লামা প্রতিনিধি। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের পরিচয়ে এক পাতি নেতা কর্তৃক হামলার শিকার এক প্রান্তিক কৃষক। কৃষকের ক্রয়কৃত ও দখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের জন্য দলবদ্ধ হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। ছাত্র নেতাসহ পরিবারের অন্যান্যরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নারী শিশুসহ কৃষককে আহত করে। এই ঘটনায় প্রান্তিক কৃষক লামা থানায় অভিযোগ করলে, হামলাকারীরাও নিজেদের গায়ে হাতে ব্লেটের আছড় লাগিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন।
কৃষক মজনুর লিখিত অভিযোগে জানান, “ঘটনার ১ম দিন বিবাদীরা আমাকে ক্রয়কৃত দখলীয় জমি ছেড়ে যাওয়ার জন্য অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তারা বলে, তোর বাপের জায়গা নাকি এখানে মাস্তানি করছস কেটে নদীতে ভাসাই দিমু”। এই ঘটনার পরদিন রুপসীপাড়া ইউপিস্থ কৃষক মঞ্জুর তার জমিতে ধান চাষের বীজতলা তৈরির পর ক্লান্ত শরীরে খামারে যায়। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিবাদীরা দল বেধে এসে তাকে ও তার বোনের উপর হামলা করে। এ সময় বোনের কোলে থাকা তার শিশু সন্তানও আহত হয়।
হামলাকারী হলো; আবুল হোসেন (৫৫), জাবেদ (৩৫), ছাদেক (৩০), রোকসানা বেগম(৫০)। আব্দুর রশিদসহ (৫০) আরো ৪/৫ জন। এরা সবাই শিলেরতুয়া ৯ নং ওয়ার্ড, লামা পৌরসভার বাসিন্দা। তারা দা, শাবল, লাঠি গাছের বাটাম, প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে মারতে থাকে।
এ সময় প্রাণ ভয়ে নিজ খামার থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। লামা হসপিটালে চিকিৎসা নেয়। হামলার শিকার কৃষক মজনু জানায়, বিবাদীরা তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকী দেয়।




