নগর প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে টাকার জন্য সাধারণ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন নুর মোহাম্মদ সাহেদ নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি দাবি করেছেন, বর্তমানে ব্যবসায়ী, সাধারণ চাকরিজীবী, শ্রমিক কেউই পুলিশের হয়রানি থেকে বাদ যাচ্ছে না। ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদ সাহেদ এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পরে তাকে অজ্ঞাত আসামির তালিকায় ঢুকিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি তিনি কারাভোগ করে জামিনে বের হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুর মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে আমাকে আটক করে হালিশহর থানা পুলিশ। পরে আমার ম্যানেজারকে ডেকে ১২ লাখ টাকা চেয়েছিল তারা। পুলিশ বলেছিল টাকা দিলে আমাকে কোনো মামলা দেওয়া হবে না। টাকা না দেওয়ায় আমাকে ২২ দিন কারাভোগ করতে হয়েছে। কেবল তাই নয়, ১ ফেব্রুয়ারি আমাকে ডবলমুরিং থানার একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। তারা শুধু আমার একটা অপরাধ খুঁজে পায়, সেটা হলো- আমার অফিসে শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার ছবি ছিল। এখন আমার কথা হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার ছবি রাখা তো সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। তাহলে এখানে সবাই তো অপরাধী।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বড় বড় রাঘববোয়ালরা এখন একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের না ধরে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে পুলিশ। আর নিরীহদের আটক করার পর অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলা দিয়ে দিচ্ছে। আবার বাদীর সঙ্গে রফাদফা হলে মামলা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে। এসব হয়রানি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট আবুল মনছুর সিকদার এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হালিশহর থানার ছাত্র প্রতিনিধি ও পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরাফাত রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।