অনুসন্ধানী প্রতিবেদন———-

ক্রাইম প্রতিবেদক: সাংবাদিকরা তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেন প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা। কিন্তু এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিলে তারা সকলেই ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। অবৈধ ২টি ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমির উপর দিয়ে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া সীমানায় অবস্থিত সাঙ্গু নদী থেকে মাটি ও বালু তোলার কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা।

এটি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলকাবাসী। ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এমন ভূমিকা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। গত ১৬ এপ্রিল অভিযোগকারী সাইফুল ইসলাম সুমন, আজম আলী, মো. তমিজ উদ্দিন, জসিম উদ্দীন, মো. হারুন অর রশিদ, মো. হাছান ও সাজ্জাদ হোসোইনের সাথে কথা বলে জানা যায় এই বিষয়টি নিয়ে রয়েছে রহস্য।

চন্দনাইশ উপজেলা দোহাজারী পৌরসভায় দিয়াকুল দারগাকাটা ও সিকদার পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে সাঙ্গু নদীর ১৪৯১ হতে ১৪৯৪ দাগের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাটি ও বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে হাছনদন্ডীর মৃত চিত্ত রঞ্জন দত্তের ছেলে সুজন দত্তের বিরুদ্ধে। তিনি হাটহাজারী উপজেলা আ’লীগের একজন প্রভাবশালী সদস্যের বিশ্বস্ত অনুসারী পরিচয়ে এলাকায় এই বলয় প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামক তার প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম জেলা বালুমহাল ইজারায় অংশগ্রহণের জন্য প্রথমবারের মত তালিকাভুক্ত হয় বলে জানা যায়। সরকারিভাবে ইজারা না নিয়ে সে এখন বালু সে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ঘাটে ঘাটে লোক নিয়োগ করছে প্রতিবাদী মানুষগুলোকে সন্তুষ্ট করার জন্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ,উপজেলা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ না করে এ কাজ করা সম্ভব নয়! তা না হলে নদী থেকে কীভাবে এতদিন ধরে মাটি ও বালু তুলছে তারা? চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির ২ মেয়াদে প্রায় ৭’শ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চন্দনাইশের ধোপাছড়ি হতে সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসহ জনসাধারণের ঘর-বাড়ী, কৃষি জমি হুমকীর মুখে প্রশাসন দেখছে না।

বাদ-বাকী বেঁড়িবাধ চলতি মেয়াদে শেষ করবেন বলে নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেন সংসদ সদস্য। এটি বন্ধ না করলে তার আগে বিলীন হয়ে যাবে সব। সরকারিভাবে ইজারা না নেওয়ার আগে কোটিপতি হওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে সে। তার এই লোভের কারণে সামাজিক আইনশৃঙ্খলা ও পরিবেশের ভারসাম্যের অবনতি দেখছেন তারা।

জানা যায়, বিগত ২৩ এপ্রিল ২০১৩ খ্রি. তারিখে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত রেজা সরেজমিনে পরিদর্শন করে উক্ত এলাকা থেকে মাটি কাটা ও বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন। মাটি কাটার স্থানে সাঙ্গু নদীর প্রবল স্রোতের সময় পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হবে। ফলে ভবিষ্যতে এলাকার সর্বসাধারণের সেচ প্রকল্পের বাঁধ ও বসতবাড়ির জমি নদীতে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় স্থানীয় বাসিন্দার আবেদনটি খারজি করে দেন।

পরবর্তীতে গত ১২ জুন ২০২৩খ্রি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বালুমহাল ঘোষণাপূর্বক বালু উত্তোলনের আবেদনের প্রতিবেদন প্রেরণ করেন উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনা (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দিয়াকুল মৌজার বি.এস ১ নং খতিয়ানের বি.এস ২২১৬ নং দাগের মোট ৩৩.২০ একর জমি (শ্রেণি-নদী) সরকারের নামে রেকর্ডপত্র চূড়ান্ত আছে। বি.এস ২২১৬ নং দাগের আন্দর প্রায় ১২.০০ একর জমিতে সাঙ্গু নদীর দিয়াকুল অংশে অতিরিক্ত বালি ভরাট হয়ে বালুমহালে রূপান্তরিত হওয়ায় তা বালুমহাল হিসাবে ঘোষণাপূর্বক ইজারা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রস্তাবিত বালু মহালের উভয় পার্শ্বে বেড়িবাঁধ ও জনসাধারণের ঘর-বাড়ী থাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

সাতকানিয়া পুরানগড় অংশ দিয়ে প্রবাহিত পানি বাঁধা গ্রস্ত হওয়ায় দিয়াকুলের কৃষকদের বোরো চাঁষাবাদের নিমিত্তে পুরানগড় হতে বাজালিয়া অংশে অবস্থিত ২২১৬ দাগে বালুমহাল ঘোষণা পূর্বক ইজারা প্রদানের নির্দেশনা দেন।

পটিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগের প্রকৌশলী অপু দেব গত ২৮ আগস্ট ২০২৩খ্রি. তারিখের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে বর্ণিত তফসিলের জমিতে বালু মহাল হিসেবে ঘোষণা করার কথা বলেন। উক্ত দাগের আন্দরে ঐ মর্মে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস নতুন বালুমহাল ঘোষণার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ- এই বিষয়ে ছাড় পত্র দেন।

পরবর্তীতে ৬ নভেম্বর ২০২৩খ্রি তারিখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত হাতে নিতে প্রায় ২ লক্ষ ৬১ হাজার প্রাক্কলিক ব্যয়ের রশিদ বিবরণী প্রস্তুত করেন। শর্ত থাকে এই প্রাক্কলিক ব্যয়ের অর্থ পে-অর্ডার করে পরিচালক (হাইড্রোগ্রাফি) অনুকূলে এর দপ্তরে জমা প্রদান করলে জরিপ কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন দিবেন। এরপর প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বালু মহাল ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন জেলা প্রশাসক।

তবে গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখের চট্টগ্রাম জেলা বালুমহাল ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সাঙ্গু নদী থেকে বালু তোলার অনুমতি নেই। এই অর্থ বছরে চন্দনাইশে ৬টি স্থান থেকে বালু তোলার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাত্র। তারা ঐ ব্যয় বিবরণী দেখিয়ে এবং তফসিলোক্ত দাগের বাহিরে গিয়ে আইন ও নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে বালু তোলায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

ইতিমধ্যে প্রতিমন্ত্রী বা স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপুর্ত অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মেয়র বরাবরে অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।

ক্ষিপ্ত সাধারণ জনগণ বলেন, সম্পূর্ণ চন্দনাইশে অভিযোগ দিলে প্রশাসনের লোকজন মাঝেমধ্যে দিনে এসে অভিযান চালান। কিন্তু নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ২ জনেই মহিলা। তাঁদের রাতে অভিযান পরিচালনা করতে অনিহা থাকায় পুরো চন্দনাইশে পরিবেশের ক্ষতি করতে সুযোগ পাচ্ছে অপরাধীরা। লোক দেখানো কিছু অভিযানের ফলে স্থানীয়দের মুখে মুখে এখন চলছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়। চন্দনাইশে সকল অবৈধ কর্মকান্ডে প্রশাসনের নিরভ সমর্থন রয়েছে বলে সন্দেহ করেন তারা।

অভিযুক্ত সুজন দত্ত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কথা স্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম বলেন, অভিযোগ পেয়ে বালু তোলা বন্ধ করেছেন। স্তুপকৃত বালি জব্দ ও জরিমানায় আওতায় আনা হবে বলে জানান।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন———-

ক্রাইম প্রতিবেদক: সাংবাদিকরা তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেন প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা। কিন্তু এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিলে তারা সকলেই ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। অবৈধ ২টি ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমির উপর দিয়ে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া সীমানায় অবস্থিত সাঙ্গু নদী থেকে মাটি ও বালু তোলার কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা।

এটি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলকাবাসী। ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এমন ভূমিকা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। গত ১৬ এপ্রিল অভিযোগকারী সাইফুল ইসলাম সুমন, আজম আলী, মো. তমিজ উদ্দিন, জসিম উদ্দীন, মো. হারুন অর রশিদ, মো. হাছান ও সাজ্জাদ হোসোইনের সাথে কথা বলে জানা যায় এই বিষয়টি নিয়ে রয়েছে রহস্য।

চন্দনাইশ উপজেলা দোহাজারী পৌরসভায় দিয়াকুল দারগাকাটা ও সিকদার পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে সাঙ্গু নদীর ১৪৯১ হতে ১৪৯৪ দাগের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাটি ও বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে হাছনদন্ডীর মৃত চিত্ত রঞ্জন দত্তের ছেলে সুজন দত্তের বিরুদ্ধে। তিনি হাটহাজারী উপজেলা আ’লীগের একজন প্রভাবশালী সদস্যের বিশ্বস্ত অনুসারী পরিচয়ে এলাকায় এই বলয় প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামক তার প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম জেলা বালুমহাল ইজারায় অংশগ্রহণের জন্য প্রথমবারের মত তালিকাভুক্ত হয় বলে জানা যায়। সরকারিভাবে ইজারা না নিয়ে সে এখন বালু সে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ঘাটে ঘাটে লোক নিয়োগ করছে প্রতিবাদী মানুষগুলোকে সন্তুষ্ট করার জন্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ,উপজেলা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ না করে এ কাজ করা সম্ভব নয়! তা না হলে নদী থেকে কীভাবে এতদিন ধরে মাটি ও বালু তুলছে তারা? চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির ২ মেয়াদে প্রায় ৭’শ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চন্দনাইশের ধোপাছড়ি হতে সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসহ জনসাধারণের ঘর-বাড়ী, কৃষি জমি হুমকীর মুখে প্রশাসন দেখছে না।

বাদ-বাকী বেঁড়িবাধ চলতি মেয়াদে শেষ করবেন বলে নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেন সংসদ সদস্য। এটি বন্ধ না করলে তার আগে বিলীন হয়ে যাবে সব। সরকারিভাবে ইজারা না নেওয়ার আগে কোটিপতি হওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে সে। তার এই লোভের কারণে সামাজিক আইনশৃঙ্খলা ও পরিবেশের ভারসাম্যের অবনতি দেখছেন তারা।

জানা যায়, বিগত ২৩ এপ্রিল ২০১৩ খ্রি. তারিখে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত রেজা সরেজমিনে পরিদর্শন করে উক্ত এলাকা থেকে মাটি কাটা ও বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন। মাটি কাটার স্থানে সাঙ্গু নদীর প্রবল স্রোতের সময় পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হবে। ফলে ভবিষ্যতে এলাকার সর্বসাধারণের সেচ প্রকল্পের বাঁধ ও বসতবাড়ির জমি নদীতে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় স্থানীয় বাসিন্দার আবেদনটি খারজি করে দেন।

পরবর্তীতে গত ১২ জুন ২০২৩খ্রি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বালুমহাল ঘোষণাপূর্বক বালু উত্তোলনের আবেদনের প্রতিবেদন প্রেরণ করেন উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনা (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দিয়াকুল মৌজার বি.এস ১ নং খতিয়ানের বি.এস ২২১৬ নং দাগের মোট ৩৩.২০ একর জমি (শ্রেণি-নদী) সরকারের নামে রেকর্ডপত্র চূড়ান্ত আছে। বি.এস ২২১৬ নং দাগের আন্দর প্রায় ১২.০০ একর জমিতে সাঙ্গু নদীর দিয়াকুল অংশে অতিরিক্ত বালি ভরাট হয়ে বালুমহালে রূপান্তরিত হওয়ায় তা বালুমহাল হিসাবে ঘোষণাপূর্বক ইজারা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রস্তাবিত বালু মহালের উভয় পার্শ্বে বেড়িবাঁধ ও জনসাধারণের ঘর-বাড়ী থাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

সাতকানিয়া পুরানগড় অংশ দিয়ে প্রবাহিত পানি বাঁধা গ্রস্ত হওয়ায় দিয়াকুলের কৃষকদের বোরো চাঁষাবাদের নিমিত্তে পুরানগড় হতে বাজালিয়া অংশে অবস্থিত ২২১৬ দাগে বালুমহাল ঘোষণা পূর্বক ইজারা প্রদানের নির্দেশনা দেন।

পটিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগের প্রকৌশলী অপু দেব গত ২৮ আগস্ট ২০২৩খ্রি. তারিখের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে বর্ণিত তফসিলের জমিতে বালু মহাল হিসেবে ঘোষণা করার কথা বলেন। উক্ত দাগের আন্দরে ঐ মর্মে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস নতুন বালুমহাল ঘোষণার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ- এই বিষয়ে ছাড় পত্র দেন।

পরবর্তীতে ৬ নভেম্বর ২০২৩খ্রি তারিখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত হাতে নিতে প্রায় ২ লক্ষ ৬১ হাজার প্রাক্কলিক ব্যয়ের রশিদ বিবরণী প্রস্তুত করেন। শর্ত থাকে এই প্রাক্কলিক ব্যয়ের অর্থ পে-অর্ডার করে পরিচালক (হাইড্রোগ্রাফি) অনুকূলে এর দপ্তরে জমা প্রদান করলে জরিপ কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন দিবেন। এরপর প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বালু মহাল ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন জেলা প্রশাসক।

তবে গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখের চট্টগ্রাম জেলা বালুমহাল ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সাঙ্গু নদী থেকে বালু তোলার অনুমতি নেই। এই অর্থ বছরে চন্দনাইশে ৬টি স্থান থেকে বালু তোলার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাত্র। তারা ঐ ব্যয় বিবরণী দেখিয়ে এবং তফসিলোক্ত দাগের বাহিরে গিয়ে আইন ও নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে বালু তোলায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

ইতিমধ্যে প্রতিমন্ত্রী বা স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপুর্ত অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মেয়র বরাবরে অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।

ক্ষিপ্ত সাধারণ জনগণ বলেন, সম্পূর্ণ চন্দনাইশে অভিযোগ দিলে প্রশাসনের লোকজন মাঝেমধ্যে দিনে এসে অভিযান চালান। কিন্তু নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ২ জনেই মহিলা। তাঁদের রাতে অভিযান পরিচালনা করতে অনিহা থাকায় পুরো চন্দনাইশে পরিবেশের ক্ষতি করতে সুযোগ পাচ্ছে অপরাধীরা। লোক দেখানো কিছু অভিযানের ফলে স্থানীয়দের মুখে মুখে এখন চলছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়। চন্দনাইশে সকল অবৈধ কর্মকান্ডে প্রশাসনের নিরভ সমর্থন রয়েছে বলে সন্দেহ করেন তারা।

অভিযুক্ত সুজন দত্ত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কথা স্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম বলেন, অভিযোগ পেয়ে বালু তোলা বন্ধ করেছেন। স্তুপকৃত বালি জব্দ ও জরিমানায় আওতায় আনা হবে বলে জানান।