চকরিয়া অফিস : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গ্রামীণ একটি কাঁচারাস্তা পাকাকরণ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বরাদ্দের টাকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ঠিকাদারের যোগসাজসে ৪নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তার কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মেম্বার ও ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের কক্সবাজার জেলা পরিষদ থেকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ পান। অন্যান্য রাস্তা মেরামত বা সংস্কারের পাশাপাশি ৩নং ওয়ার্ডের মহাজনপাড়ায় ৩শ’ ৩০ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ পান হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ উদ্দিন মিরাজ। ওই রাস্তা মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস হিস্মা এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মের্সাস হিস্মা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার ফরিদুল ইসলামের যোগসাজসে ৩নং ওয়ার্ডের বরাদ্দকৃত অর্থ ৪নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তার পাকাকরণ দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের পায়ঁতারা করছেন। ৩’শ ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থ মহাজন পাড়ার রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ না করে অন্য ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়া রাস্তার প্রায় ২’শ ফুট কাজ শেষ করেন। রাস্তার পূর্বের ইট রেখে শুধু ভাঙ্গা ইটগুলো সরিয়ে নতুন ইট বসিয়ে বালি দেওয়া হয়।

হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ওয়ালিদ বিন ফরহাদ জানান, তার ওয়ার্ডের মহাজন পাড়া রাস্তার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে একটি আবেদন করি। এর প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারবাং ইউনিয়নের কয়েক সড়ক ও রাস্তা নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে ৩’শ ৩০ ফুট দৈর্ঘ ও ৮ফুট প্রস্থ মহাজনপাড়া রাস্তার ফ্লাট সলিংয়ের জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। বরাদ্দের পরপরই মহাজনপাড়া রাস্তায় নামফলক বসানো হয়। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের মহাজনপাড়া রাস্তার কাজ ৪নং ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। সেখানে মাষ্টারপাড়া ফ্লাট সলিংয়ের কাজ তড়িগড়ি করে কিছু ইট ও বালি দিয়ে শেষ করেন।

তিনি আরও বলেন, মাষ্টারপাড়া সড়কটি ভালো ছিলো। কোন সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার অর্থ আত্মসাত করতে এই কাজ করেছে। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থের সব টুকুই প্রাক্কলিত ব্যয় দেখান তারা। ৩নং ওয়ার্ডের মহাজনপাড়া রাস্তার নাম লেখা নামফলকটি ৪নং ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়ায় বসানো হয়। যেখানে লেখা আছে মহাজনপাড়া রাস্তার ফ্লাট সলিংকরণ। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩’শ ৩০ ফুট থাকলেও কাজ করেছেন ২’শ ৮০ ফুট। প্রস্থে ৮ ফুট করার কথা থাকলেও তারা ২ ফুট বাড়িয়ে ১০ ফুট করা হয়েছে বলে প্রচার করছেন।

মের্সাস হিস্মা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার ফরিদুল ইসলাম বলেন, কোন ধরণের অনিয়ম হয়নি। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক জায়গার কাজ অন্য জায়গায় নেওয়া হয়েছে। রাস্তার দৈর্ঘ্য কমিয়ে প্রস্থে বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মহাজন পাড়ার রাস্তার কাজ ৪নং ওয়ার্ডে কিভাবে নিয়ে যায়। এক এলাকার নামফলক অন্য জায়গায় কিভাবে লাগানো যায়। চেয়ারম্যান অর্থ লোপাট করার জন্য রাস্তা অদলবদল করেছেন। মহাজনপাড়া রাস্তা পাকাকরণেরও দাবি জানান গ্রামবাসীরা।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মহাজন পাড়ার রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজন নেই। খুব ভালো রাস্তা। মাষ্টারপাড়ার রাস্তাটি বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। সেজন্য অন্য ওয়ার্ডের বরাদ্দের অর্থ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। কোন ধরণের অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। তবে রাস্তাটির নামফলকে পরিবর্তন না করাটা ভুল হয়েছে বলে জানান তিনি।

