নিজস্ব প্রতিবেদক:  পিএইচপি পরিবারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্লোট গ্লাসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে বাঁধ দিয়ে পাহাড়ি প্রাকৃতিক ছড়া বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করেন।

এ মামলার খবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশ হওয়ার পর পিএইচপি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইকবাল হোসেন, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক ও উপদেষ্টা সম্পাদক আয়ান শর্মাকে টানা দুই দিন ধরে ফোন করে অশালীন আচরন, হুমকি, মামলা ও সরকারি একটি প্রতিষ্টানের নাম ব্যবহার করে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। ২৩ মিনিটের কলরেকর্ড ও ৭৯টি এসএমএসের মধ্যে, ৮ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি রেকর্ডে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ ছাড়াও বহুবার রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের নাম ব্যবহার করে সরাসরি তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়া তিনি একই ধরনের হুমকি দিয়ে অন্তত ৭৯টি এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পাঠান তার মোবাইল নম্বর থেকে।

হুমকিদাতা ইকবাল হোসেন স্বনামধন্য পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সম্প্রতি একুশে পদকপ্রাপ্ত মিজানুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার অনারারি কনসালও।

আয়ান শর্মা দি ক্রাইমকে বলেন, আমরা তার ৮ মিনিটের অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছি। ২২ মিনিটের আরেকটি ক্লিপ আছে, যেটি এতোটাই অশ্রাব্য, প্রকাশ করা সঠিক মনে করছি না।

তিনি আরো জানান, ইকবাল হোসেন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর নাম ব্যবহার করে তাকে ভয় দেখান। নিজেকে মুসলমান উল্লেখ করে তাকে বলেন, ‘তুই এদেশে থাকতে পারবি না।’ এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, হত্যার হুমকি ও মানহানির অভিযোগে সিএমএম আদালতে মামলা করেছেন আয়ান শর্মা। ডিজিএফআই চট্টগ্রামের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবকেও বিষয়টি অবহিত করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য গত ৪ মার্চ চট্টগ্রাম প্রতিদিনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল ‘চট্টগ্রামে পাহাড়ের টিলা কেটে সর্বনাশা বাঁধ, ইকবালসহ পিএইচপির তিনজন মামলার জালে’।  এই গ্রুপের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে মামলা দায়ের করেন। যে মামলার বরাত দিয়ে সেই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাহাড়ের টিলা কেটে বাঁধ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি খাল বা ছড়ার স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে পিএইচপি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস তৈরি করে কৃত্রিম জলাধার— যা দিয়ে তাদের আমের বাগানে পানি দেওয়া হচ্ছিল। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ছড়া ব্যবহার করতে না পেরে এলাকাবাসী পড়ে গেছে চরম ভোগান্তিতে। মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে খালের ওপর বাঁধ দিয়ে সেই পানি নিজেদের কাজে ব্যবহার করার এমন ঘটনা জেনে পরিবেশ অধিদপ্তর সরেজমিন অনুসন্ধানে যায়। এরপর ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত মুচলেকা দেওয়ার পরও সেই বাঁধ না সরানোয় শেষ পর্যন্ত পিএইচপির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড পাহাড়ে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানার পূর্ব পাশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের নির্দেশে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে থানায় দেওয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগে বলা হয়। সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের করা মামলায় পিএইচপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, কারখানার আমবাগান প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলফাতুন ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান অভিজিৎ চক্রবর্তীকে আসামি করা হয়।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম প্রতিদিনে এই খবরটি প্রকাশের পর গত ৮ মার্চ দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পিএইচপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন করেন। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক আয়ান শর্মার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করে হুমকি, অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলতে থাকেন।

৮ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড ধারনকৃত ফোনালাপ রেকর্ডে শোনা যায়, পিএইচপি গ্রুপের এমডি ইকবাল হোসেন শুরুতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জানতে চান, চট্টগ্রাম প্রতিদিনে কেন এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে? এরপর শুরু করেন অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ হুমকি। একাধিকবার সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন— ‘চ্যালেঞ্জ তোকে নিতে হবে, তুঁই দেখবি, আমি কে, তুঁই চড়বি বাসে, আমি চড়বো বিমানে, ছাগলের বাচ্চা তিন মিনিট লাগবে না তােরে তুলে নিয়ে আসতে। ক্ষমা চাইবি কি’না বল!’

এবং চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রকাশকের ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে ইকবাল হোসেন সাম্প্রদায়িক বিষোদগারও করেন এই বলে— ‘আমি মুসলমাইন্না, তুই এদেশে থাকতে পারবি না, কচু কাটা করবো তােমাকে শুয়ােরের বাচ্চা।’

ইকবাল হোসেন বলেন, ‘যে অ্যামবেসিই ধরো, তুমি মনে হয় আমার কানেকশন জান না…।’

কথা বলার একপর্যায়ে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেল খাটানো ছাড়াও আর্থিকভাবে হয়রানি করারও হুমকি দেন। মোবাইল ফোনে রাতভর হুমকি-ধমকি-গালিগালাজের পর চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক আয়ান শর্মা তার মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে পিএইচপির এমডি ইকবাল হোসেন এরপর ক্রমাগত এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে থাকেন। পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় তিনি মোট ৭৯টি এসএমএস পাঠান— যার সবকটিতেই ছিল মিথ্যা মামলায় জড়ানো, প্রাণনাশ, গুম, তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি। এ সময় তিনি পিএইচপি গ্রুপের মালিকানা ও পরিচালনায় থাকা এটিএন বাংলা ও আমাদের সময়সহ ৪-৫টি টিভি ও পত্রিকায় চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রকাশকের নামে মিথ্যা খবর প্রকাশেরও হুমকি দেন।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক আয়ান শর্মা। বর্তমান তিনি ও তার পরিবার গুম হওয়ার ঝুঁকিতে ও নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক:  পিএইচপি পরিবারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্লোট গ্লাসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে বাঁধ দিয়ে পাহাড়ি প্রাকৃতিক ছড়া বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করেন।

এ মামলার খবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশ হওয়ার পর পিএইচপি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইকবাল হোসেন, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক ও উপদেষ্টা সম্পাদক আয়ান শর্মাকে টানা দুই দিন ধরে ফোন করে অশালীন আচরন, হুমকি, মামলা ও সরকারি একটি প্রতিষ্টানের নাম ব্যবহার করে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। ২৩ মিনিটের কলরেকর্ড ও ৭৯টি এসএমএসের মধ্যে, ৮ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি রেকর্ডে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ ছাড়াও বহুবার রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের নাম ব্যবহার করে সরাসরি তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়া তিনি একই ধরনের হুমকি দিয়ে অন্তত ৭৯টি এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পাঠান তার মোবাইল নম্বর থেকে।

হুমকিদাতা ইকবাল হোসেন স্বনামধন্য পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সম্প্রতি একুশে পদকপ্রাপ্ত মিজানুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার অনারারি কনসালও।

আয়ান শর্মা দি ক্রাইমকে বলেন, আমরা তার ৮ মিনিটের অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছি। ২২ মিনিটের আরেকটি ক্লিপ আছে, যেটি এতোটাই অশ্রাব্য, প্রকাশ করা সঠিক মনে করছি না।

