তিনি বলেন, সুস্থ, সুন্দর ও মেধাবী জাতি গঠন আমাদের উদ্দেশ্য। সে লক্ষ্যে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে। সে ধারাবাহিতায় আম চাষিদের নিরাপদ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। যাতে তারা ভোক্তাকে নিরাপদ আম পৌঁছে দিতে পারে। তিনি নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আম চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্মশালায় লব্ধ জ্ঞান অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এক একজন কৃষক প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন। রিসোর্স পার্সনদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, আম চাষিরা যে ভাষায় সহজে বুঝতে পারেন সে ভাষায় বোধগম্য করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আর সেটা করতে পারলে প্রশিক্ষণের উদ্দ্যেশ্য লাভ করা সহজ হবে।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার এবং সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ্জাহান হোসেন।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলার নিরাপদ খাদ্য অফিসার চিন্ময় প্রামানিক।

কর্মশালায় নিরাপদ উপায়ে আম উৎপাদন,সংগ্রহ, পাকানো, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্য ভোগ ও ভোক্তা অধিকার) মো. রেজাউল করিম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মন্জুর মোর্শেদ আহমেদ, নওগাঁ জেলার কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. শামছুল ওয়াদুদসহ আম চাষি, আম ব্যবসায়ী, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন।