চকরিয়া অফিস : পেকুয়ায় এক প্রতিবন্ধী শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। নিপীড়নের শিকার ওই শিশুকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়েছে। পরে ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাঁর পিতা-মাতার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার(২৬ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হিরাবুনিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ মানিক (৩৫)। তিনি হিরাবুনিয়া এলাকার জালাল হোসাইন ওরফে জল্লার পুত্র।
জানা গেছে, ওইদিন রাতে হিরাবুনিয়া এলাকার ভিকটিম বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ফুসলিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে যৌন নিপীড়ন করে অভিযুক্ত মানিক। নিপীড়নের সময় শিশুর মুখে কসট্যাপ লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ওই শিশু বাড়িতে এসে তাঁর মাকে হাতে ইশারা-ইঙ্গিত দিয়ে তাঁকে নিপীড়নের কথা জানায়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি মানিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি রাতেই জানাজানি হয়। তবে একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইউপি সদস্য ইলিয়াস মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,বিষয়টি সামাজিকভাবে স্থানীয় ব্যক্তিগন সমাধান করার চেষ্টা করছে। আমি বলছি আইনি আশ্রয় নিতে। যেহেতু এ ধরণের ঘটনা সমাধান যোগ্য নয়। তবে বিকেলের দিকে ভিকটিমের পিতা থানায় মামলা করবে বলে জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাঁর পিতা মাতার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, এবিষয়ে কেউ অবগত করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।