প্রেস বিজ্ঞপ্তি: না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রুয়াপ সনাতন মন্দিরের ভক্ত ও সদস্য সিনিয়র এডভোকেট জগদীশ চন্দ্র পাল। তিনি সকলের প্রিয় “জগদীশ’দা” নামে পরিচিত ছিলেন। তার এ হঠাৎ আকস্মিক মৃত্যুতে রুয়াপ সনাতন মন্দিরের সকল সদস্যবৃন্দ,প্রভাতী সংঘের সকল সদস্য ও তারশুভাকাঙ্খীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকায় রুয়াপ হতে তার শবদেহ হবিগঞ্জের বাড়ীতে নেওয়া হয়।হবিগঞ্জেই তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। হবিগঞ্জে নেওয়ার প্রাক্কালে সকাল ৬’৩০ ঘটিকায় “প্রভাতী সংঘ” এর সকল সদস্য রুয়াপ গোল চত্বরে শেষবারের মতো ফুল দিয়ে তাকে প্রথম শ্রদ্ধা জানান।
তিনি উত্তরা ১৮ “রুয়াপ” (রাজউক উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রজেক্ট) মাধবীলতা১৭/এ এবং ফ্ল্যাট নং- ৭০৪ এর বাসিন্দা ছিলেন।তাঁর দেশের বাড়ী সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা সদরে।দীর্ঘদিন ধরে হার্টের জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত ৪ এপ্রিল প্রাতভ্রমণে বের হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাথে সাথে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকার বারডেম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উল্লেখ্য,তার ছেলে ডা: অর্ঘ্য পাল বারডেম কার্ডিয়াক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ কার্ডিওলজিষ্ট।
তার ছেলে জানান, তিনি কার্ডিয়াক এটাকড হয়েছিলেন। হাসপাতালে তার ছেলে ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিবিড় পরিচর্যা, পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসায় আপ্রাণ চেষ্টার পরও তাকে আর বাঁচানো গেলো না। দীর্ঘ প্রায় ৬ দিনের প্রাণপণ চেষ্টার পর অবশেষে গতকাল ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় তিনি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র,এক কন্যা,
নাতি-নাত্নীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।বাবার গুরুতর অসুস্থতার সংবাদ শুনে তার কানাডা প্রবাসী মেয়ে,জামাতা,নাতি-নাত্নীরা গতকাল রাতেই রুয়াপে এসে পৌছান।মেয়ের আক্ষেপ এত দূর কানাডা থেকে এসেও বাবার সাথে তার আর শেষ কথা হলো না,শেষ দেখা হলো না।
হবিগঞ্জে নেওয়ার প্রাক্কালে সকাল ৬’৩০ ঘটিকায় “প্রভাতী সংঘ” এর সকল সদস্য রুয়াপ গোল চত্বরে শেষবারের মতো ফুল দিয়ে তাকে প্রথম শ্রদ্ধা জানান। সেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমবেত সকলে শেষবারের মতো তাকে এক নজর দেখেন ও তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। এরপর দ্বিতীয়বারে মতো শ্রদ্ধা জানানো হয় তার প্রাণপ্রিয় “রুয়াপ সনাতন মন্দিরে”। মন্দিরেও তার বুকে পবিত্র গীতা রেখে একে একে সবাই তাকে ফুল ও ফুলের মালা দিয়ে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান এবং সমবেত সকলে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।