নগর প্রতিবেদক: দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম সর্বজনীন করতে হবে, কর্মমূখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, কৃষিক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে, ইভটিজিং মাদক আড্ডাবাজি মোবাইল আসক্তি থেকে বের করে তরুন প্রজন্মকে বইমূখী করতে হবে, সর্বোপরি তরুনদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করে নীতি- নৈতিকতার চর্চা ঝোরদার করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার(০৮ মে) নগরীর পিআইডির সম্মেলন কক্ষে জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রাম আয়োজিত ‘জনগণের কথা’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সমাজের নানা শ্রেণি- পেশার মানুষ এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রামের পরিচালক মীর হোসেন আহসানুল কবীর এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের উপপরিচালক মুনতাসির জাহান।
আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. সাঈদ হাসান, সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, তথ্য অফিসার জি.এম সাইফুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন, দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম।
বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট পট পরবর্তনের পর সমাজের সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা এখন জনগণের কথা শুনছেন, তাদের চাহিদা মোতাবেক সেবা দিচ্ছেন। অনেকে নতুন অভ্যূত্থানকে ধারণ করছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে শরীক হচ্ছেন। এসব কিছু সমাজের জন্য ভালো দিক। এ পজিটিভ অবস্থানকে অব্যাহত রাখতে হবে। তারা বলেন, জনগণের কথা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের এতোদিনকার অব্যক্ত কথাগুলো গণযোগাযোগ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরলে সমাজ থেকে নানা অসঙ্গতি দ্রুতই দুর হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক বলেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশ আমরা আমাদের সদর দপ্তরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দিবো।
মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন ছাত্র প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইমাম, জনশক্তি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা প্রমূখ।