ইজাজুল, উত্তরা প্রতিনিধিঃ উত্তরায় শক্তিশালী জনপ্রশাসন সেবায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওসি হাফিজুর। জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ধংস স্তুপে দাঁড়িয়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হতাশ জনক ও প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশে প্রশাসনকে মূলত এক বিরাট চ্যালেঞ্জ এর মুখে পড়তে হয় পুলিশ বাহিনীকে।
জানা গেছে, ছাত্র -জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পরবর্তীতে রাজধানীর উত্তরা মেগাসিটির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে এক চৌকস অফিসারের প্রয়োজনে হাফিজুর রহমানের পদার্পণ ঘটে।
উত্তরা পশ্চিম থানার একাধিক সেক্টর বাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, থানার ওসি যোগদান পরবর্তী জটিলতা সামাজিক রাজনৈতিক এবং জনপ্রশাসনের নীতিমালা বজায় রেখে চৌকস পুলিশ অফিসারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে রমজান ঘিরে বিভিন্ন ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ সংগঠনের উগ্রবাদ দমনে তিনি বিভিন্ন সময় পারফরম্যান্স ভালো করে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গ্রহণ যোগ্যতায় এসেছে বলে সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
রাষ্ট্র কাঠামোবিধরা মনে করে, একটি দেশ জাতী ও তার শৃঙ্খলা দেশের সর্বজনীন নাগরিককে তার দৈন্দিন জীবনেও প্রভাবিত করে। একটি শৃঙ্খল জাতী দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়। পক্ষান্তরে একটি শক্তিশালী জনপ্রশাসন জনগণের সুশাসনই আস্থার প্রতিক হতে পারে।
সাবেক সরকার দেশের গর্বিত পুলিশ বাহিনীকে তথা জনপ্রশাসনের সকল সূচককে নিজের স্বার্থ লোভী ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কব্জা করে দিনের পর দিন পুলিশ বাহিনীকে গণশত্রুতে পরিণত করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্র- জনতার আন্দোলনে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে সারাদেশের থানা গুলিতে নজিরবিহীন এক বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
সরকার পতনের পর জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন করা হয়। বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে ছাত্র- জনতার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে পুলিশকে ঘুরে দাঁড়াতে এক মহাকর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ দেশের সামনে দন্ডায়মান হয়। সেই প্রেক্ষাপটে রাজধানীর উত্তরায় জুলাই- আগস্টে পতিত সরকার পলায়ন পরবর্তী পুলিশিং সেবায় ওসি হাফিজুর রহমান প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন।
জানা গেছে, ডিএমপি’র গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল উত্তর পশ্চিম থানায় গণহত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ও নগর সুবিধা নিশ্চিত করণে নগরবাসীর শৃঙ্খলা জীবন ফিরিয়ে আনতে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে একাধিকবার পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি।
বৈষম্যবীরোধী আন্দোলনে উত্তরার নীলয় নামক জনৈক ছাত্র বলেন, ওসি হাফিজুর রহমান তরুন প্রজন্মের আইকন। সাবেক মন্ত্রী পলককে গ্রেফতার করতেও ভূমিকা রাখেন তিনি। তখন তিনি বিমানবন্দর থানায় ছিলেন। তার মেয়ে আইইউবিএটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সক্রিয় কো-অর্ডিনেটর।
ডিএমপি পুলিশ অফিসার হাফিজুর রহমান দি ক্রাইমকে বলেন, ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশে গণমানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশিং সেবায় ডিএমপি কমিশনার মহাকর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারদের দিকনির্দেশনা দিয়ে নিরলস কাজ করছে। আমার থানা ও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি উত্তরা পশ্চিম থানায় জুলাই -আগস্ট এর গণহত্যা মামলা সহ বিভিন্ন মামলাগুলি নিয়ে আমাদের পুলিশ অফিসার সহকর্মী ভাইরা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মামলার আসামি গ্রেফতার ও সেই সাথে কোন রকম হয়রানি মূলক প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম এড়িয়ে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, উত্তরার গণমাধ্যমকর্মীরা দেশের প্রেক্ষাপট এবং সমসাময়িক সকল কার্যক্রমের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন।