চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : দৈনিক মানব জমিনের চকরিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহর উপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ। উল্টো তার বিরুদ্ধে এজাহার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনার ৬দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মামলা না নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাংবাদিকদের মধ্যে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা না নিলে নতুন কর্মসূচী দেয় হবে বলে জানান চকরিয়ার কর্মরত সাংবাদিকগণ।
সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, গত ৬ মার্চ রাত ৮টার দিকে চকরিয়া থানার সামনে অর্তকিতভাবে উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা গ্রামের সাহাবউদ্দিনের ছেলে তৌহিদ সিকদারের নেতৃত্বে ৪-৫জন নারী সন্ত্রাসী কায়দায় তার উপর হামলা চালিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। এসময় মারধরের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় মুলহোতা তৌহিদকে প্রধান আসামি করে থানায় এজাহার জমা দিলেও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ইয়াছিন মিয়া ওই এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেননি ৬দিনেও। উল্টো অপরাধিদের প্রশ্রয় দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছে। অভিযুক্ত তৌহিদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।
মোহাম্মদ উল্লাহ আরও জানান, তৌহিদের পুরো পরিবার ইয়াবা ও মাদক করবারের সাথে জড়িত। তার আপন চাচা জমিরের বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারসহ একাধিক মামলা রয়েছে। চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার এফআইআর-২৯/২৭৫ (১৩ জুলাই) ২০১৮ সালের চার্জশিটভুক্ত ১নং আসামি, কক্সবাজারের রামু থানার জিআর নং ৬/৫৬২ (১৮ সেপ্টেম্বর-২০১১) মাদক মামলার এজাহারে চার্জশিটভুক্ত আসামি, চকরিয়া থানার জিআর নং ৪০/৯০ (২৪ ফেব্রুয়ারি)।
চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এএম ওমর আলী বলেন, মনে হচ্ছে অপরাধির কাছ থেকে ওসি বিশেষ সুবিধা নিচ্ছে বলে জানা যায়। সাংবাদিকে আইনী সহায়তা না দিয়ে উল্টো অপরাধির পক্ষে অবস্থান নেওয়া পুলিশের আগের চরিত্র ফুটে উঠেছে। ৫ আগস্টের পট পরির্বতন পুলিশের আগের চরিত্র বদলাইনি এমন দৃশ্যমান ঘটনা পর মামলা না নেওয়ার তারেই প্রমাণ। অনতিবিলম্বে অপরাধিদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। না হয় চকরিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসুচী দিতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইয়াছিন মিয়া জানান, সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহর উপর হামলার ঘটনায় নিজেই একটি এজাহার দিয়েছেন। সেখানে তার স্বাক্ষর না থাকায় এজাহার হিসেবে নিতে পারছি না। তবে ওইঘটনায় তার প্রতিপক্ষরাও একটি এজাহার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফ উদ্দিন শাহীন বলেন, জেলায় নতুন যোগদান করেছি। খবর নিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।