ঢাকা ব্যুরো: আগেই ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে তরুণদের নতুন দল আসছে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই।

সূত্রে জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারির কাছাকাছি যে কোনো দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এই দলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংগঠনও নিয়ে আসবেন ছাত্রনেতারা। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি আহ্বায়ক হবেন দলের। তবে সদস্যসচিব কে হচ্ছেন তা নিয়ে ছাত্র নেতৃত্বের মধ্যে চলছে বিতর্ক ও দরকাষাকষি।

এদিকে নাহিদ ইসলাম দলের আহ্বায়ক পদে চূড়ান্ত হলেও সদস্যসচিব কে হচ্ছেন তা নিয়ে দরকষাকষি চলছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে এই দরকষাকষি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও গড়িয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, হাসিনা হঠাও অভ্যুত্থানের সামনে এবং পর্দার আড়ালে থাকা তরুণ ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি প্লাটফর্মটি গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে আছেন আখতার হোসেন, আসিফ-নাহিদদের গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, সাবেক শিবিরের নেতা, ছাত্র ফেডারেশন, বামপন্থীসহ নানা অংশীজন। তাদের মধ্য থেকে নতুন দল আসছে। এখন রাজনৈতিক দলে সবাই শীর্ষ নেতৃত্বে অবস্থান চান।

দলের সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম আলোচনায় রয়েছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সম্পাদক আল মাশনূন ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আখতার হোসেন যদি আমাদের ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বস্থানের কোথাও না রাখে এই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমাদের না। রাজনীতি আমরা তাকে মাথার উপর রেখেই করব।

আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, আখতার হোসেন ভাই আমার পীর। ভাইয়ের হাতে আমার রাজনীতিতে বায়াত। ভাই যদি আমার চোখ বেঁধে দিয়ে বলে ঝাঁপ দে, আমি ভাবব না সামনে কি আছে। ভাইয়ের নামে দুটো কথা বলার আগে নিজ নিজ খাতা খুলে দেখে নেওয়া উচিত।

এদিকে ঢাবি শিবিরের সাবেক আরেক সভাপতি নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, আখতারকে মাইনাস করতেছে কে? নাহিদ নাকি মাহফুজ? কই থেকে মাইনাস করতেছে? দলে নেবে না?

এদিকে নতুন দলের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, দল গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা জনমত জরিপ করছি। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও বিভিন্ন জেলা থেকে মতামত আসছে। সে ডেটাগুলো অ্যানালাইসিস করা শুরু হবে। এরপরই আমরা বুঝতে পারব জনগণ কী ধরনের দল চাচ্ছে, কী ধরনের নাম চাচ্ছে, মার্কা চাচ্ছে। জনগণের মতামতকেই আমরা প্রাধান্য দেব। এছাড়া গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র আমরা প্রস্তুত করছি। আমরা ভাবছি যে, যাতে দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়। এক ব্যক্তি কিংবা পরিবারকেন্দ্রিক কালচার যেন তৈরি না হয়।

দল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে, আমাদেরও দায়িত্ব গ্রহণের সময় এসেছে। সেজন্য আমরা রাজনৈতিক দল গঠনের সর্বোচ্চ প্রক্রিয়া চালু রেখেছি। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহকেই আমরা নির্ধারণ করেছি। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত কাজ করছি। জনগণকে একটা সুন্দর রাজনৈতিক দল উপহার দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মানুষের বিপুল সাড়া আমরা পাচ্ছি। গুগল ফর্ম ছাড়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মতামত দিয়েছে।

ঢাকা ব্যুরো: আগেই ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে তরুণদের নতুন দল আসছে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই।

সূত্রে জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারির কাছাকাছি যে কোনো দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এই দলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংগঠনও নিয়ে আসবেন ছাত্রনেতারা। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি আহ্বায়ক হবেন দলের। তবে সদস্যসচিব কে হচ্ছেন তা নিয়ে ছাত্র নেতৃত্বের মধ্যে চলছে বিতর্ক ও দরকাষাকষি।

এদিকে নাহিদ ইসলাম দলের আহ্বায়ক পদে চূড়ান্ত হলেও সদস্যসচিব কে হচ্ছেন তা নিয়ে দরকষাকষি চলছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে এই দরকষাকষি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও গড়িয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, হাসিনা হঠাও অভ্যুত্থানের সামনে এবং পর্দার আড়ালে থাকা তরুণ ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি প্লাটফর্মটি গঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে আছেন আখতার হোসেন, আসিফ-নাহিদদের গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, সাবেক শিবিরের নেতা, ছাত্র ফেডারেশন, বামপন্থীসহ নানা অংশীজন। তাদের মধ্য থেকে নতুন দল আসছে। এখন রাজনৈতিক দলে সবাই শীর্ষ নেতৃত্বে অবস্থান চান।

দলের সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম আলোচনায় রয়েছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সম্পাদক আল মাশনূন ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আখতার হোসেন যদি আমাদের ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বস্থানের কোথাও না রাখে এই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমাদের না। রাজনীতি আমরা তাকে মাথার উপর রেখেই করব।

আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, আখতার হোসেন ভাই আমার পীর। ভাইয়ের হাতে আমার রাজনীতিতে বায়াত। ভাই যদি আমার চোখ বেঁধে দিয়ে বলে ঝাঁপ দে, আমি ভাবব না সামনে কি আছে। ভাইয়ের নামে দুটো কথা বলার আগে নিজ নিজ খাতা খুলে দেখে নেওয়া উচিত।

এদিকে ঢাবি শিবিরের সাবেক আরেক সভাপতি নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, আখতারকে মাইনাস করতেছে কে? নাহিদ নাকি মাহফুজ? কই থেকে মাইনাস করতেছে? দলে নেবে না?

এদিকে নতুন দলের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, দল গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা জনমত জরিপ করছি। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও বিভিন্ন জেলা থেকে মতামত আসছে। সে ডেটাগুলো অ্যানালাইসিস করা শুরু হবে। এরপরই আমরা বুঝতে পারব জনগণ কী ধরনের দল চাচ্ছে, কী ধরনের নাম চাচ্ছে, মার্কা চাচ্ছে। জনগণের মতামতকেই আমরা প্রাধান্য দেব। এছাড়া গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র আমরা প্রস্তুত করছি। আমরা ভাবছি যে, যাতে দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়। এক ব্যক্তি কিংবা পরিবারকেন্দ্রিক কালচার যেন তৈরি না হয়।

দল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে, আমাদেরও দায়িত্ব গ্রহণের সময় এসেছে। সেজন্য আমরা রাজনৈতিক দল গঠনের সর্বোচ্চ প্রক্রিয়া চালু রেখেছি। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহকেই আমরা নির্ধারণ করেছি। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত কাজ করছি। জনগণকে একটা সুন্দর রাজনৈতিক দল উপহার দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মানুষের বিপুল সাড়া আমরা পাচ্ছি। গুগল ফর্ম ছাড়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মতামত দিয়েছে।