তিনি আরো জানান, ইকবাল হোসেন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর নাম ব্যবহার করে তাকে ভয় দেখান। নিজেকে মুসলমান উল্লেখ করে তাকে বলেন, ‘তুই এদেশে থাকতে পারবি না।’ এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, হত্যার হুমকি ও মানহানির অভিযোগে সিএমএম আদালতে মামলা করেছেন আয়ান শর্মা। ডিজিএফআই চট্টগ্রামের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবকেও বিষয়টি অবহিত করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য গত ৪ মার্চ চট্টগ্রাম প্রতিদিনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল ‘চট্টগ্রামে পাহাড়ের টিলা কেটে সর্বনাশা বাঁধ, ইকবালসহ পিএইচপির তিনজন মামলার জালে’।  এই গ্রুপের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে মামলা দায়ের করেন। যে মামলার বরাত দিয়ে সেই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাহাড়ের টিলা কেটে বাঁধ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি খাল বা ছড়ার স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে পিএইচপি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস তৈরি করে কৃত্রিম জলাধার— যা দিয়ে তাদের আমের বাগানে পানি দেওয়া হচ্ছিল। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ছড়া ব্যবহার করতে না পেরে এলাকাবাসী পড়ে গেছে চরম ভোগান্তিতে। মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে খালের ওপর বাঁধ দিয়ে সেই পানি নিজেদের কাজে ব্যবহার করার এমন ঘটনা জেনে পরিবেশ অধিদপ্তর সরেজমিন অনুসন্ধানে যায়। এরপর ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত মুচলেকা দেওয়ার পরও সেই বাঁধ না সরানোয় শেষ পর্যন্ত পিএইচপির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড পাহাড়ে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানার পূর্ব পাশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের নির্দেশে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে থানায় দেওয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগে বলা হয়। সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের করা মামলায় পিএইচপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, কারখানার আমবাগান প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলফাতুন ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান অভিজিৎ চক্রবর্তীকে আসামি করা হয়।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম প্রতিদিনে এই খবরটি প্রকাশের পর গত ৮ মার্চ দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পিএইচপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন করেন। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক আয়ান শর্মার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করে হুমকি, অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলতে থাকেন।

৮ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড ধারনকৃত ফোনালাপ রেকর্ডে শোনা যায়, পিএইচপি গ্রুপের এমডি ইকবাল হোসেন শুরুতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জানতে চান, চট্টগ্রাম প্রতিদিনে কেন এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে? এরপর শুরু করেন অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ হুমকি। একাধিকবার সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন— ‘চ্যালেঞ্জ তোকে নিতে হবে, তুঁই দেখবি, আমি কে, তুঁই চড়বি বাসে, আমি চড়বো বিমানে, ছাগলের বাচ্চা তিন মিনিট লাগবে না তােরে তুলে নিয়ে আসতে। ক্ষমা চাইবি কি’না বল!’

এবং চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রকাশকের ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে ইকবাল হোসেন সাম্প্রদায়িক বিষোদগারও করেন এই বলে— ‘আমি মুসলমাইন্না, তুই এদেশে থাকতে পারবি না, কচু কাটা করবো তােমাকে শুয়ােরের বাচ্চা।’

ইকবাল হোসেন বলেন, ‘যে অ্যামবেসিই ধরো, তুমি মনে হয় আমার কানেকশন জান না…।’

কথা বলার একপর্যায়ে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেল খাটানো ছাড়াও আর্থিকভাবে হয়রানি করারও হুমকি দেন। মোবাইল ফোনে রাতভর হুমকি-ধমকি-গালিগালাজের পর চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক আয়ান শর্মা তার মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে পিএইচপির এমডি ইকবাল হোসেন এরপর ক্রমাগত এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে থাকেন। পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় তিনি মোট ৭৯টি এসএমএস পাঠান— যার সবকটিতেই ছিল মিথ্যা মামলায় জড়ানো, প্রাণনাশ, গুম, তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি। এ সময় তিনি পিএইচপি গ্রুপের মালিকানা ও পরিচালনায় থাকা এটিএন বাংলা ও আমাদের সময়সহ ৪-৫টি টিভি ও পত্রিকায় চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রকাশকের নামে মিথ্যা খবর প্রকাশেরও হুমকি দেন।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক আয়ান শর্মা। বর্তমান তিনি ও তার পরিবার গুম হওয়ার ঝুঁকিতে ও নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।