নগর প্রতিবেদক: এনজিও সংস্থা আশা’র সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত এক মত বিনিময় সভা আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে নগরের স্টেশন রোডস্হ একটি হোটেলে আশা চট্টগ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজার এম এম নফিজ মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক।

আশা চট্টগ্রাম বিভাগের এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএম, আরএম,এসই ও বিএম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্ধ।

মতবিনিময় সভায় আশা’র কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আশা চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী।

সভায় বক্তারা বলেন, আশা বিশ্বের শীর্ঘ আত্মনির্ভর ও স্ব-অর্থায়িত ক্ষুদ্রঋণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আশার প্রাতিষ্ঠানিক কর্ম-প্রয়াস চার দশকের বেশী সময় ধরে চলছে। আশার কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য ও অভিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি। সমাজের দরিদ্র ও বৈষম্যের শিকার মানুষদের বিশেষত নারীদের সংগঠিত করে সচেতন করা এবং অর্থনৈতিক সেবার মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আশা নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা’র ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সহায়তায় দেশের লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়েছে।

বক্তারা বলেন, আশা’র বিশেষত্ব হল- আত্মনির্ভর ও স্ব-অর্থায়িত, নিজস্ব সম্পদ নির্ভর ও অনুদান মুক্ত, সর্বক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির কঠোর অনুসরণ, উদ্বৃত্ত আয়া থেকে সিএসআর (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি) কার্যক্রম পরিচালনা, এশিয়া ও আফ্রিকার ১৩টি দেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে সারনীয় করে রাখতে আশা বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি প্রবর্তন করেছে।

আশা জানায়, আশার আর্থিক সেবার মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ, এমএসএমই ঋণ, কৃষি ঋণ, সঞ্চয় ও রেমিটেন্স কার্যক্রম রয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশে ৭৩ লাখ পরিবার আশাভ সুফল ভোগ করছে। সিএসআর কার্যক্রম (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি)’র মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি, ফিজিওথেরাপি সেবা, শীতবস্ত্র বিতরণ, স্যানিটেশন কার্যক্রম রয়েছে। আশা-বিশ্ববিদ্যালয় ও আশা-ম্যাটস এ গরীব মেধাবী ছাত্রা ছাত্রীদের বিশেষ বৃত্তির মাধ্যমে লেখা-পড়ার সুযোগ রয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে, করোনাকালীন ত্রাণ সহায়তা, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের বৃত্তি দেয় হয়েছে। আশার ঋণগ্রহীতা মারা গেলে ঋণ মওকুফ এবং দাফন-কাফনের জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান, সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা বয়সজনিত কারণে অফেরত যোগ্য ১৫ হাজার টাকা এককালীন অবসর ভাতা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৭টি ব্রাঞ্চের মাধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩৫২৯৯৭ জনকে ২৩৯১ কোটি টাকা ঋন বিতরণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৬৪৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরলে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। আশা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮৬টি কেন্দ্রে ১৮ ৩৪৪জন শিক্ষার্থী নিয়ে আশা-প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম চালু রয়েল । ৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৬১০১জন রোগী সেবা গ্রহন করেন। ২টি ফিজিওথেরাপী সেন্টারের মাধ্যেমে ৮৯৬৫জন অপারেশন বিহীন হাঁটু-কোমর-যার হাতে ব্যাথা, প্যারালাইসিস, অঘ্রাইটিস, ডিস্ক প্রলেপসহ সকল প্রকার জয়েন্টের সমস্যার চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সদস্যর বীমাদাবি পরিশোধ কল হয়েছে ১৭৭৫ জন ৮.৫৫ কোটি টাকা, সদস্যকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে ১৭৬জন ৭৪৪লক্ষ টাকা। সদস্যর মৃত্যুজনিত দাফন-কাফ ৫০০০ টাকা করে ৭১০ জনকে ৩৫.৫০ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান, ৬৫জনকে ৯.৭৫ লক্ষ টাকা এককালীন অবসর ভাঙা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নিকট শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে ২০৭০টি। প্রতিমাসে ৭জন গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীকে ১২হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়া সরকারী সকল দিবসে আশা’র প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করে থাকেন।

