নিজস্ব প্রতিবেদক: উপজেলার ৮নং সরফভাটা ইউনিয়নে ছোট ভাই জানে আলমকে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগে আপন বড় ভাই-ভাবীকে র্যাব আটক করেছে। আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) ভূজপুর থানাধীন শান্তিরহাট ছোট বেতুয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত এজাহার নামীয় আসামী খালেদা বেগম প্রকাশ শামীম (৪০) ও খোরশেদ আলম (৪৫)কে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ০৯ এপ্রিল বিকালে বসত বাড়ির জায়গার সীমানা পিলার নির্ধারণ নিয়ে নিহত ভিকটিম ও তার আপন ভাই খোরশেদ আলম এর মধ্যে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিতর্কের এক পর্যায়ে ভিকটিমের আপন ভাবি খালেদা এবং ভাই খোরশেদ আলম লোহার সাবল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ছোট ভাই নিহত ভিকটিম জানে আলমের মাথায় আঘাত করলে জানে আলম এর মাথা ফেঠে রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে জানে আলম চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তার বড় ভাই খোরশেদ আলম লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে জানে আলম এর শরীরের বিভিন্নস্থানে উপুর্যপরি আঘাত করতে থাকলে জানে আলম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পডে যায়। তখন জানে আলমের স্ত্রী জোসনা বেগম সোর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মমূর্ষ অবস্থায় জানে আলমকে প্রথমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানে আলম এর অবস্থা আশংকা জনক দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানে আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে গত ১২ এপ্রিল দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় নিহত ভিকটিম জানে আলম এর আপন বড় ভাবি খালেদা বেগম (৪০) এবং বড় ভাই খোরশেদ আলম(৪৫) এর নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং- ০১, তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২২ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ভিকটিম জানে আলম দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকা কালীন সময় কষ্টার্জিত অর্থ তার আপন ভাই আসামী খোরশেদ আলমের কাছে পাঠাত। পরবর্তীতে জানে আলম দেশে ফিরে আসার পর তার ভাই খোরশেদ আলমের কাছে বিদেশ থেকে পাঠনো টাকা ফেরত চাইলে আসামী খোরশেদ আলম উক্ত টাকা ফেরত দিতে অপারগতা স্বীকার করে। মূলত জানে আলম বিদেশ থেকে আসার পর টাকা ফেরত চাওয়ার কারনে বিরোধ ছিল যার কারনে তার ভাবি ১নং আসামী খালেদা বেগম প্রকাশ শামীম এবং ২নং আসামী খোরশেদ আলমের সাথে ছোটভাই জানে আলমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। জানে আলম বিরোধ পছন্দ না করার কারনে আলাদা বাড়ী করে বসবাস করছিল কিন্তু আসামী খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী খালেদা বেগম নির্মম ভাবে জানে আলমকে হত্য করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় হন্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।



