সাতকানিয়া প্রতিনিধি : সাতকানিয়ায় দেলোয়ার হোসেন নামে এক ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’র বাড়িতে সেনাবাহিনী টিমের অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী। তবে, সেনাবাহিনী বলছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ মে) গভীর রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করেন সেনাবাহিনী। আজ বুধবার (০৭ মে) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মো. আবু তাহের ও সেক্রেটারি যায়েদ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে দেলোয়ারকে শুভাকাঙ্ক্ষী উল্লেখ করলেও ইউনিয়ন জামায়াত আমীর তাঁর বক্তব্যে দেলোয়ার ওয়ার্ড জামায়াতের সহ সভাপতি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মো. আবু তাহের ও সেক্রেটারি যায়েদ হোসাইন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাঞ্চনা ইউনিয়ন শাখার অন্যতম ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযানের উদ্দেশ্যে যায় বলে জানা গেছে। আমরা ধারণা করছি, আমাদের অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী দেলোয়ার হোসেনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সংগঠনের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে এ ষড়যন্ত্র করা হতে পারে। ষড়যন্ত্র করে সংগঠনের নিবেদিত জনশক্তি দেলোয়ার হোসেনের সাথে আমাদের কখনো দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না। কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে অতিদ্রুত ঘটনার আসল হোতাদের চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মো. আবু তাহের বলেন, দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে তার বাড়িতে পাঠিয়েছে। আমি দেলোয়ারকে নিয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সেনা ক্যাম্পে যাব। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাতকানিয়া সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কাঞ্চনা ইউনিয়নে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেখানে তার সংশ্লিষ্টতা আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবেও তার নাম আমরা পেয়েছি। এসব সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব পালন করছি সন্ত্রাস দমনে। আমাদের কাছে দল-মতের কোনো প্রাধান্য নেই। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেখানেই সংঘটিত হবে অথবা সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে আমরা সেখানেই অভিযান পরিচালনা করব। আমরা যে কোনো মূল্যে এ দেশকে নিরাপদ ও শান্তিতে রাখতে বদ্ধপরিকর।
