স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বড় বাজার হচ্ছে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী বাজার। বাজারটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। নেই কোন সংস্কার নেই কোন উন্নয়ন। সবসময় থাকে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। নেই পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা। সরকার শুধু রাজস্ব নিয়ে যাচ্ছে এই বাজার থেকে। প্রতি বছর নিলামে রাজস্ব বাড়ছে। বাড়ছে প্রতিযোগিতাও। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অসহনীয় যানজট বাড়ছে ভোগান্তি। বাড়ছে নানা অনিয়ম। এক্ষেত্রে পুলিশ কিছুই করেনা। কিন্তু সরকার উন্নয়নের বেলায় রয়েছে একেবারে উদাসীন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এই বাজার নিয়ে কোন ধরনের মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

এক সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বাজার ছিল বটতলী গ্রামের হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজারস্থ রুস্তমহাট। সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট, চন্দনাইশের দোহাজারী বাজার, মৌলভী বাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার। এর পরে আছে চাতরী চৌমুহনী বাজার। উপজেলার চার রাস্তার মুখে অবস্থিত চাতরী চৌমুহনী বাজারে দ্রুত গড়ে উঠেছে ব্যাংক বীমা মার্কেটসহ শতশত দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আধুনিক মানের বেশ কয়েকটি বিপনি বিতানও গড়ে উঠে। আছে নিত্য পণ্যের বাজারও। কিন্তু লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া।

স্থানীয় সরকার প্রতি বছর এই বাজার থেকে আদায় করছে কোটি টাকার রাজস্ব। কিন্তু ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের সুযোগ সুবিধার জন্য একটি টাকাও খরচ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাজারের লোকজন। বাজারে নেই সাধারণ মানুষের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা। গণচৌশাগরও নেই বাজারে। নেই একটি টিউবওয়েলও। একটু বৃষ্টি হলে হাটা পর্যন্ত যায়না। ময়লা আবর্জনায় থাকে ভরপুর। নেই কোন পরিবেশ। ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় যানজট নিরসন বাদ দিয়ে টাকা আদায় ও চাঁদাবাজি করতে। প্রায় সময় এই দৃশ্য চোখে পড়ে, দেখা যায়। চোখে পড়ে ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট। পানি নিস্কানের জন্য নেই কোন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। নেই সুযোগ সুবিধাও। এখন দেখা যাচ্ছে বাজারে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে পড়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে ও বিকল হচ্ছে ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন। দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছেনা সাধারণ মানুষের ব্যবসায়ীদের। থাকে হাটু পর্যন্ত কাদা পানি। এরই মধ্যেই বাজারের চতুরদিকে গড়ে উঠেছে অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। ফলে লেগে আছে নিত্য যানজট আর অসহনীয় দুর্ভোগ।

কালাবিবির দিঘীর মোড় থেকে কর্ণফুলী উপজেলার মিয়ারহাট,ফাজিল খাঁর হাট পর্যন্ত লেগে থাকে নিত্য অসহনিয় যানজট। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, সরকার বাজারটি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্ধ দেয়নি। সড়ক এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানীর পরিত্যক্ত জায়গার উপর গড়ে উঠে কাঁচা বাজার। পরে আস্তে আস্তে গড়ে উঠে দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কাঁচা বাজারের জন্য কোন ধরনের সেট নির্মান করা হয়নি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসার কোন ব্যবস্থা নেই এই বাজারে। সড়কের উপর বসে বেচা বিক্রি করতে হয় তাদের। সেখানেও চলে নিরব চাঁদাবাজি। পাশাপাশি চলে বাজারের ইজারাদার নিয়োজিত লোকদের অত্যাচারও। টাঙানো হয়নি টোল আদায়ের সাইনবোড। গুরুতর অভিযোগ আছে, বাজারে নাকি জায়গাও বিক্রি হয় মোটা দাগে মোটা অংকে। বসার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই টাকা নেয়া হয় বলে জানা গেছে। তাছাড়া অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড থেকে জোরপূর্বক নেয়া হয় তিন দপে চাঁদা। ট্রাফিক, লাইনম্যান এবং বাজার ইজারাদারের পক্ষ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।

