সুবর্ণচর( নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সুবর্ণচরের গৃহবধূ ১ সন্তানের জননী সাহেনা আক্তারকে শশুর পরিবারের সকল সদস্যদরা মিলে শারীরিক ও মানসিক টর্চার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী গৃহবধূ সাহেনা হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের মোহাম্মদ পুর গ্রামের বাসিন্দা এনায়েত ব্যাপারীর মেয়ে।

সাহেনা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৭ সালের ৫ই নভেম্বর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার ওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চর জব্বর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা করিমূল মোস্তফা ওরফে খন্তা মোস্তানের ছেলে জিহাদ হোসেনে সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে নুর নবী নামে (বর্তমানে বয়স ৮ বছর) এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর হতে স্বামী, শশুর, ভাশুর রিয়াজ উদ্দিন, শাশুড়ী মাসুদা বেগম, ননদ ফেরদৌসী বেগম, সাহেনা বেগম, আইনুর বেগম ও রাহেনা বেগম আমার এবং আমার বাবার নিকট যৌতুকের দাবি করতে থাকে এবং একাধিকবার আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।

সাহেনার বাবা এনায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের সংসার রক্ষার্থে আমি একাধিকবার বর পক্ষকে নগদ অর্থ প্রদান করলেও তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। পরবর্তীতে আমার মেয়ের স্বামী আলাদা ঘর নির্মাণের জন্য কৌশল করে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি ধার-সুদে টাকা জোগাড় করে নগদ ৩ লক্ষ টাকা তাকে প্রদান করি, যা দিয়ে সে পাকা ঘর নির্মাণ করে এবং পরবর্তীতে বিদেশে চলে যায়।

ভূক্তভোগী সাহেনা আরো অভিযোগ করেন, তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর হতে সে ও সন্তানের ভরণ-পোষণ কিংবা কোন খোঁজ খবর নেয় নাই। অপরদিকে দেশে তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রায় গালিগালাজ, মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। শুধু তাই নয়, গত ১ বছর পূর্বে শশুর- শাশুড়ী ও ননদেরা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক দেড় ভরি স্বর্ণালংকার (দুইটি বালা, পাঁচটি আংটি ও কানের দুল) যা আমার বাবা বিয়ের সময় আমাকে দিয়েছিলো তা নিয়ে যায়। তাছাড়া প্রায়ই রাতের অন্ধকারে শশুর আমার কক্ষে প্রবেশ করিয়া জোরপূর্বক আমার সন্তানকে নিয়ে যেত। আমার বাবা যখন তাদের কাছে পাওনা টাকা চাই, তখন তারা বিভিন্ন তালবাহানা, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এই দিকে তারা একাধিকবার জানায় যে, আমি এবং আমার বাবা যদি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করি তবে তারা আমাকে তালাক দিবে এবং আমাকে প্রাণে হত্যা করবে। গত ৮ মাস ধরে আমার স্বামী জিহাদ বিদেশে থেকেও স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজখবর নেয় নাই। অন্যদিকে শশুর – শাশুড়ী এবং তাদের মেয়েরা নিয়মিতভাবে আমারকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা একাধিকবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন, কিন্তু তারা কোনো সালিশে হাজির হয় নাই এবং কোনো সমাধানেও আসেনি। বর্তমানে তারা আমাকে সংসার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারা বলছে আমার স্বামী নাকি আমাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু আমি কোন তালাক নামা হাতে পায়নি।

সর্বশেষ চলতি মাসের ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত্রে তারা আমাকে বেদম মারধর শুরু করলে আমার চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লাকী ও ছকিনাসহ আরো কযেক জন এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে। পরদিন আমার বাবা স্থানীয় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমাকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের বাড়ী থেকে এনে চর জব্বার হাসপাতালে ভর্তি করান।

