চকরিয়া প্রতিনিধি : এবার অপহরণের ১৪দিন পর উদ্ধার হওয়া জিয়া উদ্দিন কাজলের বোনের কাছ থেকে দু’লাখ টাকা ঘুষ দাবীর অভিযোগ উঠেছে চকরিয়া থানার কনেষ্টেবল সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘুষ না দিলে মামলা হবে না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন ওই কনেষ্টবল। তিনি নিজেকে চকরিয়া থানার ওসির বডি গার্ড ও ক্যাসিয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজিও করছেন।

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেধাকচ্চপিয়ার মৃত নুর হোছনের কন্যা হামিদা বেগম (৪০) জানান, গত ৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তার ভাই জিয়া উদ্দিন কাজল খুটাখালী বাজারে ব্যক্তিগত কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করে না পেয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করতে আসি। ওই সময় চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বডিগার্ড কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম দু’লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। দু’লাখ টাকা দিলে অপহরণ মামলা রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়ে দেন।

তিনি আরও বলেন, কাজলকে অপহরণকারীর কবল থেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম টাকার অজুহাত দেখিয়ে বিলম্বিত করে উদ্ধার অভিযান। হতাশা নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। ৯ এপ্রিল অপহরণ মামলা নিলেও কাজলকে উদ্ধারে চোখে পড়ার মতো কোন অভিযানে নামেননি পুলিশ। কাজলকে উদ্ধারের বিষয় নিয়ে চকরিয়া থানায় গেলে কনেষ্টবল সাইদুল নিজেকে ওসির বডিগার্ড পরিচয় মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবী করতেন। টাকা না দিলে তাকে উদ্ধারে পুলিশ সহায়তা করবে না জানিয়ে দেন। এভাবে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ব্যবসায়ি কাজলের উদ্ধার অভিযান বিলম্বিত করেন।

গত ২০ এপ্রিল খবর আসে চকরিয়ার বরইতলী আমতলী এলাকায় সড়কের পাশে কাজলকে হাত পা বাধা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় এলাকাবাসী। সেখান থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তা তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম বলেন, যার কাছ থেকে ঘুষ দাবীর কথা বলা হয়েছে, তাকে আমি চিনি না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শোনার পর ওই কনেষ্টবলকে ডেকে জানতে চেয়েছি, ওই নারী তার নামে মিথ্যা ও অপপ্রচার করছেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম চকরিয়া থানায় যোগদান করেন। যোগদান করার পর নিজেকে চকরিয়া থানার ওসির বডিগার্ড পরিচয় দেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ক্যাসিয়ার পরিচয় দিয়ে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে।

চকরিয়া প্রতিনিধি : এবার অপহরণের ১৪দিন পর উদ্ধার হওয়া জিয়া উদ্দিন কাজলের বোনের কাছ থেকে দু’লাখ টাকা ঘুষ দাবীর অভিযোগ উঠেছে চকরিয়া থানার কনেষ্টেবল সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘুষ না দিলে মামলা হবে না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন ওই কনেষ্টবল। তিনি নিজেকে চকরিয়া থানার ওসির বডি গার্ড ও ক্যাসিয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজিও করছেন।

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেধাকচ্চপিয়ার মৃত নুর হোছনের কন্যা হামিদা বেগম (৪০) জানান, গত ৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তার ভাই জিয়া উদ্দিন কাজল খুটাখালী বাজারে ব্যক্তিগত কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করে না পেয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করতে আসি। ওই সময় চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বডিগার্ড কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম দু’লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। দু’লাখ টাকা দিলে অপহরণ মামলা রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়ে দেন।

তিনি আরও বলেন, কাজলকে অপহরণকারীর কবল থেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম টাকার অজুহাত দেখিয়ে বিলম্বিত করে উদ্ধার অভিযান। হতাশা নিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। ৯ এপ্রিল অপহরণ মামলা নিলেও কাজলকে উদ্ধারে চোখে পড়ার মতো কোন অভিযানে নামেননি পুলিশ। কাজলকে উদ্ধারের বিষয় নিয়ে চকরিয়া থানায় গেলে কনেষ্টবল সাইদুল নিজেকে ওসির বডিগার্ড পরিচয় মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবী করতেন। টাকা না দিলে তাকে উদ্ধারে পুলিশ সহায়তা করবে না জানিয়ে দেন। এভাবে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ব্যবসায়ি কাজলের উদ্ধার অভিযান বিলম্বিত করেন।

গত ২০ এপ্রিল খবর আসে চকরিয়ার বরইতলী আমতলী এলাকায় সড়কের পাশে কাজলকে হাত পা বাধা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় এলাকাবাসী। সেখান থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তা তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম বলেন, যার কাছ থেকে ঘুষ দাবীর কথা বলা হয়েছে, তাকে আমি চিনি না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শোনার পর ওই কনেষ্টবলকে ডেকে জানতে চেয়েছি, ওই নারী তার নামে মিথ্যা ও অপপ্রচার করছেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর কনেষ্টবল সাইদুল ইসলাম চকরিয়া থানায় যোগদান করেন। যোগদান করার পর নিজেকে চকরিয়া থানার ওসির বডিগার্ড পরিচয় দেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ক্যাসিয়ার পরিচয় দিয়ে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে।