আওয়ামি লীগের ভাগ্যটা বড় অদ্ভুত! ‘৭১ মুক্তিযুদ্বের পর খন্দকার মোস্তাক গং সুবিধা ভুগিরা বঙ্গুবন্ধুকে ঘিরে ধরলো। অপরদিকে জীবন বাজি রাখা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দিনসহ মুক্তিযোদ্ধ‘রা বঙ্গবন্ধুর কাছে অবাঞ্চিত হয়ে গেল। ঘটে গেল ১৫ অগাষ্ট।
দূর্দিনে যারা জীবন বাজি রেখে সংগঠনকে দাঁড়া করালো,বিদেশ থেকে বঙ্গুবন্ধু কন্যা এসে দলের হাল ধরলেন। তিনি ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আজ্ঞাবহ চামচাদের দলের নেতৃত্বে বসিয়ে দিলেন। ক্ষমতায় গিয়ে ওদের মন্ত্রী-এমপি বানালেন। অবশেষে ওদের অধিকাংশই ১৫ বছর লুটপাট করলো এবং হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল। সাইফুজ্জামান জাবেদ গংসহ অনেকে বিদেশে পাচার করলো হাজার হাজার কোটি টাকা। তারই ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্টে পুন লাল স্বাধীণতার জন্ম হলো।
তারা এখনও মনে করছেন অচিরেই ফিরে এসে আবার লুটপাটের হাল ধরবেন। দেশে থাকা লক্ষ লক্ষ ত্যাগী কর্মী সমর্থকও মনে করে আমরা দলের জন্য জীবন দিয়ে কী হবে সুদিন আসলেতো ওরাই আবার দল বিক্রি করে খাবে। জুলাই-আগস্টে কোন নির্বাচনী এলাকা থেকে সাধারণ নেতা-কর্মীরা রাস্তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি। অথচ চট্টগ্রাম শহর ছিল আওয়ামী লীগের দুর্গ।
নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা দল বিক্রি করে তাদের সামনে যখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেল তাই ত্যাগীরা এক বুক হতাশা নিয়ে ঘরেই বসে ছিল। জননেত্রী যতক্ষণ পর্যন্ত দল থেকে চোর-বাটপারদের বাদ দিয়ে ভালো লোকদের সামনে আসার সুযোগ না দিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই দলকে মাঠে নামানো যাবেনা। আবার আওয়ামী লীগকে কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন এই অলীক কল্পনা থেকেও সবাইকে সরে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রামের দল, তাই আন্দোলন করেই দলকে কাংখিত লক্ষে পৌঁছুতে হবে। এ জন্য অতি দ্রুত দল পূর্ণগঠনের কাজে হাত দিতে হবে। চোর-ডাকাতরা যখন সামনে থেকে সরে যাবে তখনই সারা দেশে কর্মী-সমর্থকদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। যদি দল ও নেতৃত্ব আগের পথে হাটে তবে স্বপ্ন ভঙ্গ হবে এবং এ কাজে যত বিলম্ব হবে দল পঙ্গুত্ব বরণ করবে।