ভুক্তভোগী সাহেনা পুরোপুরি সুস্থ হলে আইনের আশ্রয় নেবে বলে জানান কনে পক্ষ।

সুবর্ণচর( নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সুবর্ণচরের গৃহবধূ ১ সন্তানের জননী সাহেনা আক্তারকে শশুর পরিবারের সকল সদস্যদরা মিলে শারীরিক ও মানসিক টর্চার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী গৃহবধূ সাহেনা হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের মোহাম্মদ পুর গ্রামের বাসিন্দা এনায়েত ব্যাপারীর মেয়ে।

সাহেনা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৭ সালের ৫ই নভেম্বর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার ওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চর জব্বর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা করিমূল মোস্তফা ওরফে খন্তা মোস্তানের ছেলে জিহাদ হোসেনে সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে নুর নবী নামে (বর্তমানে বয়স ৮ বছর) এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর হতে স্বামী, শশুর, ভাশুর রিয়াজ উদ্দিন, শাশুড়ী মাসুদা বেগম, ননদ ফেরদৌসী বেগম, সাহেনা বেগম, আইনুর বেগম ও রাহেনা বেগম আমার এবং আমার বাবার নিকট যৌতুকের দাবি করতে থাকে এবং একাধিকবার আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।

সাহেনার বাবা এনায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের সংসার রক্ষার্থে আমি একাধিকবার বর পক্ষকে নগদ অর্থ প্রদান করলেও তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। পরবর্তীতে আমার মেয়ের স্বামী আলাদা ঘর নির্মাণের জন্য কৌশল করে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি ধার-সুদে টাকা জোগাড় করে নগদ ৩ লক্ষ টাকা তাকে প্রদান করি, যা দিয়ে সে পাকা ঘর নির্মাণ করে এবং পরবর্তীতে বিদেশে চলে যায়।

ভূক্তভোগী সাহেনা আরো অভিযোগ করেন, তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর হতে সে ও সন্তানের ভরণ-পোষণ কিংবা কোন খোঁজ খবর নেয় নাই। অপরদিকে দেশে তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রায় গালিগালাজ, মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। শুধু তাই নয়, গত ১ বছর পূর্বে শশুর- শাশুড়ী ও ননদেরা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক দেড় ভরি স্বর্ণালংকার (দুইটি বালা, পাঁচটি আংটি ও কানের দুল) যা আমার বাবা বিয়ের সময় আমাকে দিয়েছিলো তা নিয়ে যায়। তাছাড়া প্রায়ই রাতের অন্ধকারে শশুর আমার কক্ষে প্রবেশ করিয়া জোরপূর্বক আমার সন্তানকে নিয়ে যেত। আমার বাবা যখন তাদের কাছে পাওনা টাকা চাই, তখন তারা বিভিন্ন তালবাহানা, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এই দিকে তারা একাধিকবার জানায় যে, আমি এবং আমার বাবা যদি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করি তবে তারা আমাকে তালাক দিবে এবং আমাকে প্রাণে হত্যা করবে। গত ৮ মাস ধরে আমার স্বামী জিহাদ বিদেশে থেকেও স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজখবর নেয় নাই। অন্যদিকে শশুর – শাশুড়ী এবং তাদের মেয়েরা নিয়মিতভাবে আমারকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা একাধিকবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন, কিন্তু তারা কোনো সালিশে হাজির হয় নাই এবং কোনো সমাধানেও আসেনি। বর্তমানে তারা আমাকে সংসার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারা বলছে আমার স্বামী নাকি আমাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু আমি কোন তালাক নামা হাতে পায়নি।

সর্বশেষ চলতি মাসের ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত্রে তারা আমাকে বেদম মারধর শুরু করলে আমার চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লাকী ও ছকিনাসহ আরো কযেক জন এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে। পরদিন আমার বাবা স্থানীয় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমাকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের বাড়ী থেকে এনে চর জব্বার হাসপাতালে ভর্তি করান।

ভুক্তভোগী সাহেনা পুরোপুরি সুস্থ হলে আইনের আশ্রয় নেবে বলে জানান কনে পক্ষ।