নগর প্রতিবেদক: এনজিও সংস্থা আশা’র সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত এক মত বিনিময় সভা আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে নগরের স্টেশন রোডস্হ একটি হোটেলে আশা চট্টগ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজার এম এম নফিজ মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক।

আশা চট্টগ্রাম বিভাগের এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএম, আরএম,এসই ও বিএম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্ধ।

মতবিনিময় সভায় আশা’র কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আশা চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী।

সভায় বক্তারা বলেন, আশা বিশ্বের শীর্ঘ আত্মনির্ভর ও স্ব-অর্থায়িত ক্ষুদ্রঋণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আশার প্রাতিষ্ঠানিক কর্ম-প্রয়াস চার দশকের বেশী সময় ধরে চলছে। আশার কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য ও অভিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি। সমাজের দরিদ্র ও বৈষম্যের শিকার মানুষদের বিশেষত নারীদের সংগঠিত করে সচেতন করা এবং অর্থনৈতিক সেবার মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আশা নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা’র ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সহায়তায় দেশের লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়েছে।

বক্তারা বলেন, আশা’র বিশেষত্ব হল- আত্মনির্ভর ও স্ব-অর্থায়িত, নিজস্ব সম্পদ নির্ভর ও অনুদান মুক্ত, সর্বক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির কঠোর অনুসরণ, উদ্বৃত্ত আয়া থেকে সিএসআর (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি) কার্যক্রম পরিচালনা, এশিয়া ও আফ্রিকার ১৩টি দেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে সারনীয় করে রাখতে আশা বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি প্রবর্তন করেছে।

আশা জানায়, আশার আর্থিক সেবার মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ, এমএসএমই ঋণ, কৃষি ঋণ, সঞ্চয় ও রেমিটেন্স কার্যক্রম রয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশে ৭৩ লাখ পরিবার আশাভ সুফল ভোগ করছে। সিএসআর কার্যক্রম (কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি)’র মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি, ফিজিওথেরাপি সেবা, শীতবস্ত্র বিতরণ, স্যানিটেশন কার্যক্রম রয়েছে। আশা-বিশ্ববিদ্যালয় ও আশা-ম্যাটস এ গরীব মেধাবী ছাত্রা ছাত্রীদের বিশেষ বৃত্তির মাধ্যমে লেখা-পড়ার সুযোগ রয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে, করোনাকালীন ত্রাণ সহায়তা, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের বৃত্তি দেয় হয়েছে। আশার ঋণগ্রহীতা মারা গেলে ঋণ মওকুফ এবং দাফন-কাফনের জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান, সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা বয়সজনিত কারণে অফেরত যোগ্য ১৫ হাজার টাকা এককালীন অবসর ভাতা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৭টি ব্রাঞ্চের মাধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩৫২৯৯৭ জনকে ২৩৯১ কোটি টাকা ঋন বিতরণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৬৪৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরলে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। আশা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮৬টি কেন্দ্রে ১৮ ৩৪৪জন শিক্ষার্থী নিয়ে আশা-প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম চালু রয়েল । ৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৬১০১জন রোগী সেবা গ্রহন করেন। ২টি ফিজিওথেরাপী সেন্টারের মাধ্যেমে ৮৯৬৫জন অপারেশন বিহীন হাঁটু-কোমর-যার হাতে ব্যাথা, প্যারালাইসিস, অঘ্রাইটিস, ডিস্ক প্রলেপসহ সকল প্রকার জয়েন্টের সমস্যার চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সদস্যর বীমাদাবি পরিশোধ কল হয়েছে ১৭৭৫ জন ৮.৫৫ কোটি টাকা, সদস্যকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে ১৭৬জন ৭৪৪লক্ষ টাকা। সদস্যর মৃত্যুজনিত দাফন-কাফ ৫০০০ টাকা করে ৭১০ জনকে ৩৫.৫০ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান, ৬৫জনকে ৯.৭৫ লক্ষ টাকা এককালীন অবসর ভাঙা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নিকট শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে ২০৭০টি। প্রতিমাসে ৭জন গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীকে ১২হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়া সরকারী সকল দিবসে আশা’র প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করে থাকেন।