নগর প্রতিবেদক: চিটাগাং চেম্বারে ব্যবসায়ীদের সাথে ফিলিপাইন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা।

বক্তব্য রাখেন ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল এম. এ. আউয়াল, চেম্বারের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, লুব-রেফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, ট্রাস্টেড শিপিং লাইন্স লিঃ’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদ আলম, ইস্টার্ন লজিস্টিকস এর পরিচালক শাফায়েত আলম, বিএসআরএম গ্রুপের ইমরান শেখ ও মোহাম্মদ মনির হোসেন প্রমুখ।

মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট বলেন,বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক এখনো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পৌঁছায়নি। তাই অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে ফিলিপাইন দূতাবাস কাজ করছে। তিনি বলেন, ফিলিপাইন টেকনিক্যাল সেক্টর বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, নবায়নযোগ্য জ¦ালানী, মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব যানবাহন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানীর চাহিদা নিরসনে বাংলাদেশ ফিলিপাইনের সাথে কাজ করতে পারে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে ফিলিপাইন-বাংলাদেশ চেম্বারের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়িদের সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ফিলিপাইন থেকে হালাল খাদ্যপণ্য আমদানির অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।

চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে ২০২৩ সালে ৯৪.৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। আবার ফিলিপাইন থেকেও বাংলাদেশে ৩৮.২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন হলেও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে ফিলিপাইন খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে অনেক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত জ্ঞান শেয়ার করার আহবান জানান চেম্বার প্রশাসক। একই সাথে ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের একক ও যৌথ বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ বৃদ্ধির আহবান জানান।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের রয়েছে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনা। কিন্তু ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় দুই দেশের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন হচ্ছে না। তাই ভিসা সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট যোগাযোগ, কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময় এবং ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে একক ও যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশস্থ ফিলিপাইন দূতাবাসের ভাইস কনসাল লিন আর. গুতেরেস,প্রশাসনিক কর্মকর্তা আর্থার এল. ব্লাস, ইস্টার্ন লজিস্টিকস এর চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: মেজবাহ উদ্দিন, ফিলিপাইন কনস্যুলেট চট্টগ্রামের চিফ অব স্টাফ শেখ হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী ও চেম্বার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নগর প্রতিবেদক: চিটাগাং চেম্বারে ব্যবসায়ীদের সাথে ফিলিপাইন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা।

বক্তব্য রাখেন ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল এম. এ. আউয়াল, চেম্বারের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, লুব-রেফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, ট্রাস্টেড শিপিং লাইন্স লিঃ’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদ আলম, ইস্টার্ন লজিস্টিকস এর পরিচালক শাফায়েত আলম, বিএসআরএম গ্রুপের ইমরান শেখ ও মোহাম্মদ মনির হোসেন প্রমুখ।

মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট বলেন,বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক এখনো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পৌঁছায়নি। তাই অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে ফিলিপাইন দূতাবাস কাজ করছে। তিনি বলেন, ফিলিপাইন টেকনিক্যাল সেক্টর বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, নবায়নযোগ্য জ¦ালানী, মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব যানবাহন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানীর চাহিদা নিরসনে বাংলাদেশ ফিলিপাইনের সাথে কাজ করতে পারে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে ফিলিপাইন-বাংলাদেশ চেম্বারের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়িদের সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ফিলিপাইন থেকে হালাল খাদ্যপণ্য আমদানির অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।

চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে ২০২৩ সালে ৯৪.৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। আবার ফিলিপাইন থেকেও বাংলাদেশে ৩৮.২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন হলেও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে ফিলিপাইন খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে অনেক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত জ্ঞান শেয়ার করার আহবান জানান চেম্বার প্রশাসক। একই সাথে ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের একক ও যৌথ বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ বৃদ্ধির আহবান জানান।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের রয়েছে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনা। কিন্তু ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় দুই দেশের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন হচ্ছে না। তাই ভিসা সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট যোগাযোগ, কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময় এবং ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে একক ও যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশস্থ ফিলিপাইন দূতাবাসের ভাইস কনসাল লিন আর. গুতেরেস,প্রশাসনিক কর্মকর্তা আর্থার এল. ব্লাস, ইস্টার্ন লজিস্টিকস এর চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: মেজবাহ উদ্দিন, ফিলিপাইন কনস্যুলেট চট্টগ্রামের চিফ অব স্টাফ শেখ হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী ও চেম্বার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।