চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মো. ইউসুফ পাটওয়ারী নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ভাই মাওলানা ইব্রাহীম পাটওয়ারী।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারডুগি গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ইউসুফের আপন খালাত ভাই মহিউদ্দিন প্রধানিয়া, তার স্ত্রী খোদেজা বেগম ও ছেলে রমজান। তাদেরকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত ইউসুফ ও আহত ইব্রাহীম ওই বাড়ীর মৃত কলিম উল্লাহ পাটওয়ারীর ছেলে। ইউসুফ চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী এবং তার ভাই ইব্রাহীম স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। ইউসুফের দুই ছেলে এবং ইব্রাহীমের এক ছেলে ও এক মেয়ে।

স্থানীয় গাজী বাড়ীর বাসিন্দা রাশেদ গাজী জানান, সকালে চিৎকার শুনে ইউসুফদের বাড়ীতে আসি। জানতে পারলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউসুফের বড় ভাই ইব্রাহীমকে পুকুর পাড় থেকে জোর করে তাদের ঘরে নিয়ে যায় মহিউদ্দিন, তার স্ত্রী ও ছেলে। তারা ঘরে নিয়ে ধারালো গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে ইব্রাহীমকে বুকে ও ঘাড়ে কুপিয়ে আহত করে। তার চিৎকার শুনে ছোট ভাই ইউসুফ এগিয়ে গেলে তার মাথায় ও গলায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ইউসুফ আহত অবস্থায় ওই ঘর থেকে বের হয়ে নিজ ঘরের সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে চাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করে। আর তার বড় ভাই ইব্রাহীমকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করে।

রাশেদ আরও জানায়, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন হত্যায় জড়িত মহিউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্য ঘরের চারদিকে অবস্থান করে পুলিশে সোপর্দ করি।

ইউসুফের বোন রাজিয়া, নাছিম ও আমেনা আক্তার বলেন, তারা আমার এক ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং আরেক ভাইকে গুরুতর আহত। আমরা এই খুনিদের বিচার চাই।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ঘটনার পর ইউসুফ পাটওয়ারীর বাড়ি পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানা যাবে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঘটনাস্থলে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুকুর চাকমা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং লোকজনের সাথে কথা বলেছি। হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ আলামত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মো. ইউসুফ পাটওয়ারী নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ভাই মাওলানা ইব্রাহীম পাটওয়ারী।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারডুগি গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ইউসুফের আপন খালাত ভাই মহিউদ্দিন প্রধানিয়া, তার স্ত্রী খোদেজা বেগম ও ছেলে রমজান। তাদেরকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত ইউসুফ ও আহত ইব্রাহীম ওই বাড়ীর মৃত কলিম উল্লাহ পাটওয়ারীর ছেলে। ইউসুফ চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী এবং তার ভাই ইব্রাহীম স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। ইউসুফের দুই ছেলে এবং ইব্রাহীমের এক ছেলে ও এক মেয়ে।

স্থানীয় গাজী বাড়ীর বাসিন্দা রাশেদ গাজী জানান, সকালে চিৎকার শুনে ইউসুফদের বাড়ীতে আসি। জানতে পারলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউসুফের বড় ভাই ইব্রাহীমকে পুকুর পাড় থেকে জোর করে তাদের ঘরে নিয়ে যায় মহিউদ্দিন, তার স্ত্রী ও ছেলে। তারা ঘরে নিয়ে ধারালো গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে ইব্রাহীমকে বুকে ও ঘাড়ে কুপিয়ে আহত করে। তার চিৎকার শুনে ছোট ভাই ইউসুফ এগিয়ে গেলে তার মাথায় ও গলায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ইউসুফ আহত অবস্থায় ওই ঘর থেকে বের হয়ে নিজ ঘরের সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে চাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করে। আর তার বড় ভাই ইব্রাহীমকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করে।

রাশেদ আরও জানায়, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন হত্যায় জড়িত মহিউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্য ঘরের চারদিকে অবস্থান করে পুলিশে সোপর্দ করি।

ইউসুফের বোন রাজিয়া, নাছিম ও আমেনা আক্তার বলেন, তারা আমার এক ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং আরেক ভাইকে গুরুতর আহত। আমরা এই খুনিদের বিচার চাই।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ঘটনার পর ইউসুফ পাটওয়ারীর বাড়ি পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানা যাবে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঘটনাস্থলে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুকুর চাকমা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং লোকজনের সাথে কথা বলেছি। হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ আলামত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।