সোহেল রানা, ঢাকা: চাঁদা না দেওয়ায় রাজধানীর বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন খান ও ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আক্তারের নেতৃত্বে মহাখালীর জল খাবার রেস্টুরেন্ট ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সেই হামলার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বনানী থানা যুবদল ও ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির ওই দুই নেতার নাম উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। তারা আপন দু’ভাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর তদন্ত চলছে।
থানা বিএনপি’র সাবেক ও বর্তমান একাধিক নেতা প্রতিবেদককে জানান, চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না পেয়ে মহাখালীর জল খাবারে হামলা-ভাংচুরে জড়িত বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মনির ও ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আক্তার। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে, এর আগেও তাদের নির্দেশে গুলশান বনানীর বিভিন্ন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন খান ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান আক্তার। তাদের দাবি এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে সাবেক এক কাউন্সিলর।
গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় আহত জল খাবারের এক স্টাফ জানান, হামলার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা যুবদল নেতা মনির ও বিএনপি নেতা আক্তারের নাম বলে আমাদের মারধর করে এবং তারা ক্যাশ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। হামলার পর দুর্বৃত্তরা জল খাবার বন্ধ করে দিয়ে যায়।
জানা গেছে, পরে এই ঘটনা জানাজানি হলে বনানী থানা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান সহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা গিয়ে জল খাবার দোকানটি খুলে দেয়। এদিকে এই হামলার ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কানা ঘুষা চলছে, মানুষ বলাবলি করছে এই হামলা মনির ও আক্তার ঘটিয়েছে।
এই ঘটনায় বনানী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে জল খাবার কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানায় বনানী থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এই হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক না কেনো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জল খাবারের ক্যাশিয়ার প্রদীপ কুমার ঘোষ জানান, যুবদলের এক নেতা ও বিএনপির এক নেতা আমাদের এখানে হামলা করেছে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতারা এসে আমাদের দোকান চালু করে দিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় আমরা অভিযোগ করেছি পুলিশ তদন্ত করছে।
অভিযোগ করা হয়, জল খাবারে হামলার ঘটনায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার জানান, পুলিশ জল খাবার হোটেলে হামলার ঘটনাটি তদন্ত করছে। বিএনপির কোন নেতা কর্মীর যদি এর সাথে জড়িত থাকে বা অভিযোগের সত্যতা মেলে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল গণমাধ্যমকে জানান, যুবদলে দুর্বৃত্তদের কোথাও স্থান দেওয়া হবে না। কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে বা প্রমাণ হলে তাকে দল থেকে শোকজ করা হবে।