নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ১৭ শতাংশ, যারা মূলত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তাই তাদেরকে সুস্থ রাখা আমাদেরই দায়িত্ব বলে জানালেন মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরি। তিনি তার একটি গবেষনা কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন ইদানিং প্রতিদিনই চেম্বারে কিছু বাচ্চা রোগী অভিভাবকবৃন্দ নিয়ে আসছেন যারা ২-৩ বছর বয়সের হলেও কথা বলতে পারছেনা এবং এসব বাচ্চাকে ৬ মাস বয়স থেকেই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ এর মাধ্যমে কার্টুন ছবি দেখানো হয়। এতে বাচ্চাগুলো মায়ের ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্থ হচ্ছেনা, যা তার মানসিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পরছে। তিনি অভিভাবকবৃন্দদেরকে এ ব্যপারে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের ৪শ’ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক এবং বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগের উদ্যোগে ইমপেরিয়াল শিশু মেলায় তিনি এসব কথা বলেন।

“বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উক্ত শিশু মেলার শুরুতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে নবজাতকবৃন্দের বাবা মায়েরা তাদের মনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। শুরুতে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয়া একজন শিশুর অভিভাবকের অভিজ্ঞতার উপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ইতিপূর্বে জন্মগ্রহণকারী নবজাতকবৃন্দদেরকে “ইমপেরিয়াল বেবী” ঘোষণা করা হয় ও উক্ত ইমপেরিয়াল বেবীবৃন্দের অভিভাবকবৃন্দকে প্রিভিলেজ (বিশেষ সুবিধা সম্বলিত) কার্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়, এই প্রিভিলেজ কার্ডের মাধ্যমে ইমপেরিয়াল বেবীবৃন্দ আগামী দুই বছর পর্যন্ত এ হাসপাতালে চিকিৎসাসহ বেশ কিছু আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।

স্বাগত বক্তব্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুকে আজ আমরা বিশেষ মর্যাদা দেয়ার ঘোষনা দিয়েছি। তারা আমাদের হাসপাতালে বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগের উন্নয়ন সাধন ও ধারাবাহিক ভাবে আরো অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সংযোজন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে অভিভাবকবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরি বলেন, আমাদের দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ১৭ শতাংশ, যারা মূলত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তাই তাদেরকে সুস্থ রাখা আমাদেরই দায়িত্ব। তিনি বলেন একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৯৯০ সালে এ দেশে পাঁচ বছর বয়সের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১০০০ জনে ১৭৫ থেকে ১৮৫ জন, কিন্তু ইউএনডিপির “সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-২০৩০” বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায়, স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি নীতিমালার মাধ্যমে ও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের বিবিধ উন্নয়নের কারনে ২০২১ সাল নাগাদ এই মত্যু হার ৩০ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বর্তমানে তার একটি গবেষনা কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন ইদানিং প্রতিদিনই চেম্বারে কিছু বাচ্চা রোগী অভিভাবকবৃন্দ নিয়ে আসছেন যারা ২-৩ বছর বয়সের হলেও কথা বলতে পারছেনা এবং এসব বাচ্চাকে ৬ মাস বয়স থেকেই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ এর মাধ্যমে কার্টুন ছবি দেখানো হয়। এতে বাচ্চাগুলো মায়ের ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্থ হচ্ছেনা, যা তার মানসিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পরছে। তিনি অভিভাবকবৃন্দদেরকে এ ব্যপারে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ইমপেরিয়াল হাসপাতাল পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা.ফয়সল আহমেদ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু রোগ চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার উপর মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে গর্ভকালীন মায়ের যত্ন, অপরিপক্ক শিশুর যত্ন ও শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডা. হাসান জাহিদ, ডা. আরমান যাইদ ও ডা. রহিমা আক্তার ।

ডা. ফারজানা হায়দার চৌধুরীর উপস্থাপনায় শিশুদের অভিভাবকবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, শাপলা পাল ও সৈয়দা মারিয়া হাসান।

