আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান শুল্কনীতি ইউরোপের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সেরকমই আভাষ দিচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার প্রশাসন মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশঙ্কা করছে, তারা সম্ভবত এর পরবর্তী নিশানা হচ্ছে। অতিসম্প্রতি ওয়াশিংটন ইউরোপ থেকে স্টিল ও এলুমিনিয়াম রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপীয় কার ও কৃষিপণ্য শুল্ক তলিকার অন্তর্ভুক্ত হবে।

ইউরোপীয়রা ট্রাম্পকে এই মর্মে তুষ্ট করার চেষ্টা করছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি করে জালানি ও অস্ত্রশস্ত্র কিনবে, যদি তিনি তাদের কাছ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক রেয়াত দেন। তবে ইইউ নেতৃবৃন্দ ও নীতি নির্ধারণী মহল এই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছেন যে, ট্রাম্প যে বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করছেন-পুরোনো মিত্র বলেই তিনি তাদের জন্য কোনো বড় ধরনের রদবদল ঘটাবেন। ইউরোপের জন্য মার্কিন পণ্যের ওপর পালটা শুল্ক দেওয়ার বিকল্প খোলা আছে। তবে সেটা তাদের জন্য খুব সুবিধাজনক হবে না। কারণ মহাদেশটি সামরিক সরঞ্জামাদি থেকে শুরু করে ভোক্তাপণ্য পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। এছাড়া ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি দর কষাকষিতে লিপ্ত হওয়া বাস্তবোচিত কাজ হবে না। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও (২০১৭-২১) এমন ঘটনা ঘটেছিল। ইইউ তখন যুক্তরাষ্ট্রের হার্লি-ডেভিডসন মোটরসাইকেল ও কেন্টাকি বুরবনের (হুইস্কি) ওপর পালটা শুল্ক বসিয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে-সামরিক দিক থেকে তারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কতটা নির্ভরশীল।

রাশিয়ার ব্যাপারে পূর্বসূরি জো বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্পের নীতি প্রায় বিপরীতমুখী। বাইডেন পুতিনকে একঘরে করতে সব রকম চেষ্টা করেন। কিন্তু ট্রাম্প তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন। এমতাবস্থায় ইউরোপকে অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার একমাস পরের ঘটনা, তিনি তখনো দায়িত্ব বুঝে নেননি। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্য জোট মেরকসুরের সঙ্গে একটি বিতর্কিত বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদন করেন। বাণিজ্যের পরিসর বাড়াতে তিনি তার পুরো টিম নিয়ে ভারত ও মালয়েশিয়াও সফর। করেন। এই দেশগুলোতে সব মিলিয়ে ২০০ কোটির ওপর ক্রেতা আছে তাছাড়া একটি উদীয়মান মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশগুলোর বাণিজ্য সম্ভবনা তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, মেরকসুর চুক্তিটি বিতর্কিত এই কারণে যে, তাতে স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করা হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন শহরে প্রায় এক বছর ধরে কৃষক ও অধিকারকর্মীরা এ নিয়ে বিক্ষোভ করে। তা সত্ত্বেও লাতিন আমেরিকান দেশগুলো থেকে সস্তায় গোমাংস আমদানি করতে ইউরোপীয় কমিশন চুক্তিটি অনুমোদন করে। তন ডার লিয়েন জানুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সভায় বলেন, ‘যেহেতু বাণিজ্য নিয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, আমি লক্ষ্য করছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। সুইজারল্যান্ড, মেরকসুর ও মেক্সিকোর সঙ্গে আমরা নতুন করে অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছি। এর ফলে ইউরোপের ৪০ কোটি মানুষ এই চুক্তি থেকে উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়।’ সংখ্যা ইউরোপের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের কিছু বেশি।

