নিজস্ব প্রতিবেদক: ১১মার্চ ২০২৩ সালের ঘটনা। কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৬(০৩)২৩ইং। জিআর মামলা নং- ২৭/২৩ইং। ঘটনার স্থান দেখানো হয় বোয়ালখালী থানার রেল ষ্টেশন রোড ফুলকলি দোকানের সামনে। প্রথমে তিনি মামলাটি দায়ের করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৬ এ। যার সিআর মামলা নং- ৮০/২৩। চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা থানার দক্ষিণ পতেঙ্গার ফুলছড়ি পাড়ার জানমনি ভিলার বাসিন্দা বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।ঢাকার খিলগাও বনশ্রী এলাকায় শান্ত ইলেকট্রনিক্স ও কেএসপিএন লিঃ কোম্পানী নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাদীর আসল বাড়ি হচ্ছে বরিশাল জেলায়। মামলায় আসামী করা হয় মোঃ ইলিয়াছ শেখ ও মোঃ ইসমাঈল শেখ পিতা মৃত শেখ আহমদ,জাহাঙ্গীর আলম পিতা আবদুর রহমানকে। উভয়ের ঠিকানা দেখানো হয় আনোয়ারা উপজেলার চাঁপাতলী ও বখতেয়ার পাড়া এলাকায়। তিনি দাবী করেন আসামীরা তাকে মারধর ভয়ভীতি হুমকি ধমকি হত্যার চেষ্টা এবং মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। উর্ধ্বতন পুলিশের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ এমনকি পুলিশকেও হুমকি ধমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে এই কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

যেভাবে মামলা দায়ের হয়ঃ

কামাল হোসেন ১১মার্চ এর একদিন পর ১২মার্চ চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৬ এ একটি সিআর মামলা নং-৮০/২৩ দায়ের করেন। শুনানীর পর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেন। যার মামলা নং-০৬(০৩)২৩ইং। জিআর মামলা নং-২৭/২৩ইং।

আসামী করা হয় মোঃ ইসমাঈল শেখ,মোঃ ইলিয়াছ শেখ ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে। জাল দলিল ও মিথ্যা মামলার কারিগরও এই কামাল হোসেন। এমন কোন কাজ নেই যা তারা করতে পারেনা।

তদন্তে যা আসেঃ

বাদীর মামলাটি বোয়ালখালী থানা পুলিশের হাতে আসার পর দ্রুত তদন্তে নেমে পড়েন পুলিশ। ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কথিত ঘটনাস্থল বোয়ালখালী উপজেলার রেল ষ্টেশন ফুলকলি দোকানের সামনে এসে লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি ঘটনাস্থলের স্কেস ম্যাপ তৈরী করেন। বাদী ও বাদীর মানিত সাক্ষি এবং অন্যান্য সাক্ষিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ঘটনার আসল রহস্য বের করতে পুলিশ বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা এলাকায়, আনোয়ারা উপজেলার বারশতের বখেতেয়ার পাড়া ও চাঁপাতলী গ্রামে ব্যাপক তদন্ত করেন। এক সময় পুলিশি তদন্তে ঘটনার আসল সব রহস্য সহসা বেরিয়ে আসে।

মামলার এজাহার ও এলাকার লোকজন জানান, চাঁপাতলী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবদুর রহমানের পুত্র প্রবাসী কামাল উদ্দীন বিয়ে করেন কামাল হোসেনের মেয়েকে। কামাল উদ্দীনও আমেরিকা প্রবাসী ছিলেন। তার মেয়েও সেখানে স্বামীর সাথে বসবাস করতেন। পরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান কামাল উদ্দীন। পরে জাহাঙ্গীর মানবিক কারণে বড় ভাই কামাল উদ্দীনের স্ত্রীকে বিয়ে করে আমেরিকা প্রবাসী হন। কিছু দিন যেতে না যেতে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। এক সময় জাহাঙ্গীর সেই দেশের আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে দেশে চলে আসেন। তিনি বিদেশ থেকে আসার পর স্থানীয় ইদ্রিস শেখ নামক এক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করেন। এই ইদ্রিস শেখ হচ্ছেন মামলার বাদী কামাল হোসেন এর অপর মেয়ের জামাই আলোচিত নুর মোহাম্মদ এর চাচাত ভাই। ইদ্রিস শেখের অপরাধ তিনি কেন তার মেয়েকে জাহাঙ্গীর আলমকে বিয়ে দিয়েছেন। এঘটনায় জামাই শশুর যারপর নাই ক্ষুদ্ধ হয়। তারা পরিকল্পনা করেন কিভাবে তাদের সায়েস্তা করা যায় মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো যায়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় শশুর কামাল হোসেন একটি মামলা করবেন। পরে তিনি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে তিনজনকে আসামী করে একটি সিআর মামলা-৮০/২৩ইং দায়ের করেন।

