চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চন্দনাইশে ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় জান্নাত বেগম (৫৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ডাক্তারকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। নিহত জান্নাত বেগম উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের বড় পাড়া ৯নং ওয়ার্ড মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী।

জানা গেছে, ২৯ মার্চ বিকালে জান্নাত সামান্য বাত ব্যাথা শুরু হলে ছেলে আকবর আলীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাশ্ববর্তী খাঁন বটতল রেল স্টেশন রোডস্থ তথাকথিত ভুয়া অভিজ্ঞ ডাক্তারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির মোঃ আবু ছালেহ (৫০)’র চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় তিনি রোগীকে একটি ডাইক্লোফেন ইনজেকশন পুশ করেন। পরে তৎক্ষনাৎ ১০ মিনিটের মধ্যে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। অবস্থা দেখে তিনি বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় রোগীকে পানি খাবায় জ্ঞান পিরাতে চেষ্টা করেন। এমন অবস্থা দেখে পথচারীরা জড় হতে থাকলে তাদেরকে তিনি জানান তেমন কিছু না ভালো হয়ে যাবে। পথচারীরা এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, একটু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী পাশে থাকা ডাক্তারকে ডেকে রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস পরীক্ষা করলে নিঃশ্বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে জানান। এমন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে জান্নাতকে উদ্ধার করে দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাফিজা নুর চৌধুরী রোগীকে মৃতু ঘোষনা করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আবু ছালেক একজন ভুয়া ডাক্তার। সে প্রায় ১০ বছর আগে বাধ্যতামূলক অবসর প্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক ছিলেন। অথচ তিনি প্রচার করেন অবসার প্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক। যার সরকারি রেজিস্ট্রেশন নং হিসেবে লিখেন ১৩৬১। মা ও শিশু সার্জিকেল অভিজ্ঞ। চর্ম, এলাজি ও বাত-ব্যথা, ডেলিভারী, টিউমার, ডায়াবেটিস রোগে অভিজ্ঞ। কিন্তু কিছুদিন আগে দক্ষিণ পাড়ার আছিয়া বর নাতী নাছিরের ছেলেকে ইনজেকশন পুশ করে শারীরিক ক্ষতি করেন। পরে জরিমানা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন।

জান্নাতের ছেলে আকবর আলী জানান, ডাক্তারে কাছে যে যাই তাকে স্যালাইন বা ইনজেকশন পুশ করে। তার মায়ের সামান্য ব্যথার জন্য তাকে ইনজেকশন মেরে হত্যা করেছে। এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে চন্দনাইশ থানার টিম এসে ডাক্তারকে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, তথাকথিত ডাক্তার আবু ছালেহ দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার সেজে ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এর আগেও তার চেম্বারে এসে অনেকেই ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিরও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ডাঃ আবু ছালেহ সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, রোগী বেশি ব্যথা অনুভব করতে বলায় তাকে ডাইক্লোপেন ইনজেকশ পুশ করেন তিনি। দূর্বলতা থেকে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলে তিনি স্টোক করে মারা যান।

চন্দনাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, অবহেলা জনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হওয়ায় ডাক্তারকে আসামী করে থানায় মামলা হয়। মৃত জান্নাত বেগমের বড় ছেলে আকবর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে এসআই নাহিদ আহমেদ সবুজকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। আটককৃত অভিযুক্ত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল এরফান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ঐ ডাক্তারের কাছে যে রোগী চিকিৎসা নিতে গেছে এবং যে চিকিৎসা দিয়েছে দায়টা তার বলে জানান তিনি। তাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে তারা এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া ইনজেকশন পুশ করতে আইনানুগ বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান। ভুয়া চিকিৎসকদেরকে তারা সরাসরি শাস্তি দিতে পারেন না বলেও জানান। এই ধরনের ডাক্তারদেরকে ধরিয়ে দিতে তাদের তথ্য দিলে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চন্দনাইশে ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় জান্নাত বেগম (৫৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ডাক্তারকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। নিহত জান্নাত বেগম উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের বড় পাড়া ৯নং ওয়ার্ড মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী।

জানা গেছে, ২৯ মার্চ বিকালে জান্নাত সামান্য বাত ব্যাথা শুরু হলে ছেলে আকবর আলীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাশ্ববর্তী খাঁন বটতল রেল স্টেশন রোডস্থ তথাকথিত ভুয়া অভিজ্ঞ ডাক্তারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির মোঃ আবু ছালেহ (৫০)’র চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় তিনি রোগীকে একটি ডাইক্লোফেন ইনজেকশন পুশ করেন। পরে তৎক্ষনাৎ ১০ মিনিটের মধ্যে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। অবস্থা দেখে তিনি বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় রোগীকে পানি খাবায় জ্ঞান পিরাতে চেষ্টা করেন। এমন অবস্থা দেখে পথচারীরা জড় হতে থাকলে তাদেরকে তিনি জানান তেমন কিছু না ভালো হয়ে যাবে। পথচারীরা এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, একটু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী পাশে থাকা ডাক্তারকে ডেকে রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস পরীক্ষা করলে নিঃশ্বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে জানান। এমন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে জান্নাতকে উদ্ধার করে দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাফিজা নুর চৌধুরী রোগীকে মৃতু ঘোষনা করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আবু ছালেক একজন ভুয়া ডাক্তার। সে প্রায় ১০ বছর আগে বাধ্যতামূলক অবসর প্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক ছিলেন। অথচ তিনি প্রচার করেন অবসার প্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক। যার সরকারি রেজিস্ট্রেশন নং হিসেবে লিখেন ১৩৬১। মা ও শিশু সার্জিকেল অভিজ্ঞ। চর্ম, এলাজি ও বাত-ব্যথা, ডেলিভারী, টিউমার, ডায়াবেটিস রোগে অভিজ্ঞ। কিন্তু কিছুদিন আগে দক্ষিণ পাড়ার আছিয়া বর নাতী নাছিরের ছেলেকে ইনজেকশন পুশ করে শারীরিক ক্ষতি করেন। পরে জরিমানা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন।

জান্নাতের ছেলে আকবর আলী জানান, ডাক্তারে কাছে যে যাই তাকে স্যালাইন বা ইনজেকশন পুশ করে। তার মায়ের সামান্য ব্যথার জন্য তাকে ইনজেকশন মেরে হত্যা করেছে। এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে চন্দনাইশ থানার টিম এসে ডাক্তারকে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, তথাকথিত ডাক্তার আবু ছালেহ দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার সেজে ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এর আগেও তার চেম্বারে এসে অনেকেই ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিরও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ডাঃ আবু ছালেহ সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, রোগী বেশি ব্যথা অনুভব করতে বলায় তাকে ডাইক্লোপেন ইনজেকশ পুশ করেন তিনি। দূর্বলতা থেকে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলে তিনি স্টোক করে মারা যান।

চন্দনাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, অবহেলা জনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হওয়ায় ডাক্তারকে আসামী করে থানায় মামলা হয়। মৃত জান্নাত বেগমের বড় ছেলে আকবর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে এসআই নাহিদ আহমেদ সবুজকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। আটককৃত অভিযুক্ত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল এরফান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ঐ ডাক্তারের কাছে যে রোগী চিকিৎসা নিতে গেছে এবং যে চিকিৎসা দিয়েছে দায়টা তার বলে জানান তিনি। তাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে তারা এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া ইনজেকশন পুশ করতে আইনানুগ বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান। ভুয়া চিকিৎসকদেরকে তারা সরাসরি শাস্তি দিতে পারেন না বলেও জানান। এই ধরনের ডাক্তারদেরকে ধরিয়ে দিতে তাদের তথ্য দিলে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।