স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, দুই যুগের অধিক আগে চাতরী চৌমুহনী বাজারটি গড়ে উঠে। তৎকালিন স্থানীয় চেয়ারম্যান সামশুদ্দীন আহমদ চৌধুরীসহ কয়েক ব্যক্তি বাজারটি গড়ে তুলতে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। এরপর থেকে দ্রুত সময়ে বাজারটি প্রসার লাভ বা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে আধুনিক মানের মার্কেট, হোটেল রেস্তোরা ব্যাংক বীমা, শেভরন’র মতো ল্যাব, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, চিকিৎসক চেম্বার, হাসপাতালসহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। বর্তমানে বাজারটি লাচ্ছিলা ফকির মাজার টেক,কালাবিবির দিঘীর মোড় হয়ে পশ্চিমে পাঁচ সিকদার পুল পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। বিশাল এই বাজারে অন্তত কয়েক হাজার দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের জমিজমার উপরে এবং প্রচেষ্ঠায় বিশাল বাজারটি গড়ে উঠলেও সরকারী প্রশাসন যন্ত্রের কোন ভুমিকা নেই। তবে এতোসব কিছু গড়ে উঠলেও নেই পর্যাপ্ত কোন সুযোগ সুবিধা। নেই পরিবেশ।

বলতে গেলে সরকার এই বাজার থেকে শুধু নিয়েই যাচ্ছে। বাজারটি গড়ে ওঠায় পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যান্য হাট বাজারে বেশ প্রভাব পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কারণে সাধারণ মানুষ এই বাজার থেকে দ্রুত সময়ে নিত্য পণ্য ক্রয় করে বাড়িতে ফিরতে পারছে। ব্যাংক বীমায় লেনদেন করতে পারছে। শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় চাতরী চৌমুহনী বাজারে নেমে প্রয়োজনী বাজার সওদা করে পুনরায় ফিরে যেতে পারছে মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দার চেয়ে চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং কর্ণফুলী উপজেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারছে।

উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারী না থাকায় বর্তমানে বাজারটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের উপর ভাসমান দোকান যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড গড়ে উঠায় বাজারটি এই বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েক ব্যবসায়ী এবং আগত লোকজন। বাজারটি ঘিরে একটি চাঁদাবাজ গ্রুপও সক্রিয় বলে জানায় ওইসুত্র। বাজারে নিয়ন্ত্রন এবং শৃংখলা না থাকায় ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষ এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের কবলে পড়ছে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকাঃ

বেশ কয়েক বছর আগে সাধারণ মানুষের এবং ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ লাগবে বসানো হয় ট্রাফিক পুলিশ বক্স। টিআই ,সার্জেন্ট, কনেস্টবলসহ বেশ কয়েক পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয় চাতরী চৌমুহনী বাজারের এই পুলিশ বক্সে। প্রায় সময় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তাদের। ট্রাফিক পুলিশের এই ঢিলেঢালা দায়িত্বের মাঝে গড়ে উঠে সিএনজি অটো রিক্সার অবৈধ স্ট্যান্ড যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংসহ নানা অনিয়ম। মাঝে মধ্যে থানা পুলিশকেও বাড়তি দায়িত পালন করতে দেখা যায়। আবার দেখা যায় সারিবদ্ধ ভাবে যাত্রীবাহি বাস ট্রাকসহ নানা যানবাহনকে দাঁড় করিয়ে রাখতে। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কোন ধরনের ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়না। দেখা যায় ট্রাফিক বক্সে বসে এবং সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা আদায় করতে। তাছাড়া হাজার হাজার অবৈধ সিএনজি অটো রিক্সা থেকে টোকেনের মাধ্যমে আদায় করা হয় মাসোহারা। এতোসব অনিয়মে যারপর নাই ক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষ আর গাড়ি চালকরা। ক্ষুদ্ধ গাড়ি চালকরা এক সময় পুলিশের এই ট্রাফিক বক্সে হামলা চালায়। ভাংচুর করা হয় বিভিন্ন স্থাপনায়। হামলায় যোগ দেয় সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি এঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

পুলিশের উপর হামলার পাশপাশি গণধোলাইয়ের শিকার হয় মুন্না নামের ট্রাফিক পুলিশের এক টেন্ডল। পরে তাকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মুন্নার বাড়ি চাতরী হাই স্কুলের উত্তর পাশে। এরপর কয়েকদিন বন্ধ থাকে চাঁদাবাজি। পরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। চলে আগের মতো সব নানা অনিয়ম আর অপকর্ম। এখানে কার কথা কে শুনে। আনোয়ারার কৃতি সন্তান মরহুম আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সুযোগ্য পুত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ভুমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় এবং পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ব্যবসায়ী এলাকার সাধারণ মানুষ। অন্যতায় দুর্নীতিবাজ পুলিশ এবং চাঁদাবাজদের লাগাম টেনে ধরা কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয় বলে জানায় ভুক্তভোগিরা।

স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বড় বাজার হচ্ছে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী বাজার। বাজারটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। নেই কোন সংস্কার নেই কোন উন্নয়ন। সবসময় থাকে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। নেই পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা। সরকার শুধু রাজস্ব নিয়ে যাচ্ছে এই বাজার থেকে। প্রতি বছর নিলামে রাজস্ব বাড়ছে। বাড়ছে প্রতিযোগিতাও। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অসহনীয় যানজট বাড়ছে ভোগান্তি। বাড়ছে নানা অনিয়ম। এক্ষেত্রে পুলিশ কিছুই করেনা। কিন্তু সরকার উন্নয়নের বেলায় রয়েছে একেবারে উদাসীন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এই বাজার নিয়ে কোন ধরনের মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

এক সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বাজার ছিল বটতলী গ্রামের হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজারস্থ রুস্তমহাট। সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট, চন্দনাইশের দোহাজারী বাজার, মৌলভী বাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার। এর পরে আছে চাতরী চৌমুহনী বাজার। উপজেলার চার রাস্তার মুখে অবস্থিত চাতরী চৌমুহনী বাজারে দ্রুত গড়ে উঠেছে ব্যাংক বীমা মার্কেটসহ শতশত দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আধুনিক মানের বেশ কয়েকটি বিপনি বিতানও গড়ে উঠে। আছে নিত্য পণ্যের বাজারও। কিন্তু লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া।

স্থানীয় সরকার প্রতি বছর এই বাজার থেকে আদায় করছে কোটি টাকার রাজস্ব। কিন্তু ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের সুযোগ সুবিধার জন্য একটি টাকাও খরচ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাজারের লোকজন। বাজারে নেই সাধারণ মানুষের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা। গণচৌশাগরও নেই বাজারে। নেই একটি টিউবওয়েলও। একটু বৃষ্টি হলে হাটা পর্যন্ত যায়না। ময়লা আবর্জনায় থাকে ভরপুর। নেই কোন পরিবেশ। ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় যানজট নিরসন বাদ দিয়ে টাকা আদায় ও চাঁদাবাজি করতে। প্রায় সময় এই দৃশ্য চোখে পড়ে, দেখা যায়। চোখে পড়ে ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট। পানি নিস্কানের জন্য নেই কোন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। নেই সুযোগ সুবিধাও। এখন দেখা যাচ্ছে বাজারে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে পড়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে ও বিকল হচ্ছে ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন। দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছেনা সাধারণ মানুষের ব্যবসায়ীদের। থাকে হাটু পর্যন্ত কাদা পানি। এরই মধ্যেই বাজারের চতুরদিকে গড়ে উঠেছে অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। ফলে লেগে আছে নিত্য যানজট আর অসহনীয় দুর্ভোগ।

কালাবিবির দিঘীর মোড় থেকে কর্ণফুলী উপজেলার মিয়ারহাট,ফাজিল খাঁর হাট পর্যন্ত লেগে থাকে নিত্য অসহনিয় যানজট। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, সরকার বাজারটি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্ধ দেয়নি। সড়ক এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানীর পরিত্যক্ত জায়গার উপর গড়ে উঠে কাঁচা বাজার। পরে আস্তে আস্তে গড়ে উঠে দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কাঁচা বাজারের জন্য কোন ধরনের সেট নির্মান করা হয়নি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসার কোন ব্যবস্থা নেই এই বাজারে। সড়কের উপর বসে বেচা বিক্রি করতে হয় তাদের। সেখানেও চলে নিরব চাঁদাবাজি। পাশাপাশি চলে বাজারের ইজারাদার নিয়োজিত লোকদের অত্যাচারও। টাঙানো হয়নি টোল আদায়ের সাইনবোড। গুরুতর অভিযোগ আছে, বাজারে নাকি জায়গাও বিক্রি হয় মোটা দাগে মোটা অংকে। বসার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই টাকা নেয়া হয় বলে জানা গেছে। তাছাড়া অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড থেকে জোরপূর্বক নেয়া হয় তিন দপে চাঁদা। ট্রাফিক, লাইনম্যান এবং বাজার ইজারাদারের পক্ষ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।

স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, দুই যুগের অধিক আগে চাতরী চৌমুহনী বাজারটি গড়ে উঠে। তৎকালিন স্থানীয় চেয়ারম্যান সামশুদ্দীন আহমদ চৌধুরীসহ কয়েক ব্যক্তি বাজারটি গড়ে তুলতে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। এরপর থেকে দ্রুত সময়ে বাজারটি প্রসার লাভ বা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে আধুনিক মানের মার্কেট, হোটেল রেস্তোরা ব্যাংক বীমা, শেভরন’র মতো ল্যাব, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, চিকিৎসক চেম্বার, হাসপাতালসহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। বর্তমানে বাজারটি লাচ্ছিলা ফকির মাজার টেক,কালাবিবির দিঘীর মোড় হয়ে পশ্চিমে পাঁচ সিকদার পুল পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। বিশাল এই বাজারে অন্তত কয়েক হাজার দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের জমিজমার উপরে এবং প্রচেষ্ঠায় বিশাল বাজারটি গড়ে উঠলেও সরকারী প্রশাসন যন্ত্রের কোন ভুমিকা নেই। তবে এতোসব কিছু গড়ে উঠলেও নেই পর্যাপ্ত কোন সুযোগ সুবিধা। নেই পরিবেশ।

বলতে গেলে সরকার এই বাজার থেকে শুধু নিয়েই যাচ্ছে। বাজারটি গড়ে ওঠায় পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যান্য হাট বাজারে বেশ প্রভাব পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কারণে সাধারণ মানুষ এই বাজার থেকে দ্রুত সময়ে নিত্য পণ্য ক্রয় করে বাড়িতে ফিরতে পারছে। ব্যাংক বীমায় লেনদেন করতে পারছে। শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় চাতরী চৌমুহনী বাজারে নেমে প্রয়োজনী বাজার সওদা করে পুনরায় ফিরে যেতে পারছে মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দার চেয়ে চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং কর্ণফুলী উপজেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারছে।

উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারী না থাকায় বর্তমানে বাজারটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের উপর ভাসমান দোকান যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড গড়ে উঠায় বাজারটি এই বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েক ব্যবসায়ী এবং আগত লোকজন। বাজারটি ঘিরে একটি চাঁদাবাজ গ্রুপও সক্রিয় বলে জানায় ওইসুত্র। বাজারে নিয়ন্ত্রন এবং শৃংখলা না থাকায় ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষ এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের কবলে পড়ছে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকাঃ

বেশ কয়েক বছর আগে সাধারণ মানুষের এবং ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ লাগবে বসানো হয় ট্রাফিক পুলিশ বক্স। টিআই ,সার্জেন্ট, কনেস্টবলসহ বেশ কয়েক পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয় চাতরী চৌমুহনী বাজারের এই পুলিশ বক্সে। প্রায় সময় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তাদের। ট্রাফিক পুলিশের এই ঢিলেঢালা দায়িত্বের মাঝে গড়ে উঠে সিএনজি অটো রিক্সার অবৈধ স্ট্যান্ড যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংসহ নানা অনিয়ম। মাঝে মধ্যে থানা পুলিশকেও বাড়তি দায়িত পালন করতে দেখা যায়। আবার দেখা যায় সারিবদ্ধ ভাবে যাত্রীবাহি বাস ট্রাকসহ নানা যানবাহনকে দাঁড় করিয়ে রাখতে। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কোন ধরনের ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়না। দেখা যায় ট্রাফিক বক্সে বসে এবং সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা আদায় করতে। তাছাড়া হাজার হাজার অবৈধ সিএনজি অটো রিক্সা থেকে টোকেনের মাধ্যমে আদায় করা হয় মাসোহারা। এতোসব অনিয়মে যারপর নাই ক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষ আর গাড়ি চালকরা। ক্ষুদ্ধ গাড়ি চালকরা এক সময় পুলিশের এই ট্রাফিক বক্সে হামলা চালায়। ভাংচুর করা হয় বিভিন্ন স্থাপনায়। হামলায় যোগ দেয় সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি এঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

পুলিশের উপর হামলার পাশপাশি গণধোলাইয়ের শিকার হয় মুন্না নামের ট্রাফিক পুলিশের এক টেন্ডল। পরে তাকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মুন্নার বাড়ি চাতরী হাই স্কুলের উত্তর পাশে। এরপর কয়েকদিন বন্ধ থাকে চাঁদাবাজি। পরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। চলে আগের মতো সব নানা অনিয়ম আর অপকর্ম। এখানে কার কথা কে শুনে। আনোয়ারার কৃতি সন্তান মরহুম আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সুযোগ্য পুত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ভুমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় এবং পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ব্যবসায়ী এলাকার সাধারণ মানুষ। অন্যতায় দুর্নীতিবাজ পুলিশ এবং চাঁদাবাজদের লাগাম টেনে ধরা কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয় বলে জানায় ভুক্তভোগিরা।