# যত্রতত্র পশুর হাট হলে রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় এবারও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে উপজেলা জুড়ে ৮ টির অধিক অবৈধ পশুর হাট বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন প্রভাবশালী একটি চক্র। আর এ কাজে সরাসরি মদদ দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।

ইতোমধ্যেই কয়েকটি স্থানে খুঁটি গেড়ে জায়গা দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুলতঃ ঈদগাঁওতে ১টি বৈধ হাট রয়েছে, সেটি হলো ইজারাদার রমজানুল আলম পরিচালিত ঈদগাঁও বাজার । যেটি কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ পশুর হাট। একমাত্র এ পশুর হাট এখন জমে ওঠার অপেক্ষায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু,মহিষ নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা আগামী শনিবারের মধ্যে বাজার জমে ওঠবে।

জানা যায়, প্রতি বছর বাংলা সনে ঈদগাঁও বাজার, কালির ছড়া বাজার, পোকখালী মুসলিম বাজার, শাহ ফকির বাজার ইসলামপুর বাজার ও নতুন অফিস বাজার সরকারি ভাবে ইজারা হয়। সর্বোচ্চ করদাতাদের বাজার বুঝিয়ে দেয়ার সময় ইজারাদারের সাথে ইউএনওর করা চুক্তিনামায় ১৬ নম্বর কলামে স্পষ্ট করে বলা আছে “কোনোভাবে পশুর হাট বসানো যাবে না”কিন্ত চুক্তিনামা ভঙ্গ করে কয়েকজন ইজারাদার উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে পশুর হাট বসানোর পায়তারা চালাচ্ছে।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসলে ঈদগাঁওতে অবৈধ হাট না বসাতে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু বাস্তবে তাদের এই নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে অবৈধ পশুর হাট বসায় প্রভাবশালীরা।

 

স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন,উপজেলা প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগে যততত্র বসে এসব অবৈধ পশুর হাট। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের একই কাতারে দেখা যায়। এবারও ব্যতিক্রম নই।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালীরা ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছে। এসব টাকা তুলেছে অফিসের কজন সহকারী। তারা উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নতুন অফিস বাজার, ইসলামপুর বাজার, পোকখালী গোমাতলী বাজার, বাংলা বাজার, ঈদগাঁও কালির ছড়া বাজার, ইসলামাবাদ শাহ ফকির বাজার, ডান্ডি বাজার ও পোকখালী মুসলিম বাজারসহ বেশ কিছু জায়গায় অবৈধ পশুর হাট বসানোর তৎপরতা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, যত্রতত্র পশুর হাট বসলে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে বলে দাবী করেন। তারা এসব পশুর হাট বন্ধের জোর দাবি জানান জেলা প্রশাসকের কাছে।

প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেয়া ১৪৩১ বাংলা সনের হাট বাজার ইজারা চুক্তিনামায় ঈদগাঁও বাজারে পশুর হাট বসানোর নির্দেশনা রয়েছে। আগামী ১৭ জুনের ঈদকে সামনে রেখে অবৈধ পশুর হাটের নেপথ্যে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের আস্কারায় পশুর হাট বসানোর তোড়জোড় চলছে পুরো উপজেলা জুড়ে। আর সরকারি দলের এসব নেতামর্কীদের অবৈধ পশুর হাট বসাতে প্রকাশ্যে সহায়তা করছেন জনপ্রতিনিধিরা।

সাধারণ ক্রেতা- বিক্রেতারা বলেন, অবৈধ পশুর হাট গুলোতে জাল নোট শনাক্তের কোনো মেশিন থাকেনা, ফলে জাল টাকার ছড়াছড়ি হয় এসব বাজারে। তা ছাড়াও স্থানীয় চাঁদাবাজ গ্রুপের সদস্যরা উৎপেতে থাকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য। তাই তারা এসব অবৈধ পশুর হাটে গরু মহিষ না নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টিত বাজার গুলোতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জাল নোট ছড়াছড়ি, ছিনতাইকারীদের উৎপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি পুলিশ দেখবে বলে জানিয়েছেন।

এসব বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবল চাকমার মুঠোফোনে কল করা হয়, কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি।

# যত্রতত্র পশুর হাট হলে রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় এবারও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে উপজেলা জুড়ে ৮ টির অধিক অবৈধ পশুর হাট বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন প্রভাবশালী একটি চক্র। আর এ কাজে সরাসরি মদদ দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।

ইতোমধ্যেই কয়েকটি স্থানে খুঁটি গেড়ে জায়গা দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুলতঃ ঈদগাঁওতে ১টি বৈধ হাট রয়েছে, সেটি হলো ইজারাদার রমজানুল আলম পরিচালিত ঈদগাঁও বাজার । যেটি কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ পশুর হাট। একমাত্র এ পশুর হাট এখন জমে ওঠার অপেক্ষায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু,মহিষ নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা আগামী শনিবারের মধ্যে বাজার জমে ওঠবে।

জানা যায়, প্রতি বছর বাংলা সনে ঈদগাঁও বাজার, কালির ছড়া বাজার, পোকখালী মুসলিম বাজার, শাহ ফকির বাজার ইসলামপুর বাজার ও নতুন অফিস বাজার সরকারি ভাবে ইজারা হয়। সর্বোচ্চ করদাতাদের বাজার বুঝিয়ে দেয়ার সময় ইজারাদারের সাথে ইউএনওর করা চুক্তিনামায় ১৬ নম্বর কলামে স্পষ্ট করে বলা আছে “কোনোভাবে পশুর হাট বসানো যাবে না”কিন্ত চুক্তিনামা ভঙ্গ করে কয়েকজন ইজারাদার উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে পশুর হাট বসানোর পায়তারা চালাচ্ছে।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসলে ঈদগাঁওতে অবৈধ হাট না বসাতে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু বাস্তবে তাদের এই নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে অবৈধ পশুর হাট বসায় প্রভাবশালীরা।

 

স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন,উপজেলা প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগে যততত্র বসে এসব অবৈধ পশুর হাট। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের একই কাতারে দেখা যায়। এবারও ব্যতিক্রম নই।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালীরা ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছে। এসব টাকা তুলেছে অফিসের কজন সহকারী। তারা উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নতুন অফিস বাজার, ইসলামপুর বাজার, পোকখালী গোমাতলী বাজার, বাংলা বাজার, ঈদগাঁও কালির ছড়া বাজার, ইসলামাবাদ শাহ ফকির বাজার, ডান্ডি বাজার ও পোকখালী মুসলিম বাজারসহ বেশ কিছু জায়গায় অবৈধ পশুর হাট বসানোর তৎপরতা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, যত্রতত্র পশুর হাট বসলে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে বলে দাবী করেন। তারা এসব পশুর হাট বন্ধের জোর দাবি জানান জেলা প্রশাসকের কাছে।

প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেয়া ১৪৩১ বাংলা সনের হাট বাজার ইজারা চুক্তিনামায় ঈদগাঁও বাজারে পশুর হাট বসানোর নির্দেশনা রয়েছে। আগামী ১৭ জুনের ঈদকে সামনে রেখে অবৈধ পশুর হাটের নেপথ্যে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের আস্কারায় পশুর হাট বসানোর তোড়জোড় চলছে পুরো উপজেলা জুড়ে। আর সরকারি দলের এসব নেতামর্কীদের অবৈধ পশুর হাট বসাতে প্রকাশ্যে সহায়তা করছেন জনপ্রতিনিধিরা।

সাধারণ ক্রেতা- বিক্রেতারা বলেন, অবৈধ পশুর হাট গুলোতে জাল নোট শনাক্তের কোনো মেশিন থাকেনা, ফলে জাল টাকার ছড়াছড়ি হয় এসব বাজারে। তা ছাড়াও স্থানীয় চাঁদাবাজ গ্রুপের সদস্যরা উৎপেতে থাকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য। তাই তারা এসব অবৈধ পশুর হাটে গরু মহিষ না নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টিত বাজার গুলোতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জাল নোট ছড়াছড়ি, ছিনতাইকারীদের উৎপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি পুলিশ দেখবে বলে জানিয়েছেন।

এসব বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবল চাকমার মুঠোফোনে কল করা হয়, কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি।