ঢাকা ব্যুরো: রাজধানীর শাহজাহানপুরের ব্যস্ত সড়কে ফিল্মি স্টাইলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যার সমন্বয়কারী সুমন শিকদার মুসাকে দেশে ফেরাতে ডিবির দুই এডিসিসহ পুলিশের একটি দল ওমানে অবস্থান করছেন।

রবিবার সেখানে পৌঁছেছেন তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে রয়েল ওমান পুলিশের কাছ থেকে তাকে গ্রহণের পর আজই দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) এ নিয়ে এনসিবি মাস্কাটের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করছে। পাশাপাশি কূটনৈতিক চ্যানেলেও এ বিষয়ে জোর তৎপরতা চলছে। পুলিশ ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানায়, ২৪ মার্চ রাতে টিপু হত্যার ১২ দিন আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দুবাই পালান মুসা। সেখানে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

বিদেশ থেকেও মতিঝিলের ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানের নিয়ন্ত্রণকারীদের ফোন করে টাকার ভাগ চান। বিভিন্নজনকে হুমকি দিতে থাকেন। এরপর গত মাসের শুরুর দিকে দুবাই থেকে ওমান যান তিনি।

গত ১০ মে এনসিবি ঢাকার পক্ষ থেকে এনসিবি মাস্কাটকে তাকে (মুসাকে) গ্রেফতারের অনুরোধ জানানো হয়। ১৭ মে এনসিবি মাস্কাট তাকে গ্রেফতারের খবর ঢাকাকে জানায়।

এরপর ডিবি মতিঝিল বিভাগের এডিসি মো. শাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তিনি সদস্যের একটি এসকর্ট টিম গঠন করেন আইজিপি।

টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের এডিসি মো. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন। তারা এখন ওমানে আছেন। আসামীকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মুসার পাসপোর্টের নাম সুমন শিকদার। তার বাবার নাম আবু সাঈদ শিকদার। মা জরিনা আক্তার। স্ত্রী নাসিমা আক্তার।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার পরাইখারা কইখাইন গ্রামে তার বাড়ি। মুসার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ১০টি এবং মতিঝিল থানায় একটি মামলা আছে। হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির আইনে এসব মামলা করা হয়।

এদিকে মুসাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় এমন অগ্রগতিতে উচ্ছ্বসিত তদন্ত সংশ্লিষ্টরাও। কারণ ওমান থেকে মুসাকে ফেরানো গেলে এটি সেখানে পলাতক কোনো আসামিকে বাংলাদেশে ফেরানোর প্রথম ঘটনা হবে। এ ঘটনাকে বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসাবে দেখা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতা টিপুসহ জোড়া খুনের ঘটনায় ২৫ মার্চ শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলার ছাড়া আরও প্রায় এক ডজন মামলায় তার সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে।

মুসা ফিরলে এসব মামলার রহস্যজট খুলতে থাকবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। বিশেষ করে ঘটনার দুই মাসেও চাঞ্চল্যকর এ খুনের সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলমত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি।

শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ গ্রেফতার হলেও তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক মোল্লা শামীম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে হত্যার সময় ‘একাধিক অস্ত্রের ব্যবহার’ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এর নেপথ্যের অনেক ঘটনা এখনো রহস্য হয়ে আছে।

মুসাকে পেলে এই বিষয়গুলোও পরিষ্কার হবে। এ অবস্থায় তাকে ফেরাতে কাজ চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শক মহিদুল ইসলাম।

মুসাকে দেশে ফেরত আনার প্রতিক্রিয়ায় টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি গণমাধ্যমকে বলেন, মুসাকে ফিরিয়ে আনার পর এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করতে হবে। তা নাহলে আমরা কেউই ঝুঁকিমুক্তভাবে বাঁচতে পারব না।

ঢাকা ব্যুরো: রাজধানীর শাহজাহানপুরের ব্যস্ত সড়কে ফিল্মি স্টাইলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যার সমন্বয়কারী সুমন শিকদার মুসাকে দেশে ফেরাতে ডিবির দুই এডিসিসহ পুলিশের একটি দল ওমানে অবস্থান করছেন।

রবিবার সেখানে পৌঁছেছেন তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে রয়েল ওমান পুলিশের কাছ থেকে তাকে গ্রহণের পর আজই দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) এ নিয়ে এনসিবি মাস্কাটের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করছে। পাশাপাশি কূটনৈতিক চ্যানেলেও এ বিষয়ে জোর তৎপরতা চলছে। পুলিশ ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানায়, ২৪ মার্চ রাতে টিপু হত্যার ১২ দিন আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দুবাই পালান মুসা। সেখানে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

বিদেশ থেকেও মতিঝিলের ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানের নিয়ন্ত্রণকারীদের ফোন করে টাকার ভাগ চান। বিভিন্নজনকে হুমকি দিতে থাকেন। এরপর গত মাসের শুরুর দিকে দুবাই থেকে ওমান যান তিনি।

গত ১০ মে এনসিবি ঢাকার পক্ষ থেকে এনসিবি মাস্কাটকে তাকে (মুসাকে) গ্রেফতারের অনুরোধ জানানো হয়। ১৭ মে এনসিবি মাস্কাট তাকে গ্রেফতারের খবর ঢাকাকে জানায়।

এরপর ডিবি মতিঝিল বিভাগের এডিসি মো. শাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তিনি সদস্যের একটি এসকর্ট টিম গঠন করেন আইজিপি।

টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের এডিসি মো. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন। তারা এখন ওমানে আছেন। আসামীকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মুসার পাসপোর্টের নাম সুমন শিকদার। তার বাবার নাম আবু সাঈদ শিকদার। মা জরিনা আক্তার। স্ত্রী নাসিমা আক্তার।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার পরাইখারা কইখাইন গ্রামে তার বাড়ি। মুসার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ১০টি এবং মতিঝিল থানায় একটি মামলা আছে। হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির আইনে এসব মামলা করা হয়।

এদিকে মুসাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় এমন অগ্রগতিতে উচ্ছ্বসিত তদন্ত সংশ্লিষ্টরাও। কারণ ওমান থেকে মুসাকে ফেরানো গেলে এটি সেখানে পলাতক কোনো আসামিকে বাংলাদেশে ফেরানোর প্রথম ঘটনা হবে। এ ঘটনাকে বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসাবে দেখা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতা টিপুসহ জোড়া খুনের ঘটনায় ২৫ মার্চ শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলার ছাড়া আরও প্রায় এক ডজন মামলায় তার সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে।

মুসা ফিরলে এসব মামলার রহস্যজট খুলতে থাকবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। বিশেষ করে ঘটনার দুই মাসেও চাঞ্চল্যকর এ খুনের সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলমত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি।

শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ গ্রেফতার হলেও তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক মোল্লা শামীম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে হত্যার সময় ‘একাধিক অস্ত্রের ব্যবহার’ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এর নেপথ্যের অনেক ঘটনা এখনো রহস্য হয়ে আছে।

মুসাকে পেলে এই বিষয়গুলোও পরিষ্কার হবে। এ অবস্থায় তাকে ফেরাতে কাজ চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শক মহিদুল ইসলাম।

মুসাকে দেশে ফেরত আনার প্রতিক্রিয়ায় টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি গণমাধ্যমকে বলেন, মুসাকে ফিরিয়ে আনার পর এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করতে হবে। তা নাহলে আমরা কেউই ঝুঁকিমুক্তভাবে বাঁচতে পারব না।