★নিয়োগে, বদলী ও ডেপুটেশন বাণিজ্য
★আলিশান বাড়ি ও বহু মূল্যের জমি
★ একচ্ছত্র আধিপত্য প্রভাব বিস্তার
★ স্ত্রী ও ছোট বোনের চাকুরী

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ২৫ বছর যাবত রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃতীয় শ্রেণীর পদের কর্মচারী হলেও জাহাঙ্গীর নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করে আসছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এছাড়াও আরো নানান অপকর্মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।

কে এই জাহাঙ্গীর?

নোয়াখালী চাটখীল উপজেলার তালতলা গ্রামের সন্তান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনিই বড়। ৩ আগষ্ট ২০০০ সালে ADB ব্লক পোস্টে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা হতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলি হয়ে আসেন জাহাঙ্গীর আলম। চৌকস জাহাঙ্গীর আলম তৎকালীন সময়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্বার্থন্বেষী কতিপয় স্থানীয় নেতা কে মিথ্যা প্ররোচনায় ব্যবহার করে ১৯শে অক্টোবর ২০০৫ সালে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে স্থায়ী পদে অন্তর্ভুক্ত হন। এখান থেকে শুরু হয় জাহাঙ্গীরের উত্থান জাহাঙ্গীর নামা…!!

সময়ের সাথে সাথে অফিস ও শিক্ষকদের উপর চালায় একচ্ছত্র অধিপত্য এবং সিনিয়র সংশ্লিষ্ট কর্তা মহলের সাথে গড়ে তোলে ভালো নিবিড় সম্পর্ক আর সেই প্রভাবে প্রতিপত্তি খাটিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ২০০৬ সালে তার আপন ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস মিলিকে নোয়াখালী জেলার চাটখীল উপজেলা থেকে এনে খাগড়াছড়ির স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে পানছড়ি উপজেলাধীন মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী পাইয়ে দেন। যদিও জাহাঙ্গীর বা তার পরিবারের তখনও কেউ খাগড়াছড়ি জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারেন নাই বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

পরবর্তীতে লোকমুখে গুঞ্জন শুরু হলে জাহাঙ্গীরের একান্ত লোবিং তদবিরের মাধ্যমে ছোটবোন মিলিকে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটে বদলী করে নিয়ে যান। শুধু তাই নয়,২০১৭ সালে তার স্ত্রী উম্মে আকলিমা বেগম সুইটিকে একইভাবে খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাংগা উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন জাহাঙ্গীর। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন গঞ্জপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

জাহাঙ্গীরের যত সম্পদঃ

খাগড়াছড়ি পৌর শহরের আরামবাগ এলাকায় (পূর্ব শান্তিনগর ) বিলাসবহুল ৫ তলা ভবন। তবে কোটি টাকা মূল্যের জমির উপর নির্মিত পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভবনটি জমিসহ তার স্ত্রী উম্মে আকলিমা আক্তার সুইটি নামে এবং ভবন নির্মাণের ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ স্ত্রীর নামে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। তবে, জমিসহ ভবন ঋণ সবই নিজের নামে বলে দাবী করেন জাহাঙ্গীর আলম। খাগড়াছড়ি সদর গঞ্জপাড়া এলাকায় কোটি টাকার মূল্যের ২০ শতক জমি। খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার আদর্শপাড়ায় রয়েছে বহুমূল্যের জমি।

