মিজবাউল হক, চকরিয়া : পথে পথে বাধা উপেক্ষা করে শুকরিয়া সভা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে হামলা ও ভাংচুর চালানোর পরও থামাতে পারেনি জনসভাটি। স্বরণাতীতকালে এতো বড় জনসভা চোখে পড়েনি সাধারণ মানুষের চোখে। দুপুর ১২টা থেকে বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে শতশত নারী-পুরুষ।

বিকাল দুইটার মধ্যে লোকারন্য হয়ে যায় শুকরিয়া সভাটি। বিকাল তিনটার মধ্যে জনসভায় তিল পরিমান ঠাই ছিল না। মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি বহর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। একইভাবে আভ্যন্তরীণ সড়ক গুলোতেও। শুধু সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিকে একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। মাইলের পর মাইল হেটে হেটে জনসভায় যোগদান করেন নারী-পুরুষ। এরইমধ্যে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সভাস্থল। অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ সভাস্থলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বুধবার বিকাল তিনটায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আলমের পরিচালনায় চকরিয়া পৌরসভা শহীদ আবদুল হামিদ বাসটার্মিনালে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন লাভ করায় শুকরিয়া সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এদিন সকাল থেকে নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে শ্লোগান সহকারে আসতে থাকে জনতা। দুপুরের পরই জনসভাটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়। জনসভায় অংশ নিতে আসা অনেকের হাতে ছিল নৌকা প্রতীক, ব্যানার ও ফেস্টুন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও আসে মিছিল।

এদিন বিকাল ৫টার দিকে জনসভায় সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি স¯্রাধিক গাড়িরবহর নিয়ে জনসভাস্থলে যোগদান করেন। এসময় তিনি দুই হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান সমর্থদের। জনসভাস্থলে আসা মানুষদের দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

জনসভায় সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনে তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও এ দুই উপজেলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জনসভায় আসার সময় বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সাংসদের লোকজন হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। সাহারবিলের ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতাদের হামলা করেছে। মানুষ নির্যাতনের জবাব দিতে সভাস্থলে চলে এসেছে। এর জবাব দেবেন আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা স্বরণ করে দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, সম্প্রতি মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র, এলএমজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। পেকুয়ার মগনামাতে শেখ হাসিনা নৌ-ঘাটি করেছেন। কক্সবাজার বিমানবন্দর ও মেডিকেল কলেজও করেছেন। এতো উন্নয়ন স্বাধীনতার আর কোন সরকার করেনি। তিনি বলেন, বর্তমান সাংসদ জাফর আলম দীর্ঘ পাঁচটি বছর এই অঞ্চলের মানুষকে নানাভাবে হয়রানী ও নিযার্তন করেছে। জমি দখল, চিংড়িঘের দখল, গরু চুরি, অনিয়ম ও দূর্নীতি করে কোটি কোটি বানিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন। তার কারণে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এই এলাকার মানুষ পরিবর্তনের দাবী করেছিলো। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সেবা করার জন্য আমাকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি আপনাদের সেবা করতে চাই। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচিত হলে আপনারা দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারবেন। সবধরণের দখল-বেদখল, চাঁদাবাজি ও অত্যাচার বন্ধ করা হবে।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে হারবাং ইনানীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপিকে বরণ করে নেন চকরিয়া ও উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। পরে মোটরশোভা যাত্রা করে চকরিয়া পৌরসভার বাসটার্মিনালে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে তারা পুরো জনসভাস্থল মুখরিত করে তোলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি সাফিয়া খাতুন, রেজাউল করিম, এসএম গিয়াস উদ্দিন, মিজানুর রহমান, জিএম কাসেম, জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, মহসিন বাবুল, জামাল উদ্দিন জয়নাল, যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, স্বেচ্চাসেবকলীগ সভাপতি শওকত হোসেন, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক, ঢেমুশিয়ার চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন চৌধুরী, লক্ষ্যারচর চেয়ারম্যান আওরঙ্গজেব বুলেট, বিএমচর চেয়ারমান এসএম জাহাঙ্গীর আলম, বদরখালীর চেয়ারম্যান নুরে হোসেন আরিফ, সাবেক নুরুল আমিন, কাকারার চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও এডভোকেট ফয়জুল কবির। যুবলীগ নেতা হাসানগীর, ছাত্রলীগ নেতা রুবেল, আকিত, নুরুল আমিন টিপু ও বুলেট।

