ইউসুফ হুসাইন,(লালপুর) নাটোর: নাটোরের লালপুরে চাঁদাবাজির ভিডিওসহ অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ও তাঁর দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে তাঁদের মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০টার দিকে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ ও ত্রিমোহনী এলাকায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ করেছে তাদের স্বজনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

জানা যায়, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ মতিউর রহমান। তার কাছে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বিএনপি নেতা খোকন। অন্যথায় তার বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বিএনপি নেতা ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। ভুক্তভোগী পরিবারের প্রথমে অভিযোগ করতে রাজি হলেও বর্তমানে অভিযোগ করতে চাচ্ছেন না। ভিডিও ফুটেজ ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করে লালপুর থানায় সোপর্দ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন খাঁ, তার দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী অনিক খাঁ ও ফিরোজ খাঁ।

গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা লালপুরের কলোনি গ্রামের খোকন খাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে থাকা খোকন খাঁ ও তাঁর দুই ছেলে অনিক এবং ফিরোজকে মারধর করে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে মারধরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার কিছু লোকজন। এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ করে তাদের মুক্তির দাবি জানায়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা ত্রিমোহনী এলাকায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর স্থানীয় বিএনপি নেতা ও পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুন রশীদ পাপ্পু বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝির কারণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করেছে এবং মারধরও করেছে। আমরা বিষয়টি জেলা নেত্রীবৃন্দকে জানিয়েছি এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত একটা সমাধানের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দাবি জানাই।’

আর সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের বিষয়ে হারুন রশীদ বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনায় লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ সকালে তাদের মুক্তির দাবিতে তাদের সমর্থকেরা থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ তাদের সড়িয়ে দিলে তারা ত্রিমোহনী এলাকায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ইউসুফ হুসাইন,(লালপুর) নাটোর: নাটোরের লালপুরে চাঁদাবাজির ভিডিওসহ অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ও তাঁর দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে তাঁদের মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০টার দিকে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ ও ত্রিমোহনী এলাকায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ করেছে তাদের স্বজনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

জানা যায়, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ মতিউর রহমান। তার কাছে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বিএনপি নেতা খোকন। অন্যথায় তার বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বিএনপি নেতা ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। ভুক্তভোগী পরিবারের প্রথমে অভিযোগ করতে রাজি হলেও বর্তমানে অভিযোগ করতে চাচ্ছেন না। ভিডিও ফুটেজ ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করে লালপুর থানায় সোপর্দ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন খাঁ, তার দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী অনিক খাঁ ও ফিরোজ খাঁ।

গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা লালপুরের কলোনি গ্রামের খোকন খাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে থাকা খোকন খাঁ ও তাঁর দুই ছেলে অনিক এবং ফিরোজকে মারধর করে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে মারধরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার কিছু লোকজন। এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ করে তাদের মুক্তির দাবি জানায়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা ত্রিমোহনী এলাকায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর স্থানীয় বিএনপি নেতা ও পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুন রশীদ পাপ্পু বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝির কারণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করেছে এবং মারধরও করেছে। আমরা বিষয়টি জেলা নেত্রীবৃন্দকে জানিয়েছি এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত একটা সমাধানের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দাবি জানাই।’

আর সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের বিষয়ে হারুন রশীদ বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনায় লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ সকালে তাদের মুক্তির দাবিতে তাদের সমর্থকেরা থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ তাদের সড়িয়ে দিলে তারা ত্রিমোহনী এলাকায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’