দি ক্রাইম ডেস্ক: দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে একটি মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল থেকে একটি মিছিল বের করেন নারী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

এরপর ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে ফের মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান শিক্ষার্থীরা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে যাত্রীদের ভোগান্তির কারণে ৩০ মিনিট পর অবরোধ তুলে নেন তারা।

অবরোধকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের সহ-মুখপাত্র মালিহা নামলাহ বলেন, ‘আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে গত চার বছর আগেও আন্দোলন করেছি, এখন আবার করছি। কয়েকবছর পর আবার করবো। মানে ধর্ষণের একটা খবর ভাইরাল হলে তখনই আন্দোলন শুরু হয়। এরমধ্যে গত কয়েকবছরে যেসব ধর্ষণ হয়েছে সেগুলোর বিচার চাপা পড়ে গেছে। এসবের থেকে চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের একটি সিস্টেম চালু করতে হবে, যেটার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মুখপাত্র সৈয়দা মেহের আফরোজ শাঁওলি বলেন, ‘নারীর সামান্য মৌলিক অধিকার ও শরীরের নিরাপত্তা দিতে এই রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে। আমরা দেখেছি আমলের পর আমল পরিবর্তন হয় কিন্তু নারীর নিরাপত্তার কোন পরিবর্তন হয় না। নারী সর্বদা একটা ডি-হিউম্যানাইস পশুর মত জীবনযাপন করে, যাদের টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নামিয়ে ধর্ষণ করা যায়, মেরে ফেলা যায়। দেশের একের পর এক ধর্ষণ ঘটেছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্লজ্জের মত বলছেন দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এই দেশের একটি নামমাত্র আইন আছে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড তবে একবারের জন্যেও এই রাষ্ট্র সেই নজির স্থাপন করতে পারেনি। কেউ দেখাতে পারবে না একজন ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ থেকে পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, ধর্ষকের ফাঁসি দিয়ে বাংলাদেশে নজির স্থাপন করতে হবে।’

দি ক্রাইম ডেস্ক: দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে একটি মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল থেকে একটি মিছিল বের করেন নারী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

এরপর ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে ফের মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান শিক্ষার্থীরা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে যাত্রীদের ভোগান্তির কারণে ৩০ মিনিট পর অবরোধ তুলে নেন তারা।

অবরোধকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের সহ-মুখপাত্র মালিহা নামলাহ বলেন, ‘আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে গত চার বছর আগেও আন্দোলন করেছি, এখন আবার করছি। কয়েকবছর পর আবার করবো। মানে ধর্ষণের একটা খবর ভাইরাল হলে তখনই আন্দোলন শুরু হয়। এরমধ্যে গত কয়েকবছরে যেসব ধর্ষণ হয়েছে সেগুলোর বিচার চাপা পড়ে গেছে। এসবের থেকে চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের একটি সিস্টেম চালু করতে হবে, যেটার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মুখপাত্র সৈয়দা মেহের আফরোজ শাঁওলি বলেন, ‘নারীর সামান্য মৌলিক অধিকার ও শরীরের নিরাপত্তা দিতে এই রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে। আমরা দেখেছি আমলের পর আমল পরিবর্তন হয় কিন্তু নারীর নিরাপত্তার কোন পরিবর্তন হয় না। নারী সর্বদা একটা ডি-হিউম্যানাইস পশুর মত জীবনযাপন করে, যাদের টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নামিয়ে ধর্ষণ করা যায়, মেরে ফেলা যায়। দেশের একের পর এক ধর্ষণ ঘটেছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্লজ্জের মত বলছেন দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এই দেশের একটি নামমাত্র আইন আছে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড তবে একবারের জন্যেও এই রাষ্ট্র সেই নজির স্থাপন করতে পারেনি। কেউ দেখাতে পারবে না একজন ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ থেকে পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, ধর্ষকের ফাঁসি দিয়ে বাংলাদেশে নজির স্থাপন করতে হবে।’