প্রশাসনিক দুর্বলতা সংকটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ফলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে কতিপয় কর্মকর্তা। চেয়ারম্যান ও সচিবের অক্ষমতার কারণে এহেন অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে বরংবার। তদ্রুপ গত বুধবারের ঘটনাটিও তাদের প্রশাসনিক অক্ষমতার ফসল।

সিডিএ পরিচালনার জন্য সুনিদিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে। এ নিয়ম কানুন ও বিধি নিয়ন্ত্রণের নিয়ামক কর্মকর্তা হলেন সরকারের প্রতিনিধি চেয়ারম্যান। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হলেন সচিব। মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। চেয়ারম্যান তার প্রতিষ্ঠানের যে কার্যক্রম গ্রহণ করবে তা “সহি” বলে মেনে নিতে বাধ্য মন্ত্রণালয়। যা সিডিএ’র বিধিমূলে তাকে এ ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে গত মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর)সকাল সাড়ে ১১টায় গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব ওয়াছি উদ্দীনের আত্মীয় পরিচয় দানকারী পিটিশন ব্যবসার অন্যতম হোতা ইমরান হাসান প্রতারণার দায়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছে। এই ঘটনা পরের দিন চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকাসহ  কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায়ও ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সচিব ওয়াছি উদ্দীন সিডিএ’র বেশ কয়েকজন উর্দ্ধত্বন কর্মকর্তাকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মকর্তাকে দিয়ে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়।

সচিব ওয়াছি উদ্দীনের সাথে প্রতারক ইমরান হাসানের কিসের সম্পর্ক তা বলাবাহুল্য। তার প্রত্যক্ষ মদদে প্রতারক ইমরান হাসান (৩৮) গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকালে কতোয়ালী থানায় ৯ জনকে এজাহারভুক্ত আসামীসহ আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-১৬,তারিখ ১০/১১/২০২৩, ধারা ১৪৩/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩২৫/ ৫০৬)। এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের বেশীর ভাগ বহিরাগত। তারা কেউ সিডিএতে চাকুরী করেনা।

সুত্রে জানা গেছে, ইমরান হাসান ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় সিডিএ ভবনে আসে। আসার পর তৃতীয় তলায় চেয়ারম্যান দপ্তরে গিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব আসচ্ছে কিনা পিএ জমির উদ্দীনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এখনো আসেনি। এরপর চেয়ারম্যান দপ্তরের ছবি তুলে একই ভবনের সচিব দপ্তরের ছবি তুলেন। এর পর ৪র্থ তলায় ডিসিটিপির দপ্তর এবং নগর পরিকল্পনাবিদ মো. জহিরে বন্ধ রুমের ছবি তুলে পুনরায় ৩য় তলায় এসে আজেবাজে মন্তব্য করলে অফিস স্টাফরা তার উপর ক্ষেপে যায়। তখন স্টাফদের উদ্দেশ্যে ইমরান হাসান বলেন, “গতকাল দু’জন দুর্নীতিবাজকে অপসারণ করেছি, আরো ১২জনকে খতম করবো”।

জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন সকালে গণপূর্ত সচিব ওয়াছি উদ্দীনসহ আরো একজন জয়েন্ট সেক্রেটারী সিডিএতে এসে দুই অথরাইজড অফিসারকে বদলীর আদেশ দেয়। দুপুরে সচিব ওয়াছি উদ্দীন সিডিএ ভবনের ২য় তলায় নামাজ পড়তে আসলে ওই প্রতারক ইমরান হাসান ও ফিরিঙ্গী বাজারের লিয়াকত নামের আরো একজনকে সাথে নিয়ে সচিবের নিকট মোখিক অভিযোগ জানান।

প্রশাসনিক দুর্বলতা সংকটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ফলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে কতিপয় কর্মকর্তা। চেয়ারম্যান ও সচিবের অক্ষমতার কারণে এহেন অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে বরংবার। তদ্রুপ গত বুধবারের ঘটনাটিও তাদের প্রশাসনিক অক্ষমতার ফসল।

সিডিএ পরিচালনার জন্য সুনিদিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে। এ নিয়ম কানুন ও বিধি নিয়ন্ত্রণের নিয়ামক কর্মকর্তা হলেন সরকারের প্রতিনিধি চেয়ারম্যান। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হলেন সচিব। মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। চেয়ারম্যান তার প্রতিষ্ঠানের যে কার্যক্রম গ্রহণ করবে তা “সহি” বলে মেনে নিতে বাধ্য মন্ত্রণালয়। যা সিডিএ’র বিধিমূলে তাকে এ ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে গত মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর)সকাল সাড়ে ১১টায় গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব ওয়াছি উদ্দীনের আত্মীয় পরিচয় দানকারী পিটিশন ব্যবসার অন্যতম হোতা ইমরান হাসান প্রতারণার দায়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছে। এই ঘটনা পরের দিন চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকাসহ  কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায়ও ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সচিব ওয়াছি উদ্দীন সিডিএ’র বেশ কয়েকজন উর্দ্ধত্বন কর্মকর্তাকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মকর্তাকে দিয়ে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়।

সচিব ওয়াছি উদ্দীনের সাথে প্রতারক ইমরান হাসানের কিসের সম্পর্ক তা বলাবাহুল্য। তার প্রত্যক্ষ মদদে প্রতারক ইমরান হাসান (৩৮) গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকালে কতোয়ালী থানায় ৯ জনকে এজাহারভুক্ত আসামীসহ আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-১৬,তারিখ ১০/১১/২০২৩, ধারা ১৪৩/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩২৫/ ৫০৬)। এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের বেশীর ভাগ বহিরাগত। তারা কেউ সিডিএতে চাকুরী করেনা।

সুত্রে জানা গেছে, ইমরান হাসান ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় সিডিএ ভবনে আসে। আসার পর তৃতীয় তলায় চেয়ারম্যান দপ্তরে গিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব আসচ্ছে কিনা পিএ জমির উদ্দীনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এখনো আসেনি। এরপর চেয়ারম্যান দপ্তরের ছবি তুলে একই ভবনের সচিব দপ্তরের ছবি তুলেন। এর পর ৪র্থ তলায় ডিসিটিপির দপ্তর এবং নগর পরিকল্পনাবিদ মো. জহিরে বন্ধ রুমের ছবি তুলে পুনরায় ৩য় তলায় এসে আজেবাজে মন্তব্য করলে অফিস স্টাফরা তার উপর ক্ষেপে যায়। তখন স্টাফদের উদ্দেশ্যে ইমরান হাসান বলেন, “গতকাল দু’জন দুর্নীতিবাজকে অপসারণ করেছি, আরো ১২জনকে খতম করবো”।

জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন সকালে গণপূর্ত সচিব ওয়াছি উদ্দীনসহ আরো একজন জয়েন্ট সেক্রেটারী সিডিএতে এসে দুই অথরাইজড অফিসারকে বদলীর আদেশ দেয়। দুপুরে সচিব ওয়াছি উদ্দীন সিডিএ ভবনের ২য় তলায় নামাজ পড়তে আসলে ওই প্রতারক ইমরান হাসান ও ফিরিঙ্গী বাজারের লিয়াকত নামের আরো একজনকে সাথে নিয়ে সচিবের নিকট মোখিক অভিযোগ জানান।