নগর প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, না কথিত সৎ প্রকৌশলী এ জি এম সেলিম ? চেয়ারম্যান এ কথিত সৎ ডবল চেয়ারম্যানের ভয়ে তটস্থ ! তাকে ইমারত নির্মাণ কমিঠির দু’টি দায়িত্ব(অর্থাৎ ডবল চেয়ারম্যান) দেওয়ার পর থেকে ২০০৮ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তার নিজের মনগড়া আইন তৈরী করে ওই আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি অফিসে বসে তার বলয়ের কথেক কর্মকর্তা ও কিছু কর্মচারী এবং বহিরাগত কথেক পিটিশনবাজ দালাল দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে “ল্যাংগা” করে রেখেছে। ইতোমধ্যে তার “তালতো ভাই” আ ন ম নাজিমকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে বদলী করার পর তার ঘনিষ্ট অতিরিক্ত সচিব তরফদারকে দিয়ে সিডিএকে ধ্বংশ করার কলকাঠি নাড়ছে বলে সুত্রে প্রকাশ।
সম্প্রতি ঠিকাদার তরফদার সিডিএর অথরাইজড অফিসার-১ মোহাম্মদ হাসানকে সরানোর দায়িত্ব নিয়ে তিনি কামিয়াব হয়েছেন। তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলামকে “হাসানের” বিরুদ্ধে ভুলভাল তথ্যের পশরা দিয়ে উদ্ভট এক আদেশ জারি করান। এর কিছুদিন পর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সচিবকে প্রেসার দিয়ে দুইজন প্রকৌশলীর নাম প্রস্তাবনা হাতিয়ে নিয়ে সহকারী অথরাইজড অফিসার কাজী কাদের নেওয়াজকে বুধবার (১৬ এপ্রিল) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ-১ এর প্রশাসন শাখা-৬ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কথিত সৎ প্রকৌশলী এ জি এম সেলিম অথরাইজড-১ নিয়োজিত সেকসন অফিসার,ডিএসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গতানুগতিক নথি সঞ্চালন না করার জন্য হুমকি সহ তাদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাছ করতে দেখা গেছে। এ গর্হিত আচরণ করলেও তার বিরুদ্ধে সিডিএ প্রশাসন এ পর্যন্ত কোন বিধিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কেন এই প্রকৌশলী কি আইনের উর্দ্ধে? বহুবিধ অন্যায় করা সত্বেও তার ভয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা তটস্থ !
মূলত এ পদ নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলায় মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে তাকে এ পদ থেকে না সরানোর জন্য নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কি করে প্রশাসন অনুবিভাগ-১ এর প্রশাসন শাখা-৬ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন তা বোধগম্য নহে। এ দিকে ওই কথিত সৎ প্রকৌশলী সিডিএ প্রশাসনকে হুন্কার দিচ্ছে সহকারী অথরাইজড অফিসার কাজী কাদের নেওয়াজকে অথরাইজড অফিসার-১ এ পদায়নের চিঠি জারীর জন্য।
সুত্রে জানা গেছে, জামায়াতের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সিডিএ ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে জিম্মি করে তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
সুত্রে আরো জানা গেছে, কাজী কাদের নেওয়াজ,সিস্টেম এনালিস্ট মোস্তফা ও অথরাইজড অফিসার-২ মো.তানজিব মিলে নগরীর সুগন্ধায় বিশাল কনসাল্টটিং ফার্ম দিয়ে সিডিএ থেকে অবৈধ পন্থায় ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন করে অবৈধ ভাবে তারা বর্তমানে কোটি কোটি কালো টাকার মালিক। দুদক এ তিনজনের নামে বেনামে থাকা কালো টাকার সন্ধান করলে তাদের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।