নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্যসহ ৩৪ জন কে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।আজ বুধবার(০৭ মে) দুপুর ৩টায় কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের একটি বিশেষ বিমানযোগে তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিজিবির কক্সবাজার জোনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, রাখাইনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ৩৪ জন সেনা, বিজিপি ও মায়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নেয়।মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও বিজিপিসহ ৩৪ নাগরিক ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মর্তুজা হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে একটি বিশেষ বিমান দুপুর দেড়টা নাগাদ কক্সবাজার বিমান বন্দরে অবতরণ করে। যেহেতু বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয় না, তাই কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বিমানটি বিকাল ৩টার কক্সবাজার ত্যাগ করেন বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহেদুল আলম বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ৩৪ জনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩৪ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করা হয়।
এর আগে ২০২৪ সালের ৯ জুন কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনাসদস্যকে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হয়। গত বছরের ২৫ এপ্রিল সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হয় আরও ২৮৮ জনকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো হয় ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে। তিন দফায় ফেরত পাঠানো ৭৫২ জনের সবাই রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে নিয়োজিত ছিলেন। একইভাবে মিয়ানমারে আটক থাকা ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও তাদের দণ্ড শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৮০ ভাগের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির।