নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে আসামী ধরতে গিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে ক্লোজড করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লোজড করা হয়। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল করিম। গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করাসহ আসামির স্ত্রী-সন্তানকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই উপ-পরিদর্শককের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। গত শনিবার দুপুরে তাকে ধরতে তার বাড়িতে যান সীতাকুণ্ড থানার এসআই মাহবুব মোর্শেদ ও পুলিশ সোর্স মো. নুরুজ্জামানসহ চার জন। সাদা পোশাকে থাকা চারজনের মধ্যে এসআই মাহবুব ও সোর্স নুরুজ্জামান- নুরুল ইসলামের ঘরে প্রবেশ করে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী খালেদা আক্তারের কাছে আলমারির চাবি কোথায় জানতে চান। চাবি দিতে না চাইলে মাহবুব ক্ষিপ্ত হয়ে খালেদাকে লাথি মারেন। বাধ্য হয়ে চাবি দিলে মাহবুব ও নুরুজ্জামান আলমারিতে থাকা ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও ৮ আনা স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল, তাদের ছেলে মেয়েদের পরীক্ষার বিভিন্ন কাগজপত্র, জন্ম নিবন্ধনের কাগজপত্র ও ইসলামী ব্যাংকে লেনদেনের কাগজপত্র প্রভৃতি নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে খালেদা আক্তার চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগে রবিবার রাতেই ক্লোজড করা হয় এসআই মাহবুব মোর্শেদকে।

সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল করিম বলেন, মাহবুব মোর্শেদ আসামি গ্রেফতার করতে গিয়েছিলেন। তিনি আসামিকে না পেলে ফিরে আসা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে তার স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে হাত দেয়া উচিত হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে আসামির স্ত্রী-সন্তানদের সাথে তার দুর্ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাই তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের যে অভিযোগ তাও আমরা তদন্ত করছি। আসলে টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিলো কিনা কিংবা তা লুট হয়েছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আমি ওই বাড়িতে যাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরাও তাকে ধাওয়া করি। এর মধ্যে আলমারির চাবি, টাকা, স্বর্ণালংকার প্রভৃতি লুটসহ অন্যান্য অভিযোগ একেবারেই পরিকল্পিত ও মিথ্যা।

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে আসামী ধরতে গিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে ক্লোজড করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লোজড করা হয়। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল করিম। গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করাসহ আসামির স্ত্রী-সন্তানকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই উপ-পরিদর্শককের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। গত শনিবার দুপুরে তাকে ধরতে তার বাড়িতে যান সীতাকুণ্ড থানার এসআই মাহবুব মোর্শেদ ও পুলিশ সোর্স মো. নুরুজ্জামানসহ চার জন। সাদা পোশাকে থাকা চারজনের মধ্যে এসআই মাহবুব ও সোর্স নুরুজ্জামান- নুরুল ইসলামের ঘরে প্রবেশ করে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী খালেদা আক্তারের কাছে আলমারির চাবি কোথায় জানতে চান। চাবি দিতে না চাইলে মাহবুব ক্ষিপ্ত হয়ে খালেদাকে লাথি মারেন। বাধ্য হয়ে চাবি দিলে মাহবুব ও নুরুজ্জামান আলমারিতে থাকা ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ও ৮ আনা স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল, তাদের ছেলে মেয়েদের পরীক্ষার বিভিন্ন কাগজপত্র, জন্ম নিবন্ধনের কাগজপত্র ও ইসলামী ব্যাংকে লেনদেনের কাগজপত্র প্রভৃতি নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে খালেদা আক্তার চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগে রবিবার রাতেই ক্লোজড করা হয় এসআই মাহবুব মোর্শেদকে।

সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল করিম বলেন, মাহবুব মোর্শেদ আসামি গ্রেফতার করতে গিয়েছিলেন। তিনি আসামিকে না পেলে ফিরে আসা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে তার স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে হাত দেয়া উচিত হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে আসামির স্ত্রী-সন্তানদের সাথে তার দুর্ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাই তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের যে অভিযোগ তাও আমরা তদন্ত করছি। আসলে টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিলো কিনা কিংবা তা লুট হয়েছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আমি ওই বাড়িতে যাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরাও তাকে ধাওয়া করি। এর মধ্যে আলমারির চাবি, টাকা, স্বর্ণালংকার প্রভৃতি লুটসহ অন্যান্য অভিযোগ একেবারেই পরিকল্পিত ও মিথ্যা।