ঢাকা ব্যুরো: নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদনে (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১ তম। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনতা বঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) এর ফলাফল জানাতে সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করেন।

প্রতিবেদনে সমৃদ্ধি সূচকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ১২টি দেশের মধ্যে, ভুটান, নেপাল, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের সাথে সাতটি ‘বেশি অসচ্ছল’ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে। এই অঞ্চলের শুধুমাত্র দু’টি দেশ-শ্রীলঙ্কা এবং কাজাখস্তান-কে ‘বেশি সমৃদ্ধ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে ‘অসমৃদ্ধ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আর স্বাধীনতা সূচকে, আটলান্টিক কাউন্সিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সাথে পাঁচটি ‘অধিকাংশ অমুক্ত’ দেশের মধ্যে রাখে। এই অঞ্চলে, ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং কিরগিজস্তান ‘বেশিরভাগ মুক্ত’ এবং আফগানিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান “অমুক্ত”।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলিক স্বাধীনতার জোরদারকরণ দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এই প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সূচকে অন্তর্ভুক্ত আছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি উপাদান। সেই সূচকে ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের অবনতি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে স্বীকার এবং মোকাবিলা করা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন।

জোসেফ লেমোইন প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে। এছাড়া সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।

স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দুটি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরণ অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে।

মূল উপস্থাপনায় জনাব লেমোনি বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে।

যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়।

এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

ঢাকা ব্যুরো: নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদনে (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১ তম। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনতা বঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) এর ফলাফল জানাতে সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করেন।

প্রতিবেদনে সমৃদ্ধি সূচকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ১২টি দেশের মধ্যে, ভুটান, নেপাল, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের সাথে সাতটি ‘বেশি অসচ্ছল’ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে। এই অঞ্চলের শুধুমাত্র দু’টি দেশ-শ্রীলঙ্কা এবং কাজাখস্তান-কে ‘বেশি সমৃদ্ধ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে ‘অসমৃদ্ধ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আর স্বাধীনতা সূচকে, আটলান্টিক কাউন্সিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের সাথে পাঁচটি ‘অধিকাংশ অমুক্ত’ দেশের মধ্যে রাখে। এই অঞ্চলে, ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং কিরগিজস্তান ‘বেশিরভাগ মুক্ত’ এবং আফগানিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান “অমুক্ত”।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌলিক স্বাধীনতার জোরদারকরণ দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এই প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সূচকে অন্তর্ভুক্ত আছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি উপাদান। সেই সূচকে ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের অবনতি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে স্বীকার এবং মোকাবিলা করা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন।

জোসেফ লেমোইন প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে। এছাড়া সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।

স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দুটি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরণ অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে।

মূল উপস্থাপনায় জনাব লেমোনি বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে।

যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়।

এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।