দি ক্রাইম ডেস্ক: বান্দরবানের থানচিতে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির আওতাভুক্ত ১ হাজার ২২৪ জন দরিদ্র নারী তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দুই বছর ধরে তারা টাকা জমা রাখলেও তা ফেরতে গড়িমসি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ২০২৩-২৪ চক্রে প্রতি মাসে ২২০ টাকা করে দুই বছর সঞ্চয় জমা নেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের দশ মাস পেরিয়ে গেলেও উপকারভোগীদের বড় অংশ এখনও টাকা পাননি। এর আগেও টাক ফেরত চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অফিস সহকারী (প্রয়াত) এমরান হোসেন জীবিত অবস্থায় নানা অজুহাতে ঘুরিয়ে দিতেন। হঠাৎ মৃত্যুর হলে ফেরত কার্যক্রম পুরোপুরি থমকে যায়। থানচি সদর ও বলিপাড়া ইউনিয়নের আংশিক উপকারভোগী টাকা পেলেও দুর্গম তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়নের কেউই টাকা ফেরত পাননি।
সূত্র জানায়, দুই বছরে মোট ১ হাজার ৬৭৪ জন নারী সঞ্চয় জমা করেছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘসূত্রতায় উপকারভোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মাসের পর মাস ঘুরেও ফল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
বলিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াঅং মার্মা জানান, তার ইউনিয়নের কিছু ওয়ার্ডের ফেরত পেলেও কয়েকটি ওয়ার্ডের নারীরা এখনও টাকা পাননি।
থানচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রো বলেন, প্রায় ৬৯ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। কিন্তু দুর্গম তিন্দু ও রেমাক্রীতে ভুক্তভোগী নারীদের কাউকে সঞ্চয়ের টাকার ফেরত দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তিন্দু ও রেমাক্রী ইউপির দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার বলেন, অফিস সহকারী হঠাৎ মারা যাওয়ার কারণে সঞ্চয় টাকা ফেরত কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ মাসে কাজ শুরু করতে পারলে আগামী মাসে সবার সঞ্চয় টাকা ফেরত দিতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-ফয়সাল জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের যথাযথভাবে ব্যবস্থা পদক্ষেপ গ্রহণে ভুক্তভোগীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।




