকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই অগ্ন্যাশয়। অবশ্য এখানে একটি প্রভাবক কাজ করে তা হলো ইনসুলিন। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন তারতম্যের কারণে রক্তে গ্লকোজ বা চিনির উপস্থিতির তারতম্য হয়। অসামঞ্জস্যতা ঘটে। ফল হয় ডায়বেটিস। ডায়াবেটিস আক্রান্তের হিসাব এখন বছর দিনে নয়, প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন মানুষ আতঙ্কের এই উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি মানুষ বয়ে বেড়াচ্ছে মৃত্যুঝুঁকির ডায়াবেটিসের উপসর্গ।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে আমাদের চলমান জীবন যাত্রাকে প্রধান নিয়ামক শক্তি হিসাব দেখা হয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও এর কারণ। কায়িক পরিশ্রম না করার সুযোগ, মাত্রাহীন অতিমাত্রায় ফাস্টফুড গ্রহণ, কোমল পানীয়র প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি, ধূমপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা, পিতা-মাতা বা রক্তের সর্ম্পক আছে এমন নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস থাকা। এরপর বয়স ৪৫ বছর অতিক্রম করা কয়েকটি অতি সংবেদনশীল পর্ব।

ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে রোগ নয়। কারো স্পর্শে, একসাথে থাকলে, মাখামাখি করলেও আক্রমণের সম্ভাবনা নেই। সংক্রামক ব্যাধি তো নয়ই। অনেকের ধারণা বেশি মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হয়। মোটেও না। হলে খাওয়া যাবে না। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে।

জীবনের সবক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে, কাজকর্মে, আহারে, বিহারে, নির্দ্রায়, চলাফেরায় আত্মনিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। শৃঙ্খলাই জীবনকাঠি মানতে হবে, প্রতিপালন করতে হবে। স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতে হবে। এই উপসর্গ সম্বন্ধে সমসাময়িক ব্যাপক জ্ঞান বা শিক্ষা অর্জন করে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাজের মানুষের জন্য বিলিয়ে দিতে হবে। সীমাবদ্ধ না থেকে সবাই ঐক্যবদ্ধ এর মোকাবিলাতে সফলতার হার বেশি।

ডায়াবেটিস একবার ধরা পড়লে আর সারে না। সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তবে ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ ধরা পড়ার ক্ষেত্রে শরীরের কিছু কমন লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন অতিরিক্ত প্রস্বাব, অত্যাধিক পিপাসা, বেশি ক্ষুধা, দুর্বল বোধ করা, অল্পতে ক্লান্তি, কেটে ছিঁড়ে গেলে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি না শুকানো ইত্যাদি সাধারণ লক্ষণ। পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার কারণে ইদানিং এসব লক্ষণ ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গের ভিতরে দিয়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তের নজির রয়েছে। ওজন বেশী, শরীরচর্চা হয় না, গাড়ীতে চড়া, লিফট নাগালে, বসে বসে কাজের ধরন, অত্যাধিক চিন্তা-ভাবনা, সংক্রামক রোগ, আঘাত, অস্ত্রাপচার, অসম খাবার, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি সময়ে ঝুঁকি অনেক বেশি।

ঝুঁকিপূর্ণ এই সমস্ত অবস্থান থেকে দ্রুত সরে আসার জন্য সর্বক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতন সমাজ বির্নিমানের লক্ষ্যেই ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস পালন শুরু। বাংলাদেশে ডায়াবেটিক সমিতির যাত্রা ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে। নীরব ঘাতক বহুব্যাধির আহবায়ক এই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জনসাধারণকে সচেতন করতে ডায়াবেটিস সমিতির উদ্দ্যোগেই শুরু হয় জনগুরুত্বের এই দিবস পালন।

অসংক্রামক আকারে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস বিস্তার বীভৎসতায় ভাবিয়ে তুলছে গোটা পৃথিবীকে। মহাসর্বনেশে শক্ররূপী এই ডায়াবেটিসকে চিনতে জানতে নিয়ন্ত্রণে আনতে শঙ্কিত সবার জন্য এই দিবস যথাযথ। মানুষের সুন্দর সাবলীল জীবনযপনের পথের কাটাঁ, কর্মক্ষমতা হরণকারী অসংক্রামক এই ব্যাধির বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তি সচেতনতা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

দিবসের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ সংশ্লিষ্ট সকলের মনোযোগ ও চেতনার চৌহদ্দি প্রসারিক হোক, প্রতিরোধের উপযুক্ত উত্তম অধিকতর শিক্ষার সর্বজনীনতার উন্মেষ ঘটুক নিরন্তর এই কামনা।লেখকঃ খন রঞ্জন রায়,সমাজচিন্তক, গবেষক ও সংগঠক।