সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : সাতকানিয়ার আলোচিত সুবীর চক্রবর্তী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ শনিবার (০৩ মে) র‍্যাব-৭ এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৪ এর একটি অভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন। আজ শনিবার বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‍্যাব-১৪ সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখীল গ্রামের বাসিন্দা মৃত অরুন দাসের পুত্র দীপক দাস (৫২), দীপক দাসের দুই ছেলে দীপ্ত দাস (২৪) ও সুমিত দাস (১৯)।

র‍্যাব-১৪ জানায়, দর্জি সুবীর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরর পর মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৭। এর মধ্যে র‌্যাব-৭ এর টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। পরে বিষয়টি র‍্যাব-১৪ কে জানানো হলে র‍্যাব-১৪ এর একটি অভিযানিক দল ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত নামের তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হন। পরে তাদেরকে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, সাতকানিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ইতোমধ্যে আসামিদের নিয়ে আসার জন্য ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা মডেল থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আসামিদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের নিকট সোপর্দ করা হবে।

উল্লেখ্য , নিহত দর্জি সুবীর পরিবারের সাথে আসামিদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় দুই বছর আগে তাদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সুবীরের পরিবারের বেশ কয়েকজনসহ সদস্য আহত হন। পরে তারা একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ (২১ মার্চ) সকালে অভিযুক্ত রূপক দাসের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত সুবীর চক্রবর্তীর স্ত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী ও মামলার বাদী প্রবীর চক্রবর্তীর স্ত্রী সোমা ভট্টাচার্যকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তারা সেগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও ধার করে রাখেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পুনরায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। একইদিন রাতে স্থানীয় সমাজপতি সুশীল দাস নিহত সুবীর চক্রবর্তী ও তার বড়ভাই মামলার বাদী প্রবীর চক্রবর্তীকে পূজার বিষয়ে আলাপচারিতার জন্য মোবাইলে কল দিয়ে ডাকেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে যাওয়ার পথে আসামিরা সুবীর চক্রবর্তীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা সুবীর চক্রবর্তীকে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে রক্ষা করতে তারই বড়ভাই ও মামলার বাদী প্রবীর চক্রবর্তী এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

এ ঘটনায় প্রবীর চক্রবর্তী বাদী হয়ে (২২ মার্চ) সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নয় জনের নাম উল্লেখপূর্বক দুই থেকে তিন জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই আসামিদের মধ্যে দীপক দাসের স্ত্রী ঝুমুর দাস, রূপক দাসের স্ত্রী স্বপ্না দাস ও মেয়ে অন্তরা দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : সাতকানিয়ার আলোচিত সুবীর চক্রবর্তী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ শনিবার (০৩ মে) র‍্যাব-৭ এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৪ এর একটি অভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন। আজ শনিবার বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‍্যাব-১৪ সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখীল গ্রামের বাসিন্দা মৃত অরুন দাসের পুত্র দীপক দাস (৫২), দীপক দাসের দুই ছেলে দীপ্ত দাস (২৪) ও সুমিত দাস (১৯)।

র‍্যাব-১৪ জানায়, দর্জি সুবীর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরর পর মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৭। এর মধ্যে র‌্যাব-৭ এর টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। পরে বিষয়টি র‍্যাব-১৪ কে জানানো হলে র‍্যাব-১৪ এর একটি অভিযানিক দল ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত নামের তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হন। পরে তাদেরকে ভালুকা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, সাতকানিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ইতোমধ্যে আসামিদের নিয়ে আসার জন্য ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা মডেল থানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আসামিদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের নিকট সোপর্দ করা হবে।

উল্লেখ্য , নিহত দর্জি সুবীর পরিবারের সাথে আসামিদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় দুই বছর আগে তাদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সুবীরের পরিবারের বেশ কয়েকজনসহ সদস্য আহত হন। পরে তারা একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ (২১ মার্চ) সকালে অভিযুক্ত রূপক দাসের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত সুবীর চক্রবর্তীর স্ত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী ও মামলার বাদী প্রবীর চক্রবর্তীর স্ত্রী সোমা ভট্টাচার্যকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তারা সেগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও ধার করে রাখেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পুনরায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। একইদিন রাতে স্থানীয় সমাজপতি সুশীল দাস নিহত সুবীর চক্রবর্তী ও তার বড়ভাই মামলার বাদী প্রবীর চক্রবর্তীকে পূজার বিষয়ে আলাপচারিতার জন্য মোবাইলে কল দিয়ে ডাকেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে যাওয়ার পথে আসামিরা সুবীর চক্রবর্তীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা সুবীর চক্রবর্তীকে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে রক্ষা করতে তারই বড়ভাই ও মামলার বাদী প্রবীর চক্রবর্তী এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

এ ঘটনায় প্রবীর চক্রবর্তী বাদী হয়ে (২২ মার্চ) সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নয় জনের নাম উল্লেখপূর্বক দুই থেকে তিন জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই আসামিদের মধ্যে দীপক দাসের স্ত্রী ঝুমুর দাস, রূপক দাসের স্ত্রী স্বপ্না দাস ও মেয়ে অন্তরা দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।