চকরিয়া অফিস : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গ্রামীণ একটি কাঁচারাস্তা পাকাকরণ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বরাদ্দের টাকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ঠিকাদারের যোগসাজসে ৪নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তার কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মেম্বার ও ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের কক্সবাজার জেলা পরিষদ থেকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ পান। অন্যান্য রাস্তা মেরামত বা সংস্কারের পাশাপাশি ৩নং ওয়ার্ডের মহাজনপাড়ায় ৩শ’ ৩০ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ পান হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ উদ্দিন মিরাজ। ওই রাস্তা মেরামতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস হিস্মা এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মের্সাস হিস্মা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার ফরিদুল ইসলামের যোগসাজসে ৩নং ওয়ার্ডের বরাদ্দকৃত অর্থ ৪নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তার পাকাকরণ দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের পায়ঁতারা করছেন। ৩’শ ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থ মহাজন পাড়ার রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ না করে অন্য ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়া রাস্তার প্রায় ২’শ ফুট কাজ শেষ করেন। রাস্তার পূর্বের ইট রেখে শুধু ভাঙ্গা ইটগুলো সরিয়ে নতুন ইট বসিয়ে বালি দেওয়া হয়।

হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ওয়ালিদ বিন ফরহাদ জানান, তার ওয়ার্ডের মহাজন পাড়া রাস্তার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে একটি আবেদন করি। এর প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারবাং ইউনিয়নের কয়েক সড়ক ও রাস্তা নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে ৩’শ ৩০ ফুট দৈর্ঘ ও ৮ফুট প্রস্থ মহাজনপাড়া রাস্তার ফ্লাট সলিংয়ের জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। বরাদ্দের পরপরই মহাজনপাড়া রাস্তায় নামফলক বসানো হয়। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের মহাজনপাড়া রাস্তার কাজ ৪নং ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। সেখানে মাষ্টারপাড়া ফ্লাট সলিংয়ের কাজ তড়িগড়ি করে কিছু ইট ও বালি দিয়ে শেষ করেন।

তিনি আরও বলেন, মাষ্টারপাড়া সড়কটি ভালো ছিলো। কোন সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার অর্থ আত্মসাত করতে এই কাজ করেছে। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থের সব টুকুই প্রাক্কলিত ব্যয় দেখান তারা। ৩নং ওয়ার্ডের মহাজনপাড়া রাস্তার নাম লেখা নামফলকটি ৪নং ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়ায় বসানো হয়। যেখানে লেখা আছে মহাজনপাড়া রাস্তার ফ্লাট সলিংকরণ। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩’শ ৩০ ফুট থাকলেও কাজ করেছেন ২’শ ৮০ ফুট। প্রস্থে ৮ ফুট করার কথা থাকলেও তারা ২ ফুট বাড়িয়ে ১০ ফুট করা হয়েছে বলে প্রচার করছেন।

মের্সাস হিস্মা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার ফরিদুল ইসলাম বলেন, কোন ধরণের অনিয়ম হয়নি। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক জায়গার কাজ অন্য জায়গায় নেওয়া হয়েছে। রাস্তার দৈর্ঘ্য কমিয়ে প্রস্থে বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মহাজন পাড়ার রাস্তার কাজ ৪নং ওয়ার্ডে কিভাবে নিয়ে যায়। এক এলাকার নামফলক অন্য জায়গায় কিভাবে লাগানো যায়। চেয়ারম্যান অর্থ লোপাট করার জন্য রাস্তা অদলবদল করেছেন। মহাজনপাড়া রাস্তা পাকাকরণেরও দাবি জানান গ্রামবাসীরা।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, হারবাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মহাজন পাড়ার রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজন নেই। খুব ভালো রাস্তা। মাষ্টারপাড়ার রাস্তাটি বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। সেজন্য অন্য ওয়ার্ডের বরাদ্দের অর্থ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। কোন ধরণের অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। তবে রাস্তাটির নামফলকে পরিবর্তন না করাটা ভুল হয়েছে বলে জানান তিনি।