তারা বলেন. প্রিমেচিউর শিশু জন্মের পর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগ এই অঞ্চলে অনন্য ও আসাধারণ। চট্টগ্রামবাসি সহ আমরা তাদের এই বিশ্বমানের সেবা পাচ্ছি এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট অধ্যাপক ডা. রাশেদা সামাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ১৭ শতাংশ, যারা মূলত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তাই তাদেরকে সুস্থ রাখা আমাদেরই দায়িত্ব বলে জানালেন মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরি। তিনি তার একটি গবেষনা কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন ইদানিং প্রতিদিনই চেম্বারে কিছু বাচ্চা রোগী অভিভাবকবৃন্দ নিয়ে আসছেন যারা ২-৩ বছর বয়সের হলেও কথা বলতে পারছেনা এবং এসব বাচ্চাকে ৬ মাস বয়স থেকেই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ এর মাধ্যমে কার্টুন ছবি দেখানো হয়। এতে বাচ্চাগুলো মায়ের ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্থ হচ্ছেনা, যা তার মানসিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পরছে। তিনি অভিভাবকবৃন্দদেরকে এ ব্যপারে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের ৪শ’ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক এবং বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগের উদ্যোগে ইমপেরিয়াল শিশু মেলায় তিনি এসব কথা বলেন।

“বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উক্ত শিশু মেলার শুরুতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে নবজাতকবৃন্দের বাবা মায়েরা তাদের মনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। শুরুতে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয়া একজন শিশুর অভিভাবকের অভিজ্ঞতার উপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ইতিপূর্বে জন্মগ্রহণকারী নবজাতকবৃন্দদেরকে “ইমপেরিয়াল বেবী” ঘোষণা করা হয় ও উক্ত ইমপেরিয়াল বেবীবৃন্দের অভিভাবকবৃন্দকে প্রিভিলেজ (বিশেষ সুবিধা সম্বলিত) কার্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়, এই প্রিভিলেজ কার্ডের মাধ্যমে ইমপেরিয়াল বেবীবৃন্দ আগামী দুই বছর পর্যন্ত এ হাসপাতালে চিকিৎসাসহ বেশ কিছু আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।

স্বাগত বক্তব্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুকে আজ আমরা বিশেষ মর্যাদা দেয়ার ঘোষনা দিয়েছি। তারা আমাদের হাসপাতালে বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগের উন্নয়ন সাধন ও ধারাবাহিক ভাবে আরো অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সংযোজন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে অভিভাবকবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরি বলেন, আমাদের দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ১৭ শতাংশ, যারা মূলত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তাই তাদেরকে সুস্থ রাখা আমাদেরই দায়িত্ব। তিনি বলেন একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৯৯০ সালে এ দেশে পাঁচ বছর বয়সের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১০০০ জনে ১৭৫ থেকে ১৮৫ জন, কিন্তু ইউএনডিপির “সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-২০৩০” বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায়, স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি নীতিমালার মাধ্যমে ও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের বিবিধ উন্নয়নের কারনে ২০২১ সাল নাগাদ এই মত্যু হার ৩০ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বর্তমানে তার একটি গবেষনা কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন ইদানিং প্রতিদিনই চেম্বারে কিছু বাচ্চা রোগী অভিভাবকবৃন্দ নিয়ে আসছেন যারা ২-৩ বছর বয়সের হলেও কথা বলতে পারছেনা এবং এসব বাচ্চাকে ৬ মাস বয়স থেকেই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ এর মাধ্যমে কার্টুন ছবি দেখানো হয়। এতে বাচ্চাগুলো মায়ের ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্থ হচ্ছেনা, যা তার মানসিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পরছে। তিনি অভিভাবকবৃন্দদেরকে এ ব্যপারে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ইমপেরিয়াল হাসপাতাল পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা.ফয়সল আহমেদ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু রোগ চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার উপর মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে গর্ভকালীন মায়ের যত্ন, অপরিপক্ক শিশুর যত্ন ও শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডা. হাসান জাহিদ, ডা. আরমান যাইদ ও ডা. রহিমা আক্তার ।

ডা. ফারজানা হায়দার চৌধুরীর উপস্থাপনায় শিশুদের অভিভাবকবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, শাপলা পাল ও সৈয়দা মারিয়া হাসান।

তারা বলেন. প্রিমেচিউর শিশু জন্মের পর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগ এই অঞ্চলে অনন্য ও আসাধারণ। চট্টগ্রামবাসি সহ আমরা তাদের এই বিশ্বমানের সেবা পাচ্ছি এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট অধ্যাপক ডা. রাশেদা সামাদ।