সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের চরগিরিশ ইউনিয়নের উত্তর চরনাটিপাড়ায় বাঁধ ভেঙে প্রায় ২৫০ জন কৃষকের ৪শ’ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে নির্মিত বাঁধটি উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে গভীর রাতে ভেঙ্গে যায় বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।

উত্তর চরনাটিপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হোসেন আলী জানায়, দাদনের উপর ২০ হাজার টাকা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়ে ছিলাম। অকাল বন্যায় সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানায়, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য সাড়া বছরে খাদ্যের চাহিদা পূরণ হতো এই ধানে।

ভুক্তভোগী ভেটুয়া গ্রামের কৃষক গোলজার হোসেন (৬২), চরনাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ (৫২), জুড়ান আলী (৪৫), শাহজামাল, আছের আলী, আলামিন, আব্দুল হামিদ, সাইফুলসহ অন্যান্যরা জানায়, স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে প্রতিবছর যমুনা নদীর কোলের এ অংশে বাঁধ নির্মাণ করে তারা বোরো ধান চাষাবাদ করে থাকে। এবার অপ্রত্যাশিতভাবে অসময়ে নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার তারা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

চরগিরিশ ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কৃষকদেরর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি বিভাগকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান তিনি। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি কৃষি প্রণোদনা বা পুনর্বাসনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম ।

উল্লেখ্য, ভয়াল যমুনার কড়াল গ্রাসে প্রতিবছরই কমবেশি ক্ষতি হয়ে থাকে চরাঞ্চলের মানুষের। তবুও প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা তাদের জীবন জীবিকা পরিচালনা করে আসছে। তাদের স্ব উদ্যোগে নির্মিত এই বাধটি স্থায়ী করণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের চরগিরিশ ইউনিয়নের উত্তর চরনাটিপাড়ায় বাঁধ ভেঙে প্রায় ২৫০ জন কৃষকের ৪শ’ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে নির্মিত বাঁধটি উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে গভীর রাতে ভেঙ্গে যায় বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।

উত্তর চরনাটিপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হোসেন আলী জানায়, দাদনের উপর ২০ হাজার টাকা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়ে ছিলাম। অকাল বন্যায় সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানায়, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য সাড়া বছরে খাদ্যের চাহিদা পূরণ হতো এই ধানে।

ভুক্তভোগী ভেটুয়া গ্রামের কৃষক গোলজার হোসেন (৬২), চরনাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ (৫২), জুড়ান আলী (৪৫), শাহজামাল, আছের আলী, আলামিন, আব্দুল হামিদ, সাইফুলসহ অন্যান্যরা জানায়, স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে প্রতিবছর যমুনা নদীর কোলের এ অংশে বাঁধ নির্মাণ করে তারা বোরো ধান চাষাবাদ করে থাকে। এবার অপ্রত্যাশিতভাবে অসময়ে নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার তারা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

চরগিরিশ ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কৃষকদেরর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি বিভাগকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান তিনি। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি কৃষি প্রণোদনা বা পুনর্বাসনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম ।

উল্লেখ্য, ভয়াল যমুনার কড়াল গ্রাসে প্রতিবছরই কমবেশি ক্ষতি হয়ে থাকে চরাঞ্চলের মানুষের। তবুও প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা তাদের জীবন জীবিকা পরিচালনা করে আসছে। তাদের স্ব উদ্যোগে নির্মিত এই বাধটি স্থায়ী করণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।