ভন ডার লিয়েন ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফর করেন। সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ইইউ-ভারত চলতি বছরের মধ্যেই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছতে চায়। এ ব্যাপারে ভারতের একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন যে, উদ্যোগটি ২০০৭ সালে শুরু হলেও নানা কারণে তা নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়নি। চুক্তির আওতায় ভারত ইইউ থেকে গাড়ি আমদানি অন্যদিকে ইইউ ভারত থেকে কৃষিপণ্য নিবে। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ পরস্পরকে বড় ধরনের শুল্ক ছাড় দিবে। মালয়শিয়ার সঙ্গেও প্রায় একই ধরনের চুক্তি হতে পারে ইইউর। তবে তার আগে বন ও পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক আইন তৈরি করতে হবে ইইউকে।

পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিকসের সিনিয়র ফেলো জ্যাকব কিকাগার্ড বলেন, ভন ডার লিয়েন তার প্রথম মেয়াদে আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে খুব একটা উচ্চাভিলাষী ছিলেন না। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি হয়তো পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন অর্থনৈতিক অংশীদার তৈরির দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তবে তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য কমে গেলে সেটা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শুল্ক ছাড় দিয়ে ব্যবসা করে বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে এর মধ্য দিয়ে এই বার্তাটিই দেওয়া যায় যে, মুক্ত বাণিজ্য দ্বিপাক্ষিকভাবে লাভজনক এবং বিদ্যমান বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা ধরে রাখাই সবার জন্য মঙ্গলজনক। তিনি বলেন, মুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা পেতে হলে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হয়। যার মধ্যে আছে বিশ্ব বাণিজ্যে দেশগুলোর গুরুত্ব, জীবনযাত্রার মানে সমতা ও সুশাসন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের অর্থনৈতিক সম্পর্ক শেষ হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয় নাই শুল্কজনিত সাময়িক টানাপোড়েন হতে পারে। তবে এই দুই অঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক তাদের নিজেদের স্বার্থেই টিকিয়ে রাখতে হবে। কেউ কেউ বলছেন ট্রাম্প যেটা করছেন তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হলে সেটি নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিইটিও) মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান শুল্কনীতি ইউরোপের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সেরকমই আভাষ দিচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার প্রশাসন মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশঙ্কা করছে, তারা সম্ভবত এর পরবর্তী নিশানা হচ্ছে। অতিসম্প্রতি ওয়াশিংটন ইউরোপ থেকে স্টিল ও এলুমিনিয়াম রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুয়েক মাসের মধ্যে ইউরোপীয় কার ও কৃষিপণ্য শুল্ক তলিকার অন্তর্ভুক্ত হবে।

ইউরোপীয়রা ট্রাম্পকে এই মর্মে তুষ্ট করার চেষ্টা করছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি করে জালানি ও অস্ত্রশস্ত্র কিনবে, যদি তিনি তাদের কাছ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক রেয়াত দেন। তবে ইইউ নেতৃবৃন্দ ও নীতি নির্ধারণী মহল এই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছেন যে, ট্রাম্প যে বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করছেন-পুরোনো মিত্র বলেই তিনি তাদের জন্য কোনো বড় ধরনের রদবদল ঘটাবেন। ইউরোপের জন্য মার্কিন পণ্যের ওপর পালটা শুল্ক দেওয়ার বিকল্প খোলা আছে। তবে সেটা তাদের জন্য খুব সুবিধাজনক হবে না। কারণ মহাদেশটি সামরিক সরঞ্জামাদি থেকে শুরু করে ভোক্তাপণ্য পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। এছাড়া ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি দর কষাকষিতে লিপ্ত হওয়া বাস্তবোচিত কাজ হবে না। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও (২০১৭-২১) এমন ঘটনা ঘটেছিল। ইইউ তখন যুক্তরাষ্ট্রের হার্লি-ডেভিডসন মোটরসাইকেল ও কেন্টাকি বুরবনের (হুইস্কি) ওপর পালটা শুল্ক বসিয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে-সামরিক দিক থেকে তারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কতটা নির্ভরশীল।

