মো: কামাল উদ্দিন: তরুণের তারুণ্য যুবকের যৌবন দিয়ে আওয়ামী রাজনীতির দু:সময়ে যারা রাজপথে ছিলেন সেই রাজপথে লড়াকু ত্যাগী নেতার নাম হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।কারো দৃষ্টিতে বাবর একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা কারো দৃষ্টিতে মানবতার প্রতিক কারো দৃষ্টিতে একজন দক্ষ সংগঠক। রাজনীতির বাজারে অনেক ধরনের খেলা এবং মেলা বসে থাকে সেই খেলা এবং মেলাতে যারা জয় হতে পারে তাদেরকে আমরা বাহ্ বাহ্ দিয়ে থাকি। কর্মী প্রিয় সুবিধাবঞ্চিত এবং জামাত বিএনপির আতঙ্ক অন্যতম নেতা নাম হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
দু:সময়ে যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে রাজনীতির সাগরে পাড়ি দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সময়ের সাহসী পুরুষ হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। তাঁর রাজনীতির সাংগঠনিক দক্ষতা চ্যালেঞ্জ করার কেউ আছে বলে মনে হয় না। অনেকেই উপরের আশির্বাদ ও মহব্বতে রাতারাতি নেতা পরিণত হলেও বাবরের ইতিহাস ভিন্নতর। যে ব্যক্তি তৃণমূল থেকে রাজপথ দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে তা বাবরের তুলনা বাবর নিজেই অন্য কারো সাথে বাবরের রাজনীতিক কৌশল তুলনা করার মত নয়। আজকের বাস্তব প্রেক্ষাপটে যারা বাবরকে অনুসরণ করে তাঁদের উদ্দেশ্যে বাবর নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে। তাই আজকের সময়ের সাহসী যুবনেতা বাংলাদেশে একমাত্র করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্বাভক এবং বাংলাদেশে প্রতিটি স্থানে বুথ স্থাপনকারী বাবরকে নিয়ে কিছু কথা বলার।
দেশে করোনার করুন সময়ে বাবর সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন এবং দু’হাতে বিলিয়েছেন অনেক অনুদান যা বিবরণ দিয়ে শেষ করার মত নয়। ক্ষুধার্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে ১০ লক্ষ্যের অধিক অনাহারি মানুষকে রাতের আঁধারে আহার দিয়েছেন। পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্টেশন ও রাস্তাঘাটে ধর্মপ্রিয় রোজাদারদেরকে ইফতার এবং সেহেরির ব্যবস্থা করে ছিলেন মাসব্যাপী। বাবর করোনাকালিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালার ভূমিকায় অবতির্ণ ছিলেন। বাবর বিদেশ থেকে আসার পর প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মাথায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন প্রচারের মাধ্যমে।
বাবর চট্টগ্রামের বীর পুরুষ চার বারের সফল মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মকান্ডকে মনে প্রাণে ধারণ করে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দৃষ্টান্ত হিসেবে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর আগেরদিন পর্যন্ত বাবরকে স্নেহের আদলে রাজনৈতিক চাঁ দরের নিচে রেখেছিলেন। যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। চট্টগ্রামের সিংহ পুরুষ মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ আমাদের মাঝে নেই, তার সুযোগ্য সন্তান বর্তমান সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাবার শূণ্য আসন পূরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সারাক্ষন রাজনৈতিক কর্মীদের পাশে থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই গর্বীত বাবার সূযোগ্য সন্তান বাবারমত বাবকে তাঁর কাছে টেনে নিয়েছেন।
বাবরও কৃতজ্ঞতার সাথে মহিউদ্দিন চৌধুরীর আদর্শকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদেরকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাবর তৃণমূল পর্যায়ের ছাত্র ও যুব নেতাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বাবর বিগত সময়ে এই সরকারের আমলে নগরীর চট্টগ্রাম কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজী মোহাম্মদ মহিসিন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে জামাত এবং বিএনপি মুক্ত করে ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন করেছেন। যা দীর্ঘ ত্রিশ বছরে সম্ভব হয়নি। যেখানে শিবিরের তান্ডবলীলা চলত সেখানে আজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা স্বাধীনতার পতাকা উড়াচ্ছেন। যার একমাত্র অবদান হল হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের।
আজ সময় এসেছে চট্টগ্রামের সাধারণ দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার। বাবরের ত্যাগের কথা যদি রাজনৈতিক অঙ্গনের নির্ধারকরা একবার বিবেচনা করেন তাহলে বাবর কখনো রাজনীতির মাঠ থেকে বাইরে থাকার কথা নয়। আজকে সময় এসেছে বিগত দু:সময়ের রাজপথের ত্যাগী নেতা বাবরকে যথাযথ স্থানে দায়িত্ব দেওয়ার।
তাই বাবরের বিগত সময়ের সংক্ষিপ্ত কর্মকান্ড তুলে ধরছি-
বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামের যে কয়জন ছাত্রলীগ নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু:সময়ে দু:সাহসী নেতার ভূমিকায় অবতীর্ন ছিলেন তারমধ্যে অন্যতম হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। ৮০ দশকের শেষের দিকে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। ৯০ এর পর বিএনপির ছাত্রলীগ নিধন, জামাত শিবিরের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলা, বিশেষ করে শিবির কর্তৃক কলেজ দখল। আওয়ামী লীগের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচী পালনে বাঁধা প্রদানসহ অসংখ্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা কর্মীদেরকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ। আওয়ামী লীগ কর্মি নিধন-দহন চলছিলো তখন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরই রাজপথে সাহসী ভূমিকা নিয়ে তা প্রতিহত করত। যা আজকের প্রেক্ষাপটে রূপকথার কাহিনী।
চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতাদের সুপরিচিত একটি নাম বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। চট্টগ্রাম যুবলীগসহ সাধারণ ছাত্র জনতার মুখে মুখে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ছিলেন একজন অতি প্রিয়মুখ।
মহানগরের প্রায় ছাত্র জনতার সাথে কথা বলা হলে জানা যায়, দলের দুঃসময়ে তাঁর ভূমিকার কথা। বিশেষ করে বিরোধী দল থাকার সময় মাঠে থেকে সংগঠনকে ধরে রেখেছিলেন ত্যাগী নেতা হেলাল আকবর। জানতে পারা যায় সংগঠনের সু-সময়ে গুটি কয়েক নেতার হিংসার শিকারে আজ তিনি রাজনীতির বাহিরে। খুব কম মানুষ আছে যারা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর চৌধুরী সহযোগীতা পাননি। অধিকাংশ মানুষের সুখে দুখে সবসময় পাশে ছিলেন তিনি। চট্টল বীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর সংস্পর্শে থেকে চট্টগ্রামকে শুধু তিনি দিয়েই গেছেন।
বাবর বঙ্গবন্ধু আদর্শে আদর্শিত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ এর জি-এস নির্বাচিত, ১৯৯৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য।
২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য এবং ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর উপ-অর্থ সম্পাদক। হেলাল আকবর চৌধূরীর বাবর জীবন কাহিনী কোন কল্পকাহিনী নয়, এ হচ্ছে বাবরের ত্যাগী রাজনৈতিক পরিচয়। ১৯৮৯ সালে যখন স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী সহ অন্যান্য সিনিয়ার নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
১৯৯০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অধীনে জাতীয় নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি- জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই চার দলীয় জোটের ক্যাডার সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ কর্মীদের উপর নির্যাতন, খুন, গুম, শুরু করলো সাথে সংখ্যালঘুদের ঘর- বাড়ি জায়গা দখল সহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করে। চট্টগ্রামে তৎকালীন বিএনপি এর মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় নিটুল- ছুট্টু- জসিম- রূপা সহ আরো অনেকে চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে মূর্তিয়মান আতংকে পরিণত হয়েছিল, তখন বাবর এর নেতৃত্বে নন্দনকানন থেকে ছাত্রলীগ এর একটি অংশ নিটুল- ছুট্টুদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো। বাবরের বলিষ্ট নেতৃত্বের কারনে সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিল পুরো চট্টগ্রাম।
রাজনীতি করতে গিয়ে বাবর বিএনপি জামাত জোটের আমলে ৩৭ বার কারা বন্দী হয়েছেন। তাছাড়া এমন এমন দিন গেছে জেল থেকে মুক্তি পেয়েই আবার পরেরদিন সকালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তবুও বাবর সংগঠনের হাল ছাড়েনি।বিএনপি জামাত জোট বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। বাবর কোন সময় বিএনপি জামাতের সাথে আতাঁত করেনি। শিবিরের দূর্গখ্যাত চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুন লাগিয়ে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত করে জামাত শিবিরের শক্ত ঘাটি ভেঙ্গে দিয়ে শিবির সন্ত্রাসীদের বিতারিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন এই হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
এদিকে সাম্প্রতিককালে নগরীর সি আর বি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একটি জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছিলে সে মামলায় ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে আসামী করা হয় কিন্তু পিবিআই তদন্ত করে দেয়া মামলার চার্জশীটে স্পষ্ঠ বলেছেন এ ঘটনায় বাবর জড়িত নয়, এবং তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার জন্য সুপারিশ করেছেন। সেদিন সিআরবির ঘটনায় বাবর দলীয় কোন্দলের বলি হয়েছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে অতীত থেকে যারা বিএনপি জামাতকে সাহায্য করে এসেছে তাদের কথা বলতে সবাই ভয় পায়, কারণ আওয়ামীলীগ এর রাজনীতিতে তাদের অতীত ইতিহাস স্বচ্ছ নয়।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগনেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময় থেকে ২১ বছর আওয়ামীলীগ বা তার অংগ সংগঠনের যে সব নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিলো তারা এমন কেউ কি আছেন? যিনি মামলা হামলার স্বীকার হয়ে জেলজুলুম সহ্য করেনি, আমি বলবো যারা ঐ সময় মামলা হামলার স্বীকার হয়নি তারা মায়ের বুকে ঘুমিয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের মসৃন রাজপথে যারা নেতা নামে পরিচিত তারা বাবর বা তার বন্ধুদের মতো কতটুকু ত্যাগ দিয়েছেন? সেই সব দিনগুলোতে খেয়ে না খেয়ে সিনিয়ার নেতাদের নির্দেশমতো আমি নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকবো। বিএনপি জামাত এর সাথে লিয়াঁজু করি নাই করবো না।
সুশিল সমাজের নেতারা বলেন, ব্যাক্তি স্বার্থে যে জনগনের জানমালের ক্ষতিসাধন করছে, যার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই, রাজনীতি করতে গিয়ে বাবর বা তার বন্ধুরা তাদের কারো বাপ দাদার ভিটা মাটি উদ্ধার করতে রাজপথে গিয়ে মামলা হামলার স্বীকার হয়নি, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে, এবং মামলার স্বীকার হতে হয়েছে। বাবরের রাজনীতি শুরু হয়েছে চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর হাত ধরে। বাবর ছিলেন এ.বি.এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর একান্ত বিশ্বস্ত কর্মী হিসাবে প্রমানিত ও পরিচিত। অপ্রিয় হলেও সত্য, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নিত হয়ে অনেকেই বাবরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। যা সভ্য সমাজের কাম্য নয়।
Post Views: 583




