কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের আদালত পাড়া থেকে পুলিশ পরিচয়ে এক নারীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের আদালত পাড়ার মসজিদ মার্কেটস্থ আইনজীবী চেম্বারের সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে বাহারছড়ায় এক বাড়িতে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবী করেছে এক নারী।

ওই নারী দাবী করেছেন, হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিষয়ে আইনজীবীর সাথে কথা বলতে এসে তিনি বিপদে পড়েন। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫ জনসহ ৯ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দিয়েছেন তিনি।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই নারীকে ফিরোজ আহমদ বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। তিনি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো নিয়মিত। সর্বশেষ গত সোমবার (১৪ মার্চ) বেলা ২ টার দিকে কক্সবাজার আদলত পাড়ায় অ্যাডভোকেট একরামুল হুদার চেম্বার থেকে বের হলে আসামীরা আমাকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে একটি নোহা গাড়ীতে তুলে কক্সবাজার ল্যাবরেটরি স্কুল সংলগ্ন (বাহারছড়া) ফিরোজের আত্মীয় জনৈক ফজল কাদেরের সেমিপাকা টিনশেড বাসায় নিয়ে একটি রুমে আটকে রাখে। তারপর হত্যার হমকি এবং ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। দলবদ্ধ ধর্ষণের ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় রাস্তায় থাকা এক ব্যক্তি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ কল দিলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

ঘটনার কারন সম্পর্কে ভিকটিম আরো বলেন, ২০২১ সালে ২৩ মে রাতে তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হানাদেয়। এসময় ক্ষুর দিয়ে তার নাক, ঠুট কেটে নিয়ে শরীরের নানা স্থানে তাকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দীর্ঘ কয়েক মাস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সম্প্রতি বাড়ি ফিরেন তিনি। এ ঘটনায় মামলা হলে চিহ্নিত ডাকাত মোরশেদ আত্মসমর্পণ করে। ১৫ মার্চ সেই মামলার ধার্য তারিখ। তার জামিনের বিরোধিতা ও ন্যায় বিচার পেতে করনীয় নির্ধারণে আইনজীবীর সাথে আগাম পরামর্শ করতে আদালত পাড়ায় আসেন তিনি। সোমবারের ঘটনা সংগঠনকারিরা মোরশেদসহ অপরাধীদের নিয়ন্ত্রক। তার জামিনের যেন বিরোধীতা না করতে পারি সেজন্যই এ ঘটনা বলেও ধারণা তার। ফিরোজ ও রাসেল উদ্দিন পুলিশের দালাল হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ( তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে সোমবার বিকেলে ওই নারীকে উদ্ধার করি। পরে ওই নারী একটি এজাহার জমা দিয়েছে।

ওই নারীর পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজাহার দেয়ার পর ওই নারী কোথায় গেছে জানিনা। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ কল দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এজাহার নিয়ে থানায় যেতে ওই নারীকে পরামর্শ দেয়া হয়। ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, গুরুত্ব সহকারে যেন এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হয়। এজাহার জমা হয়েছে, নিয়মমতো আইনি ব্যবস্থা হবে।

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের আদালত পাড়া থেকে পুলিশ পরিচয়ে এক নারীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের আদালত পাড়ার মসজিদ মার্কেটস্থ আইনজীবী চেম্বারের সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে বাহারছড়ায় এক বাড়িতে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবী করেছে এক নারী।

ওই নারী দাবী করেছেন, হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিষয়ে আইনজীবীর সাথে কথা বলতে এসে তিনি বিপদে পড়েন। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫ জনসহ ৯ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দিয়েছেন তিনি।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই নারীকে ফিরোজ আহমদ বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। তিনি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো নিয়মিত। সর্বশেষ গত সোমবার (১৪ মার্চ) বেলা ২ টার দিকে কক্সবাজার আদলত পাড়ায় অ্যাডভোকেট একরামুল হুদার চেম্বার থেকে বের হলে আসামীরা আমাকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে একটি নোহা গাড়ীতে তুলে কক্সবাজার ল্যাবরেটরি স্কুল সংলগ্ন (বাহারছড়া) ফিরোজের আত্মীয় জনৈক ফজল কাদেরের সেমিপাকা টিনশেড বাসায় নিয়ে একটি রুমে আটকে রাখে। তারপর হত্যার হমকি এবং ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। দলবদ্ধ ধর্ষণের ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় রাস্তায় থাকা এক ব্যক্তি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ কল দিলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

ঘটনার কারন সম্পর্কে ভিকটিম আরো বলেন, ২০২১ সালে ২৩ মে রাতে তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হানাদেয়। এসময় ক্ষুর দিয়ে তার নাক, ঠুট কেটে নিয়ে শরীরের নানা স্থানে তাকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দীর্ঘ কয়েক মাস চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সম্প্রতি বাড়ি ফিরেন তিনি। এ ঘটনায় মামলা হলে চিহ্নিত ডাকাত মোরশেদ আত্মসমর্পণ করে। ১৫ মার্চ সেই মামলার ধার্য তারিখ। তার জামিনের বিরোধিতা ও ন্যায় বিচার পেতে করনীয় নির্ধারণে আইনজীবীর সাথে আগাম পরামর্শ করতে আদালত পাড়ায় আসেন তিনি। সোমবারের ঘটনা সংগঠনকারিরা মোরশেদসহ অপরাধীদের নিয়ন্ত্রক। তার জামিনের যেন বিরোধীতা না করতে পারি সেজন্যই এ ঘটনা বলেও ধারণা তার। ফিরোজ ও রাসেল উদ্দিন পুলিশের দালাল হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ( তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে সোমবার বিকেলে ওই নারীকে উদ্ধার করি। পরে ওই নারী একটি এজাহার জমা দিয়েছে।

ওই নারীর পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজাহার দেয়ার পর ওই নারী কোথায় গেছে জানিনা। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ কল দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এজাহার নিয়ে থানায় যেতে ওই নারীকে পরামর্শ দেয়া হয়। ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, গুরুত্ব সহকারে যেন এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হয়। এজাহার জমা হয়েছে, নিয়মমতো আইনি ব্যবস্থা হবে।