শুনানীর পর আদালত মামলাটি বোয়ালখালী থানার ওসিকে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দেন। যার ধারা হচ্ছে ৩৮৫/৩০৭/৩২৫/৩২৩/৫০৬ দঃবি। কামাল হোসেন এর দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তে কোন ধরনের সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় ও মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় পুলিশ ২০২৩ সালের ২৬ জুন মাসে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সর্বশেষ ১৮অক্টোবর ২০২৩ সালে শুনানী শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুন নাহার আসামীদের খালাস প্রদান করেন বলে জানা গেছে।

আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ শহিদুল্লাহ বলেছেন, বাদীর মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালত আসামীদের বেখসুর খালাস প্রদান করেন। বিজ্ঞ আইনজীবী ও আসামী পক্ষের বক্তব্য পুলিশের চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেখে দি ক্রাইম প্রতিবেদক এই প্রতিবেদনটি তৈরী করেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, জিআর ২৭/২৩ ইং মামলায় হেরে গেলেও তারা দমানোর পাত্র নন। এবার জামাই শশুর মিলে আরেক নতুন খেলা শুরু করেন। শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেয় নুর মোহাম্মদ এর ভগ্নিপতি প্রবাসী জহুরুল আলমকে। জহুরুল আলম এর ৪০লক্ষ টাকা আত্মসাত ও শায়েস্তা করার জন্য একটি মিথ্যা জাল জালিয়াতি মামলা দেয়া হয়। যার সিআর-১১৬/২৩। ভগ্নিপতি জহুরুল আলম বিদেশে থাকার সুবাধে জমি দখলে নিতে আরও একটি সিআর-২/২৪ মামলা দায়ের করেন নুর মোহাম্মদ। একটির তদন্ত করছেন অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি অপরটি আনোয়ারা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তদন্ত করছেন। এই দুই মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে নুর মোহাম্মদ এর সৃজিত জাল দলিল নং-১৩৩২/০২ এর বিরুদ্ধে ভগ্নিপতি জহুরুল আলম একটি সিআর-৩৬০/২৩ মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে এই মামলাটি তদন্ত করছেন অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি। পুলিশ ইতোমধ্যে জহুরুল আলম এর দায়েরকৃত অপর দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন। সিআর-৫৩৪/২৩ইং মামলায় ইতোমধ্যে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয় বলে জানা গেছে। সিআর-৩৭১/২৩ইং মামলায় নুর মোহাম্মদ গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে গেছেন বলে জানা গেছে। মিথ্যা মামলা প্রমান হওয়ায় কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, নুর মোহাম্মদ ও শশুর কামাল হোসেন বড় ধরনের প্রতারক ও জাল দলিল তৈরী সিন্ডিকেট সদস্য। তাদের আছে কাড়ি কাড়ি টাকা বাড়ি গাড়ি কোটি টাকার সম্পদ। কামাল হোসেনের আমেরিকায়ও বাড়ি আছে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। এইসব সহায় সম্পত্তি কিভাবে আর্জন করেছেন সরকারকে কতো টাকার টেক্স দেন পেশা কি এইসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। এই দুইজনকে আইনের আওতায় আনা হলে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মত দিয়েছেন অনেকে। জাতীয় রাজস্ব বোড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)ও নজর দিতে বলেছেন বিজ্ঞ মহল।

দুর্ত এই কামাল হোসেনকে অনেকে ডলার ব্যবসায়ী হিসেবে জানেও চিনে বলে জানা গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১১মার্চ ২০২৩ সালের ঘটনা। কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৬(০৩)২৩ইং। জিআর মামলা নং- ২৭/২৩ইং। ঘটনার স্থান দেখানো হয় বোয়ালখালী থানার রেল ষ্টেশন রোড ফুলকলি দোকানের সামনে। প্রথমে তিনি মামলাটি দায়ের করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৬ এ। যার সিআর মামলা নং- ৮০/২৩। চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা থানার দক্ষিণ পতেঙ্গার ফুলছড়ি পাড়ার জানমনি ভিলার বাসিন্দা বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।ঢাকার খিলগাও বনশ্রী এলাকায় শান্ত ইলেকট্রনিক্স ও কেএসপিএন লিঃ কোম্পানী নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাদীর আসল বাড়ি হচ্ছে বরিশাল জেলায়। মামলায় আসামী করা হয় মোঃ ইলিয়াছ শেখ ও মোঃ ইসমাঈল শেখ পিতা মৃত শেখ আহমদ,জাহাঙ্গীর আলম পিতা আবদুর রহমানকে। উভয়ের ঠিকানা দেখানো হয় আনোয়ারা উপজেলার চাঁপাতলী ও বখতেয়ার পাড়া এলাকায়। তিনি দাবী করেন আসামীরা তাকে মারধর ভয়ভীতি হুমকি ধমকি হত্যার চেষ্টা এবং মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। উর্ধ্বতন পুলিশের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ এমনকি পুলিশকেও হুমকি ধমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে এই কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

যেভাবে মামলা দায়ের হয়ঃ

কামাল হোসেন ১১মার্চ এর একদিন পর ১২মার্চ চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৬ এ একটি সিআর মামলা নং-৮০/২৩ দায়ের করেন। শুনানীর পর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেন। যার মামলা নং-০৬(০৩)২৩ইং। জিআর মামলা নং-২৭/২৩ইং।

আসামী করা হয় মোঃ ইসমাঈল শেখ,মোঃ ইলিয়াছ শেখ ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে। জাল দলিল ও মিথ্যা মামলার কারিগরও এই কামাল হোসেন। এমন কোন কাজ নেই যা তারা করতে পারেনা।

তদন্তে যা আসেঃ

বাদীর মামলাটি বোয়ালখালী থানা পুলিশের হাতে আসার পর দ্রুত তদন্তে নেমে পড়েন পুলিশ। ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কথিত ঘটনাস্থল বোয়ালখালী উপজেলার রেল ষ্টেশন ফুলকলি দোকানের সামনে এসে লোকজনকে ঘটনা সম্পর্কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি ঘটনাস্থলের স্কেস ম্যাপ তৈরী করেন। বাদী ও বাদীর মানিত সাক্ষি এবং অন্যান্য সাক্ষিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ঘটনার আসল রহস্য বের করতে পুলিশ বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা এলাকায়, আনোয়ারা উপজেলার বারশতের বখেতেয়ার পাড়া ও চাঁপাতলী গ্রামে ব্যাপক তদন্ত করেন। এক সময় পুলিশি তদন্তে ঘটনার আসল সব রহস্য সহসা বেরিয়ে আসে।

মামলার এজাহার ও এলাকার লোকজন জানান, চাঁপাতলী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবদুর রহমানের পুত্র প্রবাসী কামাল উদ্দীন বিয়ে করেন কামাল হোসেনের মেয়েকে। কামাল উদ্দীনও আমেরিকা প্রবাসী ছিলেন। তার মেয়েও সেখানে স্বামীর সাথে বসবাস করতেন। পরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান কামাল উদ্দীন। পরে জাহাঙ্গীর মানবিক কারণে বড় ভাই কামাল উদ্দীনের স্ত্রীকে বিয়ে করে আমেরিকা প্রবাসী হন। কিছু দিন যেতে না যেতে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। এক সময় জাহাঙ্গীর সেই দেশের আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে দেশে চলে আসেন। তিনি বিদেশ থেকে আসার পর স্থানীয় ইদ্রিস শেখ নামক এক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করেন। এই ইদ্রিস শেখ হচ্ছেন মামলার বাদী কামাল হোসেন এর অপর মেয়ের জামাই আলোচিত নুর মোহাম্মদ এর চাচাত ভাই। ইদ্রিস শেখের অপরাধ তিনি কেন তার মেয়েকে জাহাঙ্গীর আলমকে বিয়ে দিয়েছেন। এঘটনায় জামাই শশুর যারপর নাই ক্ষুদ্ধ হয়। তারা পরিকল্পনা করেন কিভাবে তাদের সায়েস্তা করা যায় মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো যায়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় শশুর কামাল হোসেন একটি মামলা করবেন। পরে তিনি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে তিনজনকে আসামী করে একটি সিআর মামলা-৮০/২৩ইং দায়ের করেন।

শুনানীর পর আদালত মামলাটি বোয়ালখালী থানার ওসিকে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দেন। যার ধারা হচ্ছে ৩৮৫/৩০৭/৩২৫/৩২৩/৫০৬ দঃবি। কামাল হোসেন এর দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তে কোন ধরনের সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় ও মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় পুলিশ ২০২৩ সালের ২৬ জুন মাসে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সর্বশেষ ১৮অক্টোবর ২০২৩ সালে শুনানী শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুন নাহার আসামীদের খালাস প্রদান করেন বলে জানা গেছে।

আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ শহিদুল্লাহ বলেছেন, বাদীর মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালত আসামীদের বেখসুর খালাস প্রদান করেন। বিজ্ঞ আইনজীবী ও আসামী পক্ষের বক্তব্য পুলিশের চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেখে দি ক্রাইম প্রতিবেদক এই প্রতিবেদনটি তৈরী করেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, জিআর ২৭/২৩ ইং মামলায় হেরে গেলেও তারা দমানোর পাত্র নন। এবার জামাই শশুর মিলে আরেক নতুন খেলা শুরু করেন। শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেয় নুর মোহাম্মদ এর ভগ্নিপতি প্রবাসী জহুরুল আলমকে। জহুরুল আলম এর ৪০লক্ষ টাকা আত্মসাত ও শায়েস্তা করার জন্য একটি মিথ্যা জাল জালিয়াতি মামলা দেয়া হয়। যার সিআর-১১৬/২৩। ভগ্নিপতি জহুরুল আলম বিদেশে থাকার সুবাধে জমি দখলে নিতে আরও একটি সিআর-২/২৪ মামলা দায়ের করেন নুর মোহাম্মদ। একটির তদন্ত করছেন অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি অপরটি আনোয়ারা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তদন্ত করছেন। এই দুই মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে নুর মোহাম্মদ এর সৃজিত জাল দলিল নং-১৩৩২/০২ এর বিরুদ্ধে ভগ্নিপতি জহুরুল আলম একটি সিআর-৩৬০/২৩ মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে এই মামলাটি তদন্ত করছেন অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি। পুলিশ ইতোমধ্যে জহুরুল আলম এর দায়েরকৃত অপর দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন। সিআর-৫৩৪/২৩ইং মামলায় ইতোমধ্যে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয় বলে জানা গেছে। সিআর-৩৭১/২৩ইং মামলায় নুর মোহাম্মদ গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে গেছেন বলে জানা গেছে। মিথ্যা মামলা প্রমান হওয়ায় কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, নুর মোহাম্মদ ও শশুর কামাল হোসেন বড় ধরনের প্রতারক ও জাল দলিল তৈরী সিন্ডিকেট সদস্য। তাদের আছে কাড়ি কাড়ি টাকা বাড়ি গাড়ি কোটি টাকার সম্পদ। কামাল হোসেনের আমেরিকায়ও বাড়ি আছে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। এইসব সহায় সম্পত্তি কিভাবে আর্জন করেছেন সরকারকে কতো টাকার টেক্স দেন পেশা কি এইসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। এই দুইজনকে আইনের আওতায় আনা হলে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মত দিয়েছেন অনেকে। জাতীয় রাজস্ব বোড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)ও নজর দিতে বলেছেন বিজ্ঞ মহল।

দুর্ত এই কামাল হোসেনকে অনেকে ডলার ব্যবসায়ী হিসেবে জানেও চিনে বলে জানা গেছে।