মিজবাউল হক, চকরিয়া : পথে পথে বাধা উপেক্ষা করে শুকরিয়া সভা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে হামলা ও ভাংচুর চালানোর পরও থামাতে পারেনি জনসভাটি। স্বরণাতীতকালে এতো বড় জনসভা চোখে পড়েনি সাধারণ মানুষের চোখে। দুপুর ১২টা থেকে বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে শতশত নারী-পুরুষ।

বিকাল দুইটার মধ্যে লোকারন্য হয়ে যায় শুকরিয়া সভাটি। বিকাল তিনটার মধ্যে জনসভায় তিল পরিমান ঠাই ছিল না। মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি বহর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। একইভাবে আভ্যন্তরীণ সড়ক গুলোতেও। শুধু সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিকে একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। মাইলের পর মাইল হেটে হেটে জনসভায় যোগদান করেন নারী-পুরুষ। এরইমধ্যে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সভাস্থল। অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ সভাস্থলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বুধবার বিকাল তিনটায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আলমের পরিচালনায় চকরিয়া পৌরসভা শহীদ আবদুল হামিদ বাসটার্মিনালে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন লাভ করায় শুকরিয়া সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এদিন সকাল থেকে নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে শ্লোগান সহকারে আসতে থাকে জনতা। দুপুরের পরই জনসভাটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়। জনসভায় অংশ নিতে আসা অনেকের হাতে ছিল নৌকা প্রতীক, ব্যানার ও ফেস্টুন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও আসে মিছিল।

এদিন বিকাল ৫টার দিকে জনসভায় সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি স¯্রাধিক গাড়িরবহর নিয়ে জনসভাস্থলে যোগদান করেন। এসময় তিনি দুই হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান সমর্থদের। জনসভাস্থলে আসা মানুষদের দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

জনসভায় সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনে তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও এ দুই উপজেলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জনসভায় আসার সময় বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সাংসদের লোকজন হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। সাহারবিলের ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতাদের হামলা করেছে। মানুষ নির্যাতনের জবাব দিতে সভাস্থলে চলে এসেছে। এর জবাব দেবেন আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা স্বরণ করে দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, সম্প্রতি মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র, এলএমজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্রবন্দর ও রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। পেকুয়ার মগনামাতে শেখ হাসিনা নৌ-ঘাটি করেছেন। কক্সবাজার বিমানবন্দর ও মেডিকেল কলেজও করেছেন। এতো উন্নয়ন স্বাধীনতার আর কোন সরকার করেনি। তিনি বলেন, বর্তমান সাংসদ জাফর আলম দীর্ঘ পাঁচটি বছর এই অঞ্চলের মানুষকে নানাভাবে হয়রানী ও নিযার্তন করেছে। জমি দখল, চিংড়িঘের দখল, গরু চুরি, অনিয়ম ও দূর্নীতি করে কোটি কোটি বানিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন। তার কারণে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এই এলাকার মানুষ পরিবর্তনের দাবী করেছিলো। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সেবা করার জন্য আমাকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি আপনাদের সেবা করতে চাই। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচিত হলে আপনারা দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারবেন। সবধরণের দখল-বেদখল, চাঁদাবাজি ও অত্যাচার বন্ধ করা হবে।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে হারবাং ইনানীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপিকে বরণ করে নেন চকরিয়া ও উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। পরে মোটরশোভা যাত্রা করে চকরিয়া পৌরসভার বাসটার্মিনালে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে তারা পুরো জনসভাস্থল মুখরিত করে তোলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি সাফিয়া খাতুন, রেজাউল করিম, এসএম গিয়াস উদ্দিন, মিজানুর রহমান, জিএম কাসেম, জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, মহসিন বাবুল, জামাল উদ্দিন জয়নাল, যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, স্বেচ্চাসেবকলীগ সভাপতি শওকত হোসেন, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক, ঢেমুশিয়ার চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন চৌধুরী, লক্ষ্যারচর চেয়ারম্যান আওরঙ্গজেব বুলেট, বিএমচর চেয়ারমান এসএম জাহাঙ্গীর আলম, বদরখালীর চেয়ারম্যান নুরে হোসেন আরিফ, সাবেক নুরুল আমিন, কাকারার চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও এডভোকেট ফয়জুল কবির। যুবলীগ নেতা হাসানগীর, ছাত্রলীগ নেতা রুবেল, আকিত, নুরুল আমিন টিপু ও বুলেট।