মিজবাউল হক, চকরিয়া : আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে নানা মাত্রায় ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতি। জোরেশোরে নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে দেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের মধ্যে। ইতোমধ্যে এসব দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদান সম্পন্ন হয়েছে। এক ধরণের উৎসবের আমেজ দেখা যাচ্ছে অংশ নেওয়া রাজনৈতিকদল গুলোর নেতাকর্মীর মধ্যে।

এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিএনপিসহ সমমনা দল গুলো। বিএনপিসহ তাদের কয়েকটি মিত্র দল মিলে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা নির্বাচন বানচল করার জন্য হরতাল ও অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালন করছেন। এরপরও আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দল নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

এদিকে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। এনিয়ে গত সপ্তাহ ধরে চলছে ভোটারের মধ্যে নানা আলোচনা। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এনিয়ে মানুষজনদের মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সমর্থকদের মাঝে চলছে চরম একধরণের উত্তেজনা। সারাদিন রাস্তাঘাটে চায়ের দোকানে, যাত্রীবাহি গাড়িতে কারো সাথে দেখা মিললে খোঁজ নিচ্ছে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি।

আগামীকাল ২৬ নভেম্বর রবিবারের মধ্যে জানা যাবে নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন। এরই মধ্যে জোরেশোরে নাম শোনা যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দূর্দিনে দলের তিনবারের মনোনয়ন পাওয়া সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি ও জাতীয় পার্টি (জেপি’র) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সাংসদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মাহমুদ। এদের মধ্যে যে কেউই মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে আওয়মী লীগের তিন’শ জনের নামের তালিকায় সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির নাম এগিয়ে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত জোটগত হলে সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদের নাম আসার সম্ভবনা রয়েছেন বলে জানান ওই সূত্রটি। অপরদিকে নানা বির্তকিত কর্মকান্ডে বর্তমান সাংসদ জাফর আলমের নাম বাদ পড়েছেন মনোনয়নের তালিকা থেকে।

গত পাঁচবছরে জাফর আলম এমপি দলকে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। ত্যাগী নেতাকর্মীদের হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দলের জন্য ত্যাগী ও দলের বিরুদ্ধাচরণ করেনি এবং দলীয় নেতাকর্মী-সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হবে। বিতর্কিত ব্যক্তিরা কোন ধরণের মনোনয়ন পাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু নৌকা পাননি তাদের মুল্যায়ন করা হবে। উদীয়মান বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে যুগের সাথে খাপ খেয়ে নতুন নেতৃত্বকে দেশের ভার তুলে দিতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, সর্বশেষ ৩৩৬২ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। আজ রবিবার সকাল ১০টায় গণভবনে মনোননয়ন প্রত্যাশীদের সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিকাল ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের তিন’শ জনের তালিকা ঘোষণা করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারে মনোনয়ন পাওয়া সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি, সাবেক সাংসদ সাফিয়া খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজিব, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রাশেদুল ইসলাম ও এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল করিম, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন বাবর, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা শাখার সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম কনক, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও জাপা নেতা সামসুল আলম।

মিজবাউল হক, চকরিয়া : আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে নানা মাত্রায় ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতি। জোরেশোরে নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে দেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের মধ্যে। ইতোমধ্যে এসব দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদান সম্পন্ন হয়েছে। এক ধরণের উৎসবের আমেজ দেখা যাচ্ছে অংশ নেওয়া রাজনৈতিকদল গুলোর নেতাকর্মীর মধ্যে।

এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিএনপিসহ সমমনা দল গুলো। বিএনপিসহ তাদের কয়েকটি মিত্র দল মিলে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা নির্বাচন বানচল করার জন্য হরতাল ও অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালন করছেন। এরপরও আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দল নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

এদিকে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। এনিয়ে গত সপ্তাহ ধরে চলছে ভোটারের মধ্যে নানা আলোচনা। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এনিয়ে মানুষজনদের মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সমর্থকদের মাঝে চলছে চরম একধরণের উত্তেজনা। সারাদিন রাস্তাঘাটে চায়ের দোকানে, যাত্রীবাহি গাড়িতে কারো সাথে দেখা মিললে খোঁজ নিচ্ছে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি।

আগামীকাল ২৬ নভেম্বর রবিবারের মধ্যে জানা যাবে নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন। এরই মধ্যে জোরেশোরে নাম শোনা যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দূর্দিনে দলের তিনবারের মনোনয়ন পাওয়া সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি ও জাতীয় পার্টি (জেপি’র) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সাংসদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মাহমুদ। এদের মধ্যে যে কেউই মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে আওয়মী লীগের তিন’শ জনের নামের তালিকায় সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির নাম এগিয়ে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত জোটগত হলে সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদের নাম আসার সম্ভবনা রয়েছেন বলে জানান ওই সূত্রটি। অপরদিকে নানা বির্তকিত কর্মকান্ডে বর্তমান সাংসদ জাফর আলমের নাম বাদ পড়েছেন মনোনয়নের তালিকা থেকে।

গত পাঁচবছরে জাফর আলম এমপি দলকে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। ত্যাগী নেতাকর্মীদের হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দলের জন্য ত্যাগী ও দলের বিরুদ্ধাচরণ করেনি এবং দলীয় নেতাকর্মী-সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হবে। বিতর্কিত ব্যক্তিরা কোন ধরণের মনোনয়ন পাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু নৌকা পাননি তাদের মুল্যায়ন করা হবে। উদীয়মান বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে যুগের সাথে খাপ খেয়ে নতুন নেতৃত্বকে দেশের ভার তুলে দিতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, সর্বশেষ ৩৩৬২ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। আজ রবিবার সকাল ১০টায় গণভবনে মনোননয়ন প্রত্যাশীদের সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিকাল ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের তিন’শ জনের তালিকা ঘোষণা করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারে মনোনয়ন পাওয়া সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি, সাবেক সাংসদ সাফিয়া খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজিব, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রাশেদুল ইসলাম ও এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল করিম, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন বাবর, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা শাখার সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম কনক, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও জাপা নেতা সামসুল আলম।