দি ক্রাইম ডেস্ক: বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অভিযান গতকাল রবিবার ১৪তম দিনে পৌঁছেছে। অভিযানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও সন্দেহভাজন বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে যৌথ বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা হামলার চেষ্টা করছে। গত শুক্রবার বিকালে রুমা উপজেলায় অভিযানকালে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এতে সেনাসদস্য করপোরাল মো. রফিকুল ইসলাম নিহত এবং কয়েক জন সদস্য আহত হন।

তবে এ ঘটনায় কেএনএফের ওয়েবসাইটে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত কিছু বাংলাদেশি কেএনএফের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় সমর্থন দিচ্ছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড। তারা আরও বলেন, পার্বত্য তিন জেলাও বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো অবিচ্ছেদ্য অংশ। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীদের নিরাপদে ও শান্তিতে রাখতে বদ্ধপরিকর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা সেখানে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজেও এই বাহিনী সরাসরি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। দুর্গম এলাকা থেকে অনেক সংকটাপন্ন রোগীদের হেলিকপটারে করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে এবং চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। পাহাড়ি-বাঙালিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সেবামূলক নিরাপত্তা কাজে খুবই খুশি। ঐ অঞ্চলের মানুষেরা কুকি-চিনের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী একেবারেই নির্মূলের দাবি করেছেন। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়বে—এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন দিয়ে অবদান রেখেছেন।

এছাড়াও দেশের যে কোনো দুর্যোগে এই বাহিনী তাদের অবদান রেখে যাচ্ছে। বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও অনেকে শহিদ হয়েছেন। কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক চুলও পিছপা হননি। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্য যেসব দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শতভাগ সফল হওয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করছে। ঐসব দেশের জনগণও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করে আসছেন। সার্বভৌম বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য ভূখণ্ড হলো পার্বত্য অঞ্চল। এই ভূখণ্ডে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিনষ্ট করা হলে সমূলে উৎখাত করা হবে সন্ত্রাসীদের। বান্দরবানে কেএনএফ (কুকি-চিন) সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ দিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমেও সমাধানের সুযোগ দেন। সেই সুযোগ না নিয়ে তারা ব্যাংক ও অস্ত্র লুট করেছে। বান্দরবানে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে শান্তি বিনষ্ট করেছে। সুযোগ দেওয়া সরকারের দুর্বলতা নয়, শান্তিতে বসবাস করার সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু আত্মসমর্পণ গ্রহণ না করে কেএনএফের সদস্যরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেছে নিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান। এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

বান্দরবান এলাকার পাহাড়ি বাঙালি নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা এখানে শান্তিতে বসবাস করছি। হঠাৎ করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবান এলাকায় সরকারের সরলতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে দেয়। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পাহাড়ি ও বাঙালিদের কোনো সমর্থন নাই। তাদের কার্যক্রম শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ওয়েবসাইটে। সেখানেও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সরকার ৬১ জেলায় যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়নের ধারা পার্বত্য অঞ্চলেও অব্যাহত আছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্কুল , কলেজ, মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাতের কাছেই বাসিন্দাদের সন্তানরা সুশিক্ষা গ্রহণ করছে। যা একসময়ে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি। এই সরকারের শান্তি চুক্তির সুফল তারা পাচ্ছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান।

র‍্যাবের মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন বলেন, অভিযানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে র‍্যাব সদস্যরাও রয়েছেন। বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য অঞ্চল। এই ভূখণ্ডে কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা নেই। তাদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।

দি ক্রাইম ডেস্ক: বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া অভিযান গতকাল রবিবার ১৪তম দিনে পৌঁছেছে। অভিযানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও সন্দেহভাজন বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে যৌথ বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা হামলার চেষ্টা করছে। গত শুক্রবার বিকালে রুমা উপজেলায় অভিযানকালে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এতে সেনাসদস্য করপোরাল মো. রফিকুল ইসলাম নিহত এবং কয়েক জন সদস্য আহত হন।

তবে এ ঘটনায় কেএনএফের ওয়েবসাইটে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত কিছু বাংলাদেশি কেএনএফের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় সমর্থন দিচ্ছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড। তারা আরও বলেন, পার্বত্য তিন জেলাও বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো অবিচ্ছেদ্য অংশ। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীদের নিরাপদে ও শান্তিতে রাখতে বদ্ধপরিকর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা সেখানে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজেও এই বাহিনী সরাসরি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। দুর্গম এলাকা থেকে অনেক সংকটাপন্ন রোগীদের হেলিকপটারে করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে এবং চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। পাহাড়ি-বাঙালিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সেবামূলক নিরাপত্তা কাজে খুবই খুশি। ঐ অঞ্চলের মানুষেরা কুকি-চিনের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী একেবারেই নির্মূলের দাবি করেছেন। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়বে—এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন দিয়ে অবদান রেখেছেন।

এছাড়াও দেশের যে কোনো দুর্যোগে এই বাহিনী তাদের অবদান রেখে যাচ্ছে। বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও অনেকে শহিদ হয়েছেন। কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক চুলও পিছপা হননি। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্য যেসব দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শতভাগ সফল হওয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করছে। ঐসব দেশের জনগণও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করে আসছেন। সার্বভৌম বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য ভূখণ্ড হলো পার্বত্য অঞ্চল। এই ভূখণ্ডে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিনষ্ট করা হলে সমূলে উৎখাত করা হবে সন্ত্রাসীদের। বান্দরবানে কেএনএফ (কুকি-চিন) সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ দিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমেও সমাধানের সুযোগ দেন। সেই সুযোগ না নিয়ে তারা ব্যাংক ও অস্ত্র লুট করেছে। বান্দরবানে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে শান্তি বিনষ্ট করেছে। সুযোগ দেওয়া সরকারের দুর্বলতা নয়, শান্তিতে বসবাস করার সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু আত্মসমর্পণ গ্রহণ না করে কেএনএফের সদস্যরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেছে নিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান। এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

বান্দরবান এলাকার পাহাড়ি বাঙালি নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা এখানে শান্তিতে বসবাস করছি। হঠাৎ করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবান এলাকায় সরকারের সরলতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে দেয়। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পাহাড়ি ও বাঙালিদের কোনো সমর্থন নাই। তাদের কার্যক্রম শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ওয়েবসাইটে। সেখানেও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সরকার ৬১ জেলায় যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়নের ধারা পার্বত্য অঞ্চলেও অব্যাহত আছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্কুল , কলেজ, মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাতের কাছেই বাসিন্দাদের সন্তানরা সুশিক্ষা গ্রহণ করছে। যা একসময়ে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি। এই সরকারের শান্তি চুক্তির সুফল তারা পাচ্ছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান।

র‍্যাবের মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন বলেন, অভিযানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে র‍্যাব সদস্যরাও রয়েছেন। বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য অঞ্চল। এই ভূখণ্ডে কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা নেই। তাদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।