নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো আনোয়ারার রাজনীতির মাঠ। এর প্রভাব কর্ণফুলী উপজেলাতেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ছে গ্রামের পর গ্রাম।

ভোটের পর থেকে অজানা সংকেতে সংঘাত -সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে। মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছে দু’পক্ষ, আহত হচ্ছে রক্ত ঝরছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানার পুলিশ আহত হওয়ার সংবাদ শুনা যাচ্ছে। মামলা দেয়া হচ্ছে। মামলায় পাবলিকের পাশপাশি পুলিশকেও বাদী করা হচ্ছে। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হককেও আসামী করা হয়। এসব ঘটনা থেকে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লুটার চেষ্ঠায় আছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন মাঠের লোকজন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ মন্তব্যও একই ধরনের।

মাঠের লোকজনের অভিযোগ, পুলিশের বিতর্কিত ভুমিকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগ থেকে ভোটের মাঠে উত্তপ্ত হওয়ার আভাস দেখা দেয়। ফলে নির্বাচনের দু’দিন আগে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদকে পক্ষপাতের অভিযোগে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। তবে তিনি ভোটের দু’দিন পর আবার আনোয়ারা থানায় যোগদান করেন। তিনি আসার পর থেকে দুই দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিবদমান দুই গ্রুপের নেতাকর্মী সমর্থকরা।

সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। নাজেহাল করা হয় নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হককে। তাকে এবং দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তী পুলিশের একের পর এক অভিযানে পুরো এলাকার মানুষের মধ্যে অজানা চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ছে গ্রামের পর গ্রাম। পুলিশের এই অভিযানে সাধারণ মানুষও অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ভুক্তভোগি অনেকে। কিছু সংবাদ পত্রের একপেষে আতঙ্ক ছড়ানো রিপোর্ট ও বিতর্কিত ভুমিকায় রাজনীতির মাঠ পরিকল্পিতভাবে উত্তপ্ত করা হচ্ছে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন দায়ী করছেন। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তলিয়ে দেখলে সাধারণ মানুষ সংঘাত হয়রানী থেকে বাঁচতে পারবে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন।

এদিকে সংঘর্ষ পরবর্তী এসময়ে সুনির্দিষ্ট ছাড়াও শতশত অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষকে আসামী করা হয়। ডর ভয় লাগিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে মাঠ থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সৎ নিরপেক্ষ দক্ষ চৌকশ পুলিশ অফিসার হিসেবে এক্ষেত্রে পুলিশ সুপার মহোদয় ভুমিকা রাখতে পারেন বলে সচেতন মহল অভিমতে জানিয়েছেন।

সুত্র জানায়, গত মাসের ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দলের কেউ প্রার্থী না হলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুইজন প্রার্থী হন। তৌহিদুল হক চৌধুরী দোয়াত কলম ও কাজী মোজাম্মেল হক আনারস প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। কাজী মোজাম্মেল হক আনারস প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করেন। হেরে যান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী।

এই নির্বাচনে প্রথমে প্রার্থী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নান চৌধুর আবুল কালাম চৌধুরী প্রফেসর ডাঃ নাসির উদ্দীন মাহমুদ ও ছাবের আহমদ চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে অন্য প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেও এমএ মান্নান চৌধুরী ভোটের মাঠে থেকে যান। সর্বশেষ তাকে সরিয়ে দিয়ে তৌহিদুল হক চৌধুরী নির্বাচন করবেন বলে ঘোষনা দেয়া হয় সাবেক ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির পক্ষ থেকে। দু’পক্ষই মাঠের প্রচারণা চালাতে নেতাকর্মী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টুকটাক সংঘর্ষ ছাড়া প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তাধীনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে কাজী মোজাম্মেল হককে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন। কাজীর ধস নামানে এই বিজয়কে প্রতিপক্ষ’র লোকজন কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছেনা। অহেতুক নানা কর্মসূচী দিয়ে মাঠ দখল করতে নেমে পড়েন এমপির লোকজন। অপর পক্ষ’র সাথে জড়িয়ে পড়েন সংঘাত সংঘর্ষে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সংঘাত উস্কে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ৭ জুন বন্দর কমিউনিটি সেন্টার একদিন পর ৮জুন রাতে টানেল চত্বরের হোটেল ভোজন বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওইদিন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়শা খান এমপির সমাবেশ ছিল উপকুলের গহিরা এলাকায়। তিনি বেঁড়িবাধও পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রীর দুই কর্মসূচী শেষে নেতাকর্মীরা ফিরে আসার পর টানেল চত্বরে জমায়েত হলে যৌথ গ্রেফতার অভিযানে নামেন কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানার পুলিশ। এঘটনায় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার সাধারণ মানুষের ধারণা, এঘটনার পেছনে একটি পক্ষ কলকাঠি নাড়ছে মাঠ উত্তপ্ত করে ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপর পক্ষকে মাঠ ছাড়া করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো আনোয়ারার রাজনীতির মাঠ। এর প্রভাব কর্ণফুলী উপজেলাতেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ছে গ্রামের পর গ্রাম।

ভোটের পর থেকে অজানা সংকেতে সংঘাত -সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে। মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছে দু’পক্ষ, আহত হচ্ছে রক্ত ঝরছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানার পুলিশ আহত হওয়ার সংবাদ শুনা যাচ্ছে। মামলা দেয়া হচ্ছে। মামলায় পাবলিকের পাশপাশি পুলিশকেও বাদী করা হচ্ছে। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হককেও আসামী করা হয়। এসব ঘটনা থেকে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লুটার চেষ্ঠায় আছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন মাঠের লোকজন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ মন্তব্যও একই ধরনের।

মাঠের লোকজনের অভিযোগ, পুলিশের বিতর্কিত ভুমিকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগ থেকে ভোটের মাঠে উত্তপ্ত হওয়ার আভাস দেখা দেয়। ফলে নির্বাচনের দু’দিন আগে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদকে পক্ষপাতের অভিযোগে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। তবে তিনি ভোটের দু’দিন পর আবার আনোয়ারা থানায় যোগদান করেন। তিনি আসার পর থেকে দুই দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিবদমান দুই গ্রুপের নেতাকর্মী সমর্থকরা।

সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। নাজেহাল করা হয় নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হককে। তাকে এবং দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তী পুলিশের একের পর এক অভিযানে পুরো এলাকার মানুষের মধ্যে অজানা চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ছে গ্রামের পর গ্রাম। পুলিশের এই অভিযানে সাধারণ মানুষও অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ভুক্তভোগি অনেকে। কিছু সংবাদ পত্রের একপেষে আতঙ্ক ছড়ানো রিপোর্ট ও বিতর্কিত ভুমিকায় রাজনীতির মাঠ পরিকল্পিতভাবে উত্তপ্ত করা হচ্ছে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন দায়ী করছেন। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তলিয়ে দেখলে সাধারণ মানুষ সংঘাত হয়রানী থেকে বাঁচতে পারবে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন।

এদিকে সংঘর্ষ পরবর্তী এসময়ে সুনির্দিষ্ট ছাড়াও শতশত অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষকে আসামী করা হয়। ডর ভয় লাগিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে মাঠ থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সৎ নিরপেক্ষ দক্ষ চৌকশ পুলিশ অফিসার হিসেবে এক্ষেত্রে পুলিশ সুপার মহোদয় ভুমিকা রাখতে পারেন বলে সচেতন মহল অভিমতে জানিয়েছেন।

সুত্র জানায়, গত মাসের ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দলের কেউ প্রার্থী না হলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুইজন প্রার্থী হন। তৌহিদুল হক চৌধুরী দোয়াত কলম ও কাজী মোজাম্মেল হক আনারস প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। কাজী মোজাম্মেল হক আনারস প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করেন। হেরে যান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী।

এই নির্বাচনে প্রথমে প্রার্থী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নান চৌধুর আবুল কালাম চৌধুরী প্রফেসর ডাঃ নাসির উদ্দীন মাহমুদ ও ছাবের আহমদ চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে অন্য প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেও এমএ মান্নান চৌধুরী ভোটের মাঠে থেকে যান। সর্বশেষ তাকে সরিয়ে দিয়ে তৌহিদুল হক চৌধুরী নির্বাচন করবেন বলে ঘোষনা দেয়া হয় সাবেক ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির পক্ষ থেকে। দু’পক্ষই মাঠের প্রচারণা চালাতে নেতাকর্মী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টুকটাক সংঘর্ষ ছাড়া প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তাধীনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে কাজী মোজাম্মেল হককে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন। কাজীর ধস নামানে এই বিজয়কে প্রতিপক্ষ’র লোকজন কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছেনা। অহেতুক নানা কর্মসূচী দিয়ে মাঠ দখল করতে নেমে পড়েন এমপির লোকজন। অপর পক্ষ’র সাথে জড়িয়ে পড়েন সংঘাত সংঘর্ষে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সংঘাত উস্কে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ৭ জুন বন্দর কমিউনিটি সেন্টার একদিন পর ৮জুন রাতে টানেল চত্বরের হোটেল ভোজন বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওইদিন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়শা খান এমপির সমাবেশ ছিল উপকুলের গহিরা এলাকায়। তিনি বেঁড়িবাধও পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রীর দুই কর্মসূচী শেষে নেতাকর্মীরা ফিরে আসার পর টানেল চত্বরে জমায়েত হলে যৌথ গ্রেফতার অভিযানে নামেন কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানার পুলিশ। এঘটনায় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার সাধারণ মানুষের ধারণা, এঘটনার পেছনে একটি পক্ষ কলকাঠি নাড়ছে মাঠ উত্তপ্ত করে ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপর পক্ষকে মাঠ ছাড়া করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।