এছাড়াও আরো বহু জায়গায় জাহাঙ্গীরের নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার স্থাবর-অস্তাবর সম্পত্তি এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়। শহরের প্রভাবশালী মহলের সাথে রয়েছে গভীর সুসম্পর্ক। জাহাঙ্গীরের এসব সুবিশাল সম্পদ সমূহের উৎসের মধ্যে রয়েছে,নিজ তৃতীয় শ্রেণীর চাকরির বেতন, শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য, শিক্ষক বদলি বাণিজ্য, প্রেষণে বদলী বাণিজ্য সহ বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানে অবৈধ লেনদেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, “দীর্ঘ ২৫ বছর এক জায়গায় জাহাঙ্গীর অবস্থান করে অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শহরে দৃশ্যমান করে তুলে অঢেল সম্পত্তির পাহাড়। সাথে পুরো অফিসকে জিম্মি করে রেখেছেন। তিনি চাইলে যখন ইচ্ছা কাউকে বদলী, ডেপুটেশন এবং নামে বেনামে বিভিন্ন ভূয়া অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক শিক্ষকদের কে বিভাগীয় মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকেন এবং সেই মামলার জন্য তার নিকট কেউ অর্থ, লবিং চেষ্টা করলে তিনি সুরাহার পথ দেখান। তার একচ্ছত্র আধিপত্য ও অদৃশ্য ক্ষমতার কাছে পুরো জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ অসহায়”। জাহাঙ্গীর একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও অনেক শিক্ষক তাকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হয়। অন্যথায়, বিরক্তবোধ ও অসম্মানবোধ মনে করেন বলে জানা যায়। জাহাঙ্গীর শিক্ষক সমিতির নেতাদের বলয়ে আপন গতিতে নিরাপদে চলেন। সেইসাথে অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট আর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কালো শক্তির ব্যবহার। সে যেন এক অপকর্ম দুর্নীতি প্রভাব প্রতিপত্তির রাজ্যে, মোগল আমলের সম্রাট জাহাঙ্গীর।।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে জাহাঙ্গীর জানান,”এসব অভিযোগের বেশিরভাগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র জমি এবং বিলাসবহুল ভবনটি আমার নামে। তাও ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গড়া”।

জাহাঙ্গীরের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন,”আমি এখানে নতুন আসছি। তার সম্পদের বিষয়টি ব্যক্তিগত। দীর্ঘদিন এক জায়গায় চাকুরীর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অবগত আছে”।

দীর্ঘ ২ যুগের বেশি চাকুরির শুরু থেকে একই জায়গায় অবস্থান করার কারণে জাহাঙ্গীর আলমের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল। তাকে অন্যত্র বদলী করা জরুরী বলে মনে করেন তারা। চলবে…..

★নিয়োগে, বদলী ও ডেপুটেশন বাণিজ্য
★আলিশান বাড়ি ও বহু মূল্যের জমি
★ একচ্ছত্র আধিপত্য প্রভাব বিস্তার
★ স্ত্রী ও ছোট বোনের চাকুরী

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ২৫ বছর যাবত রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃতীয় শ্রেণীর পদের কর্মচারী হলেও জাহাঙ্গীর নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করে আসছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এছাড়াও আরো নানান অপকর্মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।

কে এই জাহাঙ্গীর?

নোয়াখালী চাটখীল উপজেলার তালতলা গ্রামের সন্তান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনিই বড়। ৩ আগষ্ট ২০০০ সালে ADB ব্লক পোস্টে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা হতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলি হয়ে আসেন জাহাঙ্গীর আলম। চৌকস জাহাঙ্গীর আলম তৎকালীন সময়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্বার্থন্বেষী কতিপয় স্থানীয় নেতা কে মিথ্যা প্ররোচনায় ব্যবহার করে ১৯শে অক্টোবর ২০০৫ সালে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে স্থায়ী পদে অন্তর্ভুক্ত হন। এখান থেকে শুরু হয় জাহাঙ্গীরের উত্থান জাহাঙ্গীর নামা…!!

সময়ের সাথে সাথে অফিস ও শিক্ষকদের উপর চালায় একচ্ছত্র অধিপত্য এবং সিনিয়র সংশ্লিষ্ট কর্তা মহলের সাথে গড়ে তোলে ভালো নিবিড় সম্পর্ক আর সেই প্রভাবে প্রতিপত্তি খাটিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ২০০৬ সালে তার আপন ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস মিলিকে নোয়াখালী জেলার চাটখীল উপজেলা থেকে এনে খাগড়াছড়ির স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে পানছড়ি উপজেলাধীন মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী পাইয়ে দেন। যদিও জাহাঙ্গীর বা তার পরিবারের তখনও কেউ খাগড়াছড়ি জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারেন নাই বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

পরবর্তীতে লোকমুখে গুঞ্জন শুরু হলে জাহাঙ্গীরের একান্ত লোবিং তদবিরের মাধ্যমে ছোটবোন মিলিকে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটে বদলী করে নিয়ে যান। শুধু তাই নয়,২০১৭ সালে তার স্ত্রী উম্মে আকলিমা বেগম সুইটিকে একইভাবে খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাংগা উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন জাহাঙ্গীর। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন গঞ্জপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

জাহাঙ্গীরের যত সম্পদঃ

খাগড়াছড়ি পৌর শহরের আরামবাগ এলাকায় (পূর্ব শান্তিনগর ) বিলাসবহুল ৫ তলা ভবন। তবে কোটি টাকা মূল্যের জমির উপর নির্মিত পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভবনটি জমিসহ তার স্ত্রী উম্মে আকলিমা আক্তার সুইটি নামে এবং ভবন নির্মাণের ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ স্ত্রীর নামে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। তবে, জমিসহ ভবন ঋণ সবই নিজের নামে বলে দাবী করেন জাহাঙ্গীর আলম। খাগড়াছড়ি সদর গঞ্জপাড়া এলাকায় কোটি টাকার মূল্যের ২০ শতক জমি। খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার আদর্শপাড়ায় রয়েছে বহুমূল্যের জমি।

এছাড়াও আরো বহু জায়গায় জাহাঙ্গীরের নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার স্থাবর-অস্তাবর সম্পত্তি এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়। শহরের প্রভাবশালী মহলের সাথে রয়েছে গভীর সুসম্পর্ক। জাহাঙ্গীরের এসব সুবিশাল সম্পদ সমূহের উৎসের মধ্যে রয়েছে,নিজ তৃতীয় শ্রেণীর চাকরির বেতন, শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য, শিক্ষক বদলি বাণিজ্য, প্রেষণে বদলী বাণিজ্য সহ বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানে অবৈধ লেনদেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, “দীর্ঘ ২৫ বছর এক জায়গায় জাহাঙ্গীর অবস্থান করে অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শহরে দৃশ্যমান করে তুলে অঢেল সম্পত্তির পাহাড়। সাথে পুরো অফিসকে জিম্মি করে রেখেছেন। তিনি চাইলে যখন ইচ্ছা কাউকে বদলী, ডেপুটেশন এবং নামে বেনামে বিভিন্ন ভূয়া অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক শিক্ষকদের কে বিভাগীয় মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকেন এবং সেই মামলার জন্য তার নিকট কেউ অর্থ, লবিং চেষ্টা করলে তিনি সুরাহার পথ দেখান। তার একচ্ছত্র আধিপত্য ও অদৃশ্য ক্ষমতার কাছে পুরো জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ অসহায়”। জাহাঙ্গীর একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও অনেক শিক্ষক তাকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হয়। অন্যথায়, বিরক্তবোধ ও অসম্মানবোধ মনে করেন বলে জানা যায়। জাহাঙ্গীর শিক্ষক সমিতির নেতাদের বলয়ে আপন গতিতে নিরাপদে চলেন। সেইসাথে অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট আর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কালো শক্তির ব্যবহার। সে যেন এক অপকর্ম দুর্নীতি প্রভাব প্রতিপত্তির রাজ্যে, মোগল আমলের সম্রাট জাহাঙ্গীর।।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে জাহাঙ্গীর জানান,”এসব অভিযোগের বেশিরভাগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র জমি এবং বিলাসবহুল ভবনটি আমার নামে। তাও ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গড়া”।

জাহাঙ্গীরের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন,”আমি এখানে নতুন আসছি। তার সম্পদের বিষয়টি ব্যক্তিগত। দীর্ঘদিন এক জায়গায় চাকুরীর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অবগত আছে”।

দীর্ঘ ২ যুগের বেশি চাকুরির শুরু থেকে একই জায়গায় অবস্থান করার কারণে জাহাঙ্গীর আলমের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল। তাকে অন্যত্র বদলী করা জরুরী বলে মনে করেন তারা। চলবে…..