মিজবাউল হক, চকরিয়া: এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চমক আসছে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সূত্র! এই আসনে মনোনয়ন পেতে বর্তমান সাংসদ সহ একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে আলোচনা এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক।

আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কাকারা শাহ ওমর (রা:) মাজার শরীফ জেয়ারতের মাধ্যমে গণসংযোগ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় শুরু করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলেও দাবী করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের একটি রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা না হলেও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বইছে ভোটের হাওয়া। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, ভোট কেমন হবে, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি-না এসব আলোচনা তাদের মুখে। কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় বেশ কয়েক জনের নাম আলোচনায় এসেছে।

এরমধ্যে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় এসেছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল হোছাইন সিকদারের পুত্র এবং ফেনির সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক। ইতিমধ্যে তিনি এলাকায়ও বেশ জনপ্রিয় ও গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তার মতো জনপ্রিয় নতুন মুখকে প্রার্থী করে যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নানা ধরণের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের কাছে জোর লবিং-তদবির করছেন অনেক নেতা। তারা সভা-সভাবেশ, ব্যানার ও পোস্টার ছাপিয়ে আগাম প্রার্থীতার জানান দিতে শুরু করেছেন।

তবে, এরি মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক নিয়ে মাঠে ময়দানে চলছে জোরালো আলোচনা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে
তাঁকেই প্রার্থী করা হচ্ছে– এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বমহলে। আমিনুল হক ছাড়াও বর্তমান সাংসদ জাফর আলম ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির নামও আলোচনায় রয়েছে।

আমিনুল হক ১৯৬০ সালের ৪ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়ারকুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এরপর বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৮ সালের ৯ এপ্রিল সহকারী জজ হিসেবে বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে ধাপে ধাপে সফলতা দেখিয়ে পদোন্নতি লাভ করে ৩১ বছর সুনামের সহিত চাকুরী করেন।

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল পরিবেশ ও আপিল আদালতের সিনিয়র জেলা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ফেনির জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মজীবন পার করেন। অবসরের পর তার মধ্যে জনসেবার একটি মনোবাসনা জাগ্রত হয়। একজন যোগ্য পিতার উত্তরসরী হিসেবে তিনি জনগণের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান।

চাকুরী থেকে অবসরে যাওযার পর জজ আমিনুল হক নিজ এলাকায় এসে জনগণের কাছে তার জনসেবার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি যথেষ্ট সাড়া পান। তখন তার মধ্যে নতুন করে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে অনুপ্রানিত করে। প্রধানমন্ত্রী শুধু
বাংলাদেশের নেত্রী নন। তিনি বিশ্বের জন্য একজন রোল মডেল। তাই জননেত্রীর স্বপ্ন পুরণে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে জনগনের সেবক হতে চাই।

তিনি আরো বলেন, দলের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া সেটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তবে আমি একজন কর্মী হয়ে কাজ করে যেতে চাই।

মিজবাউল হক, চকরিয়া: এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চমক আসছে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সূত্র! এই আসনে মনোনয়ন পেতে বর্তমান সাংসদ সহ একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে আলোচনা এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক।

আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কাকারা শাহ ওমর (রা:) মাজার শরীফ জেয়ারতের মাধ্যমে গণসংযোগ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় শুরু করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলেও দাবী করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের একটি রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা না হলেও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বইছে ভোটের হাওয়া। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, ভোট কেমন হবে, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি-না এসব আলোচনা তাদের মুখে। কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় বেশ কয়েক জনের নাম আলোচনায় এসেছে।

এরমধ্যে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় এসেছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল হোছাইন সিকদারের পুত্র এবং ফেনির সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক। ইতিমধ্যে তিনি এলাকায়ও বেশ জনপ্রিয় ও গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তার মতো জনপ্রিয় নতুন মুখকে প্রার্থী করে যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নানা ধরণের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের কাছে জোর লবিং-তদবির করছেন অনেক নেতা। তারা সভা-সভাবেশ, ব্যানার ও পোস্টার ছাপিয়ে আগাম প্রার্থীতার জানান দিতে শুরু করেছেন।

তবে, এরি মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক নিয়ে মাঠে ময়দানে চলছে জোরালো আলোচনা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে
তাঁকেই প্রার্থী করা হচ্ছে– এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বমহলে। আমিনুল হক ছাড়াও বর্তমান সাংসদ জাফর আলম ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির নামও আলোচনায় রয়েছে।

আমিনুল হক ১৯৬০ সালের ৪ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়ারকুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এরপর বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৮ সালের ৯ এপ্রিল সহকারী জজ হিসেবে বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে ধাপে ধাপে সফলতা দেখিয়ে পদোন্নতি লাভ করে ৩১ বছর সুনামের সহিত চাকুরী করেন।

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল পরিবেশ ও আপিল আদালতের সিনিয়র জেলা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ফেনির জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মজীবন পার করেন। অবসরের পর তার মধ্যে জনসেবার একটি মনোবাসনা জাগ্রত হয়। একজন যোগ্য পিতার উত্তরসরী হিসেবে তিনি জনগণের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান।

চাকুরী থেকে অবসরে যাওযার পর জজ আমিনুল হক নিজ এলাকায় এসে জনগণের কাছে তার জনসেবার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি যথেষ্ট সাড়া পান। তখন তার মধ্যে নতুন করে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে অনুপ্রানিত করে। প্রধানমন্ত্রী শুধু
বাংলাদেশের নেত্রী নন। তিনি বিশ্বের জন্য একজন রোল মডেল। তাই জননেত্রীর স্বপ্ন পুরণে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে জনগনের সেবক হতে চাই।

তিনি আরো বলেন, দলের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া সেটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তবে আমি একজন কর্মী হয়ে কাজ করে যেতে চাই।