রাশিয়ার ব্যাপারে পূর্বসূরি জো বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্পের নীতি প্রায় বিপরীতমুখী। বাইডেন পুতিনকে একঘরে করতে সব রকম চেষ্টা করেন। কিন্তু ট্রাম্প তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন। এমতাবস্থায় ইউরোপকে অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার একমাস পরের ঘটনা, তিনি তখনো দায়িত্ব বুঝে নেননি। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্য জোট মেরকসুরের সঙ্গে একটি বিতর্কিত বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদন করেন। বাণিজ্যের পরিসর বাড়াতে তিনি তার পুরো টিম নিয়ে ভারত ও মালয়েশিয়াও সফর। করেন। এই দেশগুলোতে সব মিলিয়ে ২০০ কোটির ওপর ক্রেতা আছে তাছাড়া একটি উদীয়মান মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশগুলোর বাণিজ্য সম্ভবনা তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, মেরকসুর চুক্তিটি বিতর্কিত এই কারণে যে, তাতে স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করা হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন শহরে প্রায় এক বছর ধরে কৃষক ও অধিকারকর্মীরা এ নিয়ে বিক্ষোভ করে। তা সত্ত্বেও লাতিন আমেরিকান দেশগুলো থেকে সস্তায় গোমাংস আমদানি করতে ইউরোপীয় কমিশন চুক্তিটি অনুমোদন করে। তন ডার লিয়েন জানুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সভায় বলেন, ‘যেহেতু বাণিজ্য নিয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, আমি লক্ষ্য করছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। সুইজারল্যান্ড, মেরকসুর ও মেক্সিকোর সঙ্গে আমরা নতুন করে অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছি। এর ফলে ইউরোপের ৪০ কোটি মানুষ এই চুক্তি থেকে উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়।’ সংখ্যা ইউরোপের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের কিছু বেশি।

ভন ডার লিয়েন ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফর করেন। সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ইইউ-ভারত চলতি বছরের মধ্যেই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছতে চায়। এ ব্যাপারে ভারতের একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন যে, উদ্যোগটি ২০০৭ সালে শুরু হলেও নানা কারণে তা নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়নি। চুক্তির আওতায় ভারত ইইউ থেকে গাড়ি আমদানি অন্যদিকে ইইউ ভারত থেকে কৃষিপণ্য নিবে। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ পরস্পরকে বড় ধরনের শুল্ক ছাড় দিবে। মালয়শিয়ার সঙ্গেও প্রায় একই ধরনের চুক্তি হতে পারে ইইউর। তবে তার আগে বন ও পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক আইন তৈরি করতে হবে ইইউকে।

পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিকসের সিনিয়র ফেলো জ্যাকব কিকাগার্ড বলেন, ভন ডার লিয়েন তার প্রথম মেয়াদে আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে খুব একটা উচ্চাভিলাষী ছিলেন না। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি হয়তো পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন অর্থনৈতিক অংশীদার তৈরির দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তবে তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য কমে গেলে সেটা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শুল্ক ছাড় দিয়ে ব্যবসা করে বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে এর মধ্য দিয়ে এই বার্তাটিই দেওয়া যায় যে, মুক্ত বাণিজ্য দ্বিপাক্ষিকভাবে লাভজনক এবং বিদ্যমান বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা ধরে রাখাই সবার জন্য মঙ্গলজনক। তিনি বলেন, মুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা পেতে হলে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হয়। যার মধ্যে আছে বিশ্ব বাণিজ্যে দেশগুলোর গুরুত্ব, জীবনযাত্রার মানে সমতা ও সুশাসন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের অর্থনৈতিক সম্পর্ক শেষ হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয় নাই শুল্কজনিত সাময়িক টানাপোড়েন হতে পারে। তবে এই দুই অঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক তাদের নিজেদের স্বার্থেই টিকিয়ে রাখতে হবে। কেউ কেউ বলছেন ট্রাম্প যেটা করছেন তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হলে সেটি নